Bangla Serial

তবে কী মারন রোগের শিকার পরাগ? রঙের উৎসবের দিনেই কী হারিয়ে যাবে শিমুলের জীবনের রঙ? প্রকাশ্যে নতুন প্রোমো!

শুরু হয়েছে বসন্ত কাল। আর বসন্তকাল মানেই ভালোবাসার সময়। ইতিমধ্যেই গেছে সরস্বতী পূজা এবং ভ্যালেন্টাইন্স সপ্তাহ। তবে কথায় বলে বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ। সরস্বতী পূজা চলে গেলেও আসছে আরও একটি সুন্দর উৎসব, বসন্ত উৎসব। বসন্ত উৎসব মানেই তো রঙের উৎসব, ভালোবাসার মানুষদের সঙ্গেই এইসময় মেতে ওঠে সারা দেশ বিদেশের মানুষ। আকাশে বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে ভালোবাসার রঙ। তবে তার থেকে বাদ যাবে কেন ধারাবাহিকগুলো।

জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক কার কাছে কই মনের কথায় এসেছে এক অন্যরকমের চমক। ধারাবাহিকে ইতিমধ্যেই হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছে পরাগ। তবে বাড়ি ফেরার পর থেকেই শিমুলকে নিয়ে তার বদলে গেছে দৃষ্টিকোণ। যদিও তার সূচনা হয়েছেন তখনই, যখন সে জানতে পারে শিমুল নয়, বরং শিমুলকে বাড়ি থেকে তাড়ানোর জন্য প্রতীক্ষা এবং তার ভাই নিজেই তাকে বিষ খাওয়ার পরিকল্পনা করেছে। তারপর থেকেই শিমুলকে নিয়ে ভালো ভাবতে শুরু করে পরাগ।

সে শিমুলের কাছে ক্ষমাও চেয়েছিল সকলের সামনে। যদিও শিমুল তাকে ক্ষমা করতে চায়নি। শিমুলকে সে জানিয়েছিল শিমুলের সঙ্গেই সবটা ভুলে নতুন করে জীবন শুরু করতে চায় সে। কিন্তু সে কথা শুনে তার খারাপ পরিকল্পনা আছে ভেবেই তাকে প্রত্যাখ্যান করে শিমুল। যদিও পরাগের অ্যাক্সিডেন্টের পর থেকে তার খেয়াল রাখতে শুরু করে শিমুল। তবে মুখে কিছুই বলেনি সে। পরাগ তাকে বলে পরাগের চাকরি যেন সে করে। সবটার ব্যাবসাই করবে পরাগ নিজে কিন্তু শিমুল তাকে বুঝিয়ে বলে সে তার চাকরি করবে না। পরাগ সুস্থ হয়ে নিজেই চাকরিতে যাবে।

কিন্তু পরাগ তাকে জানায় সেটা আর সম্ভব হবে না। যদিও তার কারণ শিমুল ভাবে পরাগ হয়তো মনে করছে সে আর হাঁটতে পারবে না তাই। তবে মধুবালা দেবীও শিমুলকে বলে পরাগের চাকরিটা করতে। শিমুল তখন তাদের জানায় সে ভেবে দেখবে। তবে আজই বসন্ত উৎসব নিয়ে মুক্তি পেয়েছে ধারাবাহিকের একটি আবাক করে দেওয়ার মতো ট্রেলার। যেখানে দেখা যাচ্ছে সকলেই মেতে উঠেছে রঙের উৎসবে। শিমুলও সকলের সঙ্গেই খেলছে রঙ।

তখনই সেখানে চলে আসে পরাগ তার হুইল চেয়ারে। সে শিমুলকে বলে সে তাকে রঙ মাখাতে চায়। যদিও সেই কথা শুনে ইতস্তত হয়ে পড়ে শিমুল। সে ভেবে পায়না কি করা উচিৎ তার। তখন পুতুলও তাকে বলে পরাগকে রং মাথাতে দিতে। শিমুলও পুতুলের কথা শুনেই রঙ মাখাতে দেয় পরাগকে। পরাগ শিমুলকে রঙ মাখিয়ে বলে এটাই তার শেষ হোলি। যেটা শুনে অবাক হয়ে যায় শিমুল। সে পরাগকে জিজ্ঞাসা করে সে কিছু লুকোচ্ছে কিনা। কিন্তু তার প্রশ্নের কোনও উত্তর দেয়না পরাগ। তাহলে কি আরও কোনও বড় অসুখ হয়েছে পরাগের? কি লুকাচ্ছে সে শিমুলের থেকে? কি মনে হয় আপানাদের।

Ruhi Roy

রুহি রায়, গণ মাধ্যম নিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পাশ। সাংবাদিকতার প্রতি টানে এই পেশায় আসা। বিনোদন ক্ষেত্রে লেখায় বিশেষ আগ্রহী।