জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

দত্ত বাড়ির লোভে বর্ষাকে বিয়েতে রাজি হয়েছে পাত্র! সব সত্যি ধরে ফেললো পর্ণা! নিয়ে ফুলে বিরাট চমক

জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক নিম ফুলের মধুতে (Neem Phooler Madhu) চলে এসেছে নতুন এক ঝামেলা। রাঘবের লোনটা কিছুতেই পাস করবে না বলেই ঠিক করেছেন অমি বাবু। তিনি পর্ণার কাছে দিয়ে বলেন বাজারে তার কাছে কিছু গুন্ডা এসেছিল বর্ষার বিয়ে নিয়ে তাকে শাসিয়ে গেছে। কথাটা শুনেই পর্ণা অমিবাবুকে বলে একদম ভয় না পেয়ে ওই গুন্ডাগুলোর সামনে সে সবসময় তার পাশে থাকবে। পর্ণার কথা শুনে মতবল পান অমিবাবু।

এরপর পর্ণার সঙ্গে কথা বলে অমিবাবু চলে যান ওপরে। আর তখনই চলে আসে পিকলু। সে পর্ণাকে বলে বর্ষাকে গিয়ে এই টিপের পাতাটি দিয়ে আসতে। পর্ণা পিকলুকে বলে নিজে গিয়ে দিয়ে আসতে কিন্তু পিকলু যেতে বারণ করে দেয়। পর্ণা তখন পিকলুকে দেখে বুঝতে পারে কিছু একটা হয়েছে, পিকলু কিছু একটা লুকাচ্ছে। সেটা বুঝে পর্ণা আর তাকে জড়াজড়ি করতে পারে না। পর্ণা বাড়ির কাজ করতে থাকে এমন সময় চলে আসে অমিবাবুর ম্যানেজার।

তিনি এসে অমিবাবুর খোঁজ করতে থাকেন। তখন পর্ণা তাকে আসতে বলে এবং অমিবাবুকে ডাকেন। তখন অমিবাবু আসে পর্ণাকে বলে উনি তার ব্যাকের ম্যানেজার সুবর্ণ। তখন সুবর্ণবাবু বলেন তিনি অমিবাবুর সঙ্গে ব্যাক্তিগত কথা বলতে চান। সেটা শুনে অমিবাবু তাকে নিয়ে চলে যান ঘরে। সেখানে গিয়ে অমিবাবুকে তিনি বলেন রাঘববাবুর লোনটা পাস করিয়ে দিতে কিন্তু অমিবাবু রাজি নয়না। তখন তাকে টাকার লোভ দেখায় সুবর্ণ। এমনকি ইঙ্গিতে এও বুঝিয়ে দেয় যে তার পরিবারের ক্ষতি করতে পারে রাঘব বাবু কিন্তু অমিবাবু তাতেও রাজি হয়না।

তখন পর্ণা আসে বলে তার বাবা অসৎ নয়, আর হবেও না। পর্ণা সুবর্ণকে এও বলে যে তার ক্যারিয়ারের শুরুতে এরকম দাগ লাগল সেটা ভালো হবে না। তখন পর্ণার কথা শুনে সেখানে থেকে চলে যায় সুবর্ণ। সেই মুহূর্তেই চলে আসে কৃষ্ণা। সুবর্ণকে চলে যেতে দেখে তিনি জিজ্ঞাসা করলেন কি হয়েছে। তখন কৃষ্ণাকে সবটা বলেন অমিবাবু। সবটা শুনে কৃষ্ণা তাকে বলে লোন পাস করিয়ে দিতে। কিন্তু তিনি রাজি হয়না। ওদিকে জেঠু বলে ছেলে আসলে পর্ণা যেন সেখানে থাকে কারণ সে লোক চিনতে পারে। কিন্তু কৃষ্ণা বারণ করে দেয়। তখন জেঠি বলে পর্ণা এমনি চলে আসবে সেই নিয়ে চিন্তা না করতে।

তারপরই বর্ষাকে দেখতে চলে আসে ছেলের বাড়ির লোক। ছেলের বাবা সকলের সঙ্গে তার পরিচয় করিয়ে দেয়। বর্ষার পাত্র অর্ণব দত্ত বাড়িকেই হা করে দেখতে থাকে। তখনই বর্ষার খোঁজ করতে চলে আসে কৃষ্ণা। তখন পর্ণা নিচে যেতে চাইলে তাকে বারণ করে দেয় কৃষ্ণা। সেই কথা শুনে বর্ষা বলে তার বউদি না গেলে সেও বিয়েতে রাজি হবে না তাই কৃষ্ণা আর কিছু বলতে পারে না। নিচে গিয়ে ছেলেকে দেখেই পর্ণা বুঝে যায় এই ছেলে সুবিধার নয়। তার বাড়ির ওপর লোভ আছে। তাহলে কি মনে হয় আপনাদের পর্ণা কি পারবে এই বিয়ে ভেঙে পিকলুর সঙ্গে বর্ষার বিয়ে দিতে?

Ruhi Roy

রুহি রায়, গণ মাধ্যম নিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পাশ। সাংবাদিকতার প্রতি টানে এই পেশায় আসা। বিনোদন ক্ষেত্রে লেখায় বিশেষ আগ্রহী। আমার লেখা আরও পড়তে এখানে ক্লিক করুন।