Bangla Serial

এই প্রথম শিমুলের পাশে দাঁড়িয়ে শতদ্রুর মাকে উচিত শিক্ষা দিল পরাগ! তবে কী এবার কাছাকাছি আসবে শিমুল আর পরাগ?

শুরু হওয়ার পর থেকেই জনপ্রিয় স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘কার কাছে কই মনের কথা’ (Kar Kache Koi Moner Katha)। প্রোমোতে দেখানো হয়েছিল, পাঁচ বন্ধুর বন্ধুত্বের গল্প নিয়েই এগোবে ধারাবাহিকের পটভূমি। তবে পরবর্তীতে, শাশুড়ি-বউমার বন্ধুত্ব আর সুসম্পর্কের ছবি তুলে ধরা হয়েছে এই মেগাতে(Bengali Serial)। কিন্তু সবকিছুকেই ছাপিয়ে গিয়েছে শিমুলের উপর শ্বশুরবাড়ির নির্যাতন এবং তার সঙ্গে শিমুলের জীবন যুদ্ধ। গল্প যে খাতে বইছে তাতে বেজায় আগ্রহ বেড়েছে দর্শকদের। বৃহস্পতিবারের টিআরপি তালিকায় নজর রাখলেই তা বেশ বোঝা যায়। ‘কার কাছে কই মনের কথা’য় তরতরিয়ে বাড়ছে টিআরপি রেটিং। একের পর এক বড় চমক এনে চলেছে ধারাবাহিক।

আগামী পর্বের শুরুতে দেখা যাবে, শিমুল রান্নাবান্না করছে। পুতুল নিজের মত লুডো খেলছে আর মধুবালা নিজের মত কাজ করছে। আর সেই মুহূর্তেই বাড়ির বেল বেজে ওঠে। শিমুল দরজা খুলতেই শতদ্রুমাকে দেখতে পায়। শতদ্রুর শিমুলের শ্বশুরবাড়ি এসেছে সকলের সঙ্গে জরুরি দরকারে।

অন্যদিকে দেখা যায়, প্রতীক্ষা, পলাশ, পরাগ সবাই নিচে নেমে এসেছে। বাড়ির সকলের সামনেই শতদ্রুর মা শিমুলকে বলে,”তুমি কী করছো বলতঁ শিমুল? আমার আর আমার ছেলের মধ্যে তোমার জন্য দূরত্ব বেড়ে যাচ্ছে। আমি চাই একটা ভাল মেয়ে দেখে আমার ছেলের বিয়ে দিতে।” এই কথা শুনেই রেগে ওঠে শিমুল। বলে,”আপনি দিন না আপনার ছেলের বিয়ে ভাল মেয়ে সঙ্গে দিন না। আপনাকে কে আটকাচ্ছে? আপনার ছেলেকে আমি অনেকক্ষন আগেই চলে যেতে বলেছি। আমার জীবন থেকে। আমাকে এসব বাড়ি বয়ে বলতে আসার কী দরকার?”

এসবের মাঝেই পলাশ বলে ওঠে,”এই যে ভাল মানুষের মা, তখন থেকে আমি বলে যাচ্ছি, আমার বউকে অপমান করবেন না। আপনি কালকেও আমার বউকে অপমান করেছেন।” তাও নাছোড় শতদ্রুর মা। দোষ দিতে থাকে শিমুলকেই। বাড়ির সকলেই শিমুলের হয়ে যখন কথা বলছে, তখন পরাগও বলে,”দেখুন আমার সঙ্গে আমার স্ত্রীর অনেক সমস্যা। কিন্তু আপনার এভাবে বাড়ি চলে আসাটা মোটেই ঠিক নয়।” শিমুল অবাক হয়। পরাগ তার হয়ে কথা বলছে।

শতদ্রুর মা বাড়ি থেকে জেতেই পলাশ বলে, এসব আর ভাল লাগছে না। ভালোয় ভালোয় ডিভোর্সটা হয়ে গেলে এবার বাঁচি। এরই মধ্যে পড়ে কোর্টের হেয়ারিং ডেট। এবার কোঙ খাতে বইবে শিমুল ও পলাশের সম্পর্ক? ভুল বোঝাবুঝি মিটিয়ে কী কাছাকাছি আসবে দুজন? নাকি ডিভোর্সই একমাত্র ভবিতব্য?

Titli Bhattacharya