বাংলা টেলিভিশনের পর্দায় এই মুহূর্তে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক অনুরাগের ছোঁয়া (Anurager Chhowa)। এই ধারাবাহিকটি এতদিন যাবত প্রথম স্থানে থাকলেও বর্তমানে একঘেয়ে ট্র্যাক দেখানোর কারণে দ্বিতীয় স্থানে নেমে গেছে।
বলা বাহুল্য গল্পের একঘেয়েমির জন্য এই ধারাবাহিক দেখা থেকে মুখ ফিরিয়েছেন অনেকেই। দর্শকরা আর এই ধারাবাহিকের একঘেয়ে গল্প দেখা পছন্দ করছেন না। যেখানে নায়ক-নায়িকার মিলন নেই দীর্ঘ ১ বছরেরও বেশি সময় ধরে। যেখানে বিভিন্ন ভাবে শুধুমাত্র নায়কের নায়িকাকে ভুল বোঝা ছাড়া আর অন্য কিছুই নেই।
সেই এক দুই সন্তান সোনা-রূপার জন্ম নিয়ে প্যানপ্যানানি। যেখানে বাস্তবতার লেশমাত্রটুকু নেই। একজন নায়ক চিকিৎসক হয়েও তার মধ্যে তীব্র বুদ্ধি ও বাস্তববোধের অভাব। ভুল বোঝা, তীব্র স্বরে চেঁচামেচি, অপমান করা ছাড়া যে নায়ক চরিত্রটির মধ্যে সহনশীলতার লেশমাত্র নেই সেই গল্প আর দেখতে পছন্দ করছেন না দর্শকরাও।
উল্লেখ্য, এই ধারাবাহিকে সূর্যর মা লাবণ্য সেনগুপ্ত অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র। দীপা ও সূর্যের দুই সন্তান সোনা-রূপা। এই দুজনের জন্মের সমস্ত সত্যিটা জানার পরেও নিজের ছেলেকে কিছুই বলেন না। উল্টে তিনিই আবার সোনা- রূপার জন্মের দিন সোনাকে দীপার পাশ থেকে উঠিয়ে নিয়ে সেনগুপ্ত পরিবারে চলে এসেছিলেন। তারপর থেকেই অনাথের পরিচয় বড় হয়েছে সোনা। যদিও সূর্যকে সে নিজের বাবা বলেই জানত। আর দীপা জানত তার একটাই মেয়ে রূপা।
যদিও সম্প্রতি দীপা জেনে গেছে যে সে জমজ সন্তানের জন্ম দিয়েছিল। অন্যদিকে সোনাও জেনে গেছে তার আসল মা তার ফুলমাই। আর এই সত্যির সঙ্গে অবগত হয়েছে সূর্যও। দীপের অন্নপ্রাশনের দিন দীপাকে ফের একবার বাড়ির সমস্ত লোকের সামনে অপমান করে। সূর্য দীপাকে বলে, কবীর এবং তার অবৈধ সম্পর্কের ফল সোনা, আর তাকেই সূর্যর ঘাড়ে চাপিয়ে দিতে চেয়েছিল দীপা। এমনকি তার মা লাবণ্য সেনগুপ্ত যে সোনাকে দীপার পাশ থেকে তুলে নিয়ে এসেছিলেন এবং তিনি সমস্ত সত্যিটা জানতেন সেটা নিয়েও নিজের মায়ের উপর চেঁচামেচি করে সূর্য।
কিন্তু সূর্য নিজেই যে সোনা এবং রুপার বাবা সেই সত্যিটা এখনও জেনে উঠতে পারেনি সে বা জানার চেষ্টাও করেনি। উপেক্ষা করেছে। আসলে শয়তান মিশকা তাকে ভুল রিপোর্ট দেখিয়ে বুঝিয়েছে যে, তার মধ্যে বাবা হওয়ার কোনও ক্ষমতা নেই সে কোনদিনই বাবা হতে পারবেনা। আর সেই কারণবশতই সূর্যর মনে ধারণা হয় যে সোনা-রূপা যদি দীপার সন্তান হয় তাহলে সে তো তাদের বাবা নয়। কারণ তার বাবা হওয়ার ক্ষমতাই নেই। তাহলে নিশ্চয়ই কবীরের সঙ্গে দীপার অবৈধ সম্পর্কের কারণেই সোনা-রূপার জন্ম। তবে কী এবার মিশকার মুখোশ খুলবে সূর্যর সামনে? সব সত্যি কি বলে দেবে লাবণ্য সেনগুপ্ত?