১২ই জুন থেকে স্টার জলসায় (Star Jalsha) শুরু হয়েছে ‘সন্ধ্যাতারা’ (Sandhyatara)। আর ঠিক সেদিন থেকেই জি বাংলায় (Zee Bangla) শুরু হয়েছে ধারাবাহিক ‘ফুলকি’ (Phulki)। ‘ফুলকি’র প্রথম পর্বেই ফাটাফাটি পর্ব দেওয়ার চেষ্টা করেছে পরিচালক। তবে সেই ট্যুইস্ট আনতে গিয়েই বেশকিছুবার ট্রোলের মুখেও পড়েছে ‘ফুলকি’। তবে ধারাবাহিকের প্রথম পর্ব বেশ পছন্দ হয়েছিল দর্শকেদের। প্রথম পর্বেই ছিল বেশ কয়েকটি সাসপেন্স। রোহিতের (Rohit) অতীত কি? রোহিতের আগের স্ত্রী কে ছিল? এখনও সাসপেন্স রয়েছে অনেকটাই।
অন্যদিকে ধারাবাহিকের প্রতিটি তারকার অভিনয় দর্শকদের লেগেছে ফাটাফাটি। অভিষেক (Abhishek Basu) দার অভিনয় নিয়ে কোনো কথা বলার প্রয়োজন নেই, এককথায় অনবদ্য। নেতাজি ফিরেছে এক আলাদাই রূপে। নবাগতা দিভ্যানিকে (Devyani Mondal) দেখে মনে হচ্ছে না, এটা তার প্রথম মেগা। যেমন সুন্দর লিপসিং, তেমন সুন্দর এক্সপ্রেশন। একদিকে শান্ত, রাগী, অতীতের কিছু ঘটনায় মর্মাহত নায়ক, অপরদিকে চঞ্চল, খুশমেজাজী নায়িকা। দুই ভিন্ন মনের মানুষকে নিয়ে উক্ত ধারাবাহিকের গল্প।
দেখা গিয়েছে, গল্পের নায়িকার গায়ে রয়েছে অনেক শক্তি, বক্সিং-এ টক্কর দেয় ছেলেদের। যদিও তার হাঁপানির সমস্যা রয়েছে। নায়িকা নবগোতা হলেও নায়িকার অভিনয় মন কেড়েছে দর্শকদের। তার স্পষ্টবাদী মনোভাবের সাথে অসাধারণ অভিনয় খুব পছন্দ হয়েছে দর্শকদের। অন্যান্য ধারাবাহিকের মতো কিছুদিনের মধ্যেই ‘ফুলকি’তেও এসেছে বিয়ের ট্র্যাক। রোহিতের অফিসের কর্মরত সকলের কাছে রোহিত ও ফুলকির এক ঘনিষ্ঠ ছবি ছড়িয়ে পড়তে জ্যাঠুমনি রোহিতের সঙ্গে ফুলকির বিয়ে দেয়।
পরিস্থিতির চাপে পরে ফুলকিকে বিয়ে করলেও রোহিত মন থেকে বউ হিসাবে ফুলকিকে তেমন মেনে নেয়নি। রোহিতের মনে রয়েছে এখনও তার প্রাক্তন। তারসাথে রোহিত ও ফুলকির ছবিগুলো ফুলকি তার নিজের ফোন থেকে ছড়িয়েছে, এমন সন্দেহ করছে রোহিত। যদিও ফুলকি সেই দোষ অস্বীকার করেছে। সেই কাজ করেছে আসলে রুদ্র, সে রোহিতকে নিচু দেখানোর জন্যই এ কাজ করে। তবে ফুলকির সরলতা রোহিতের মনে জাগিয়ে অনেক প্রশ্ন। এরপর দেখা যায়, ‘ইলিশ উৎসব’এ মাননীয় মন্ত্রী মহাশয়কে বাঁচাতে বিষ যুক্ত ইলিশ নিজে খেয়ে নেয় ফুলকি।
ইলিশে বিষ মেশানোর ষড়যন্ত্রটিও রুদ্র আর ইশিতার। তারা জ্যেঠিমনিকে ফাঁসাতে এরূপ কাজ করে, যদিও ফুলকি জ্যেঠিমনিকে বাঁচিয়ে দেয়। ফুলকি নিজেকে বারংবার সঠিক প্রমান করা সত্ত্বেও কিছু না কিছুভাবে রুদ্র রোহিতের মনে সন্দেহের বীজ পুঁতছে। কারণ রুদ্র বুঝতে পেরেছে, ফুলকি থাকলে সে রোহিত বা জ্যেঠিমনি কারোর কোনও ক্ষতি করতে পারবে না। এবার রুদ্র ইশিতার সঙ্গে জ্যেঠিমনিকে ফাঁসানোর জন্য আরও এক ষড়যন্ত্র করছে। স্বাধীনতা দিবসের দিনই তারা জ্যাঠিমানকি ফাঁসাতে চায়। এবারও কি ফুলকি পারবে জ্যেঠিমনিকে বাঁচাতে? আসছে ধামাকাদার পর্ব।