জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

নকল খোঁপা খুলে দিয়ে ভেকধারী বটু সোনাকে জব্দ করল পর্ণা! ভয়ে কাঁটা তিন্নি, টাটকা পর্ব ফাঁস

জি বাংলায় (Zee Bangla) সম্প্রচারিত ধারাবাহিক গুলির মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় ধারাবাহিক হিসেবে দর্শকদের দিল জিতে নিয়েছে ধারাবাহিক নিম ফুলের মধু (Neem Phooler Modhu)। একদম সাদামাটা যৌথ এক পারিবারিক কাহিনী নিয়ে তৈরি এই ধারাবাহিকটি টিআরপিতে নজর কাড়া পারফরম্যান্স করছে। বলা যায় গল্পের বিভিন্ন উত্তেজক ট্র্যাক দেখানোর ফলে দিন দিন এই ধারাবাহিকটি আর‌ও বেশি জনপ্রিয়তা পাচ্ছে।

এই ধারাবাহিকটির বিভিন্ন ঘটনা প্রবাহ, টান টান গল্পের প্লট দর্শককে এই ধারাবাহিকটি দেখতে বাধ্য করেছে। আর যা দর্শককে বসিয়ে রাখছে এই ধারাবাহিকের সামনে। আর সেই জন্যই এই ধারাবাহিকটি প্রথম পাঁচে জায়গা করে নিয়েছে। একের পর এক সমস্যার সমাধান করে, রহস্যের আগল ভেঙে পর্ণা দর্শকদের মন জিতে নিয়েছে অনায়াসে। যদিও এত কিছু করে পরিবারের বাকিদের মন জিতে নিলেও মন জিততে পারেনি নিজের শাশুড়ির।

বর্তমানে এই ধারাবাহিকে চলেছে একের পর এক ধামাকাদার সব পর্ব। আর উত্তেজনা বহুল এই সমস্ত পর্বগুলি দর্শকদের মনোরঞ্জন করে চলেছে। এই ধারাবাহিকে নায়ক-নায়িকা যেমন রয়েছে তেমনই রয়েছে ভিলেন। একটি নয় তিনটি। আর তাদের জীবনের মূল উদ্দেশ্যই হচ্ছে পর্ণা ও সৃজনের জীবন অতিষ্ট করে তোলা। আবার এই তিনজন পর্ণার বাড়িতেই থাকে।

এই তিনজনের একজন হল পর্ণার বড় জা মৌমিতা ও তার বোন তিন্নি। আর তার প্রেমিক সুপ্রকাশ বটব্যাল ওরফে তিন্নির বটুসোনা‌। তিন্নি সঙ্গে সৃজনের বিয়ে হ‌ওয়ার কথা থাকলেও তা না হ‌ওয়ায় অশান্তির শুরু। তিন্নি ও বটুর ষড়যন্ত্রে চাকরি হারায় সৃজন। কোনভাবেই চাকরি পাচ্ছিল না সে। তখন সৃজনের পাশে দাঁড়াতে পর্ণা শাড়ি ব্যবসার মালিক হওয়ার নাটক করে সৃজনকে চাকরিও দেয়। পর্ণা শাড়ি সংস্থার মালকিন বিপাশা ব্যানার্জি সেজে সৃজনকে চাকরি দিয়েছিল। এমনকি তার জন্য নিজের সমস্ত গয়নাগাঁটিও বেচে দিয়েছে সে।‌

এর‌ইমধ্যে আবার বটুসোনা ফুলমাসি সেজে দত্ত বাড়িতেই ঘাঁটি গাড়ে। সম্প্রতি বিপাশা ব্যানার্জী রূপী পর্ণা একটি অনুষ্ঠান উপলক্ষে পা রেখেছিল দত্ত বাড়িতে। এবং পর্ণা যে বাড়িতে নেই সেই নিয়েও সমস্ত প্ল্যান সে আগে থেকেই করে রেখেছিল। কিন্তু পর্ণার সমস্ত প্ল্যানের কথা আড়ি পেতে শুনে জেনে নেয় তিন্নির দিদি তথা পর্ণার জা মৌমিতা। এরপর দত্ত বাড়ির সবার সামনে বিপাশা ব্যানার্জিই যে পর্ণা তা ফাঁস করে দেয় এই তিন্নি ও বটু। এই সত্যি প্রকাশ্যে আসতে দত্ত বাড়ির বাকি সদস্যরা রুষ্ট হয়। এমনকি পর্ণার শাশুড়ি ছেলে সৃজনকে বলে পর্ণাকে ডিভোর্স দিয়ে দিতে। তাতে রাজিও হয়ে যায় সৃজন। এরপর কিন্তু পর্ণাও চুপ থাকেনি। ফুল মাসির ভেকধারী বটুর মাথার চুল সবার সামনে খুলে দিয়ে বটুর রহস্য ফাঁস করে সে। আর এই ঘটনায় বেজায় ভয় পেয়ে যায় তিন্নি।

Rimi Datta

রিমি দত্ত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর। কপি রাইটার হিসেবে সাংবাদিকতা পেশায় চার বছরের অভিজ্ঞতা।