জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক কার কাছে কই মনের কথায় (Kar Kache Koi Moner Kotha) ইতিমধ্যেই বিপাশাকে নিয়ে চন্দনের বাড়ি থেকে চলে এসেছে শিমুল। ব্যানার্জী বাড়িতে আসে শিমুল মধুবালা দেবীকে বলে তারা এইবাড়িতে ভাড়াটিয়া হয়ে থাকতে চায়। তাই তাদের কত টাকা বাড়ি ভাড়া দিতে হবে তিনি যেন তাদের বলে দেন। তখন সেকথা শুনে মধুবালা দেবী বলেন এটা সম্ভব নয়। তিনি শিমুলের থেকে টাকা কিছুতেই নিতে পারবেন না তাই তারা যেন কোনও বাড়ি ভাড়া না দিয়েই এই বাড়িতে থাকেন।
সেটাই শুনেই শিমুল বলে সেটা সম্ভব নয়। সে তো না দিয়ে এই বাড়িতে থাকবে না। কিন্তু মধুবালা দেবী বলেন তিনি তার থেকে টাকা নিতে পারেবন না। সে অনেক করছে তার জন্য। এই পরিবারের জন্য তাই তার থেকে টাকা নেওয়া তার সাজে না। তিনি এও বলেন যে শিমুল কোনও কিছুই নেয়নি তাই তিনি এইটুকু করতে চান শিমুলের জন্য। কিন্তু শিমুল তাকে বারণ করে দেয়। শিমুল বলে সে তাদের থেকে কোন সাহায্য নেবে না। তখন মধুবালা দেবী বলেন এইটুকু তাকে করতে দিতে কিন্তু শিমুল তাকে পুরোপুরি বারণ করে দেয়।
শিমুল বলে সেই বিপদে পড়েছে, কোনও বাড়ি ভাড়া পাচ্ছে না তাই এখানে এসেছে। তখনই পরাগ বলে সে যেন এই বাড়িতেই থাকে তাহলে তার মায়ের অনেক সুবিধা হবে। সেটা শুনেই শিমুল শিমুল বলে সে বেশি টাকা দিতে পারবে না তখন মধুবালা দেবী বলেন একশো টাকা দিতে। তখন পরাগ শিমুলকে বলে তার চাকরিটা চলে যেতে বসেছে তাই শিমুল যদি তাকে বিয়ে করে তার চাকরিটা করে তারপর সে নিজেই শিমুলকে ডিভোর্স দিয়ে দেবে। কিন্তু চাকরিটা বাঁচানো দরকার। মধুবালা দেবীও বলেন শিমুল ছাড়া এখন তাদের আর কেউ নেই তাই সেই একমাত্র তাদের সাহায্য করতে পারে। এইসব কথা শুনেই ভাবনায় পড়ে যায় শিমুল।
ওদিকে ব্যানার্জী বাড়িতে আসার জন্য পুতুলকে শাড়ি পরিয়ে তৈরি করে দেয় তীর্থ। তারপর সে পুতুলকে বলে তাকে খুব সুন্দর লাগছে। তারপর পুতুল তীর্থের হাত ধরে নীচে নেমে আসে। পুতুল রঞ্জাকে দেখে বলে তাকে কেমন লাগছে বলতে। কিন্তু পুতুলকে আবার অপমান করে রঞ্জা। তীর্থ বসল পুতুল এত গুছিয়ে কথা বলেনা তাই তুই করে বলেছে, ওর কাছে সব এক। তখনই তীর্থের হাত ধরে নিতে আসে রঞ্জা। জিজ্ঞাসা করে তারা কবে আসবে। তীর্থ বলে ৩দিন পর।
আরও পড়ুন:তবে কী মারন রোগের শিকার পরাগ? রঙের উৎসবের দিনেই কী হারিয়ে যাবে শিমুলের জীবনের রঙ? প্রকাশ্যে নতুন প্রোমো!
তীর্থর হাত ধরতে দেখে রেগে যায় পুতুল। রঞ্জার কথা শুনেই সে একাই চলে যেতে চান কিন্তু তীর্থ বলে সেও যাবে। তীর্থ রঞ্জাকে সাবধান করে বলে এইসব আর না করতে। তারপরই বেরিয়ে যায় তারা। তারা বেরিয়ে যাওয়ার পর রঞ্জা ভাবতে থাকে কিভাবে সে পুতুল আর তীর্থকে আলাদা করবে। তাহলে কি মনে হয় আপনাদের রঞ্জা কি সত্যি ভেঙে দেবে পুতুল আর তীর্থর মিষ্টি সম্পর্ক?