জি বাংলার (zee Bangla) অন্যতম জনপ্রিয় ধারাবাহিক “পরিণীতা”(parineeta) শুরু থেকেই দর্শকদের মন জয় করেছে তার চমকপ্রদ গল্প এবং নাটকীয় মুহূর্তগুলোর জন্য। পারুল, যার চরিত্র সাহসী, বুদ্ধিমান এবং ন্যায়পরায়ণ, সে বরাবর অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করে এসেছে। গত কয়েকটি পর্বে তার জীবনে একের পর এক চ্যালেঞ্জ এসেছে, যা গল্পকে নতুন দিকে মোড় দিয়েছে। র্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে সে নিজের জীবনকেও বিপদের মুখে ফেলে দিয়েছে। তবে তার এই যাত্রা এখানেই শেষ নয়, বরং সামনে অপেক্ষা করছে আরও বড় সংকট।
গত পর্বে দেখা গিয়েছিল, পারুল ছদ্মবেশে ছেলেদের হোস্টেলে ঢুকে রায়ান ও তার দলের র্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে সমস্ত প্রমাণ সংগ্রহ করেছিল। তবে পালানোর সময় রায়ান ও তার বন্ধুরা বুঝতে পারে, সেই ছদ্মবেশী ছেলেটি আসলে আর কেউ নয়, পারুলই ছিল! এতে তারা আরও বেশি আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। কারণ, যদি এই ঘটনা প্রিন্সিপালের কানে যায়, তবে তাদের ভবিষ্যৎ ধ্বংস হয়ে যাবে। ফলে তারা এক নতুন ষড়যন্ত্র আঁটে।

রাত্রিবেলা পারুল যখন নিশ্চিন্তে ঘুমোচ্ছিল, তখন রায়ান ও তার বন্ধুরা তার ঘরে চুপিচুপি ঢুকে পড়ে। তাদের লক্ষ্য একটাই—পারুলের ফোন থেকে সমস্ত প্রমাণ ডিলিট করা। পরিকল্পনামাফিক তারা সেটাই করে এবং প্রমাণগুলো মুছে ফেলে। অন্যদিকে, তুর্য টগরকে মিষ্টি কথায় ভুলিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা করে। সে খুব কৌশলে টগরকে বিশ্বাস করায় যে, তার সঙ্গে দেখা করা দরকার, যেখানে আরও বড় কিছু ঘটতে চলেছে। দুর্যের ইচ্ছা যে ভালো নয়, তা ধীরে ধীরে স্পষ্ট হয়ে উঠছে।
পরিণীতা আজকের পর্ব ২৬ মার্চ (parineeta today episode 26 march)
আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যাবে, পারুল এখনও বুঝতে পারেনি যে তার ফোন থেকে সমস্ত কিছু মুছে গেছে। সে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে দুর্যকে ফোন করে জানায়, সে সব প্রমাণ জোগাড় করে ফেলেছে এবং এবার রায়ান ও তার দল ধরা পড়বে। ঠিক তখনই, তুর্যর আরেকটি ফোন আসে—টগরের ফোন! দুর্য তখন বলে, “দাঁড়াও, আমার একটা ফোন আসছে।” সে ভুল করেও পারুলের ফোনটি মিউট করতে ভুলে যায়। ফলে পরের মুহূর্তে তার কথোপকথন স্পষ্টভাবে শোনা যায়।
আরও পড়ুনঃ “মিঠিঝোরা”-তে নোংরামি সীমাহীন পর্যায়! এবার নীলুর সঙ্গে অনির্বাণের অন্তরঙ্গ মুহূর্ত দেখে ক্ষুব্ধ দর্শক! এমন চরিত্রহীন পুরুষকে ‘ঝাঁটা পেটা’র দাবি দর্শকদের
ফোনের ওপারে তুর্যের কণ্ঠে টগরের উদ্দেশে শোনা যায়, “লাভ ইউ টগর, দেখা হচ্ছে ঝিলপাড়ে!” এই কথা শোনার সঙ্গে সঙ্গেই পারুল চমকে ওঠে। সে বুঝতে পারে, এখানে কিছু একটা সমস্যা আছে। কিন্তু এই টগরই যে পারুলের বোন সেটা কি পারুল বুঝতে পারবে ? পারুলের মনে এবার সত্যিকারের সন্দেহ দানা বাঁধতে শুরু করেছে। পারুল বুঝে উঠতে পারে না কোন টগরের কথা বলা হচ্ছে। ফোনের ওপার থেকে কথাগুলো শোনার পর পারুল দুশ্চিন্তায় পড়ে যায়—সে কি সময়মতো পৌঁছে টগরকে বিপদের হাত থেকে বাঁচাতে পারবে?