এত ভারী জ্বালা। একই খাটে শুয়েও কিছুতেই যে এক হতে পারছে না স্বামী স্ত্রী। আর এই জ্বালার মাঝেই বেশ মজা নিচ্ছেন দর্শকরা। তবেই না এই ধারাবাহিক টি আর পিতে প্রথম পাঁচে রয়েছে। যতই দর্শকরা নিন্দে করুক, ছি ছি করুক, জি বাংলার (Zee Bangla) নিম ফুলের মধু (Neem Phuler Modhu) কিন্তু বেশ ভালো মতোই পসার জমিয়ে নিয়েছে।
একেবারে একান্নবর্তী পরিবারের মধ্যবিত্ত বাড়ির একদম ছাপোষা গল্প। মধ্যবিত্ত বাড়ির সবকিছু খুব গুছিয়ে রাখা হয়। একটা ডালের দানা থেকে এক বাটি চাল সবই খুব হিসেবে রাখা হয়। আগে পাড়ায় পাড়ায় চুল বিক্রি করে ঘটি, বাটি, গামলা সব কেনাকাটি করা হতো। কিন্তু এখন তার চল অনেকটাই চলে গিয়েছে। আর ঠিক তেমন ভাবে সম্পর্কগুলোকেও খুব আগলে রাখা হয়।
যদিও এই আগলে রাখার মাঝে বেশ ভালোই ফেঁসাদে পড়েছে পর্না। প্রসঙ্গত এই ধারাবাহিকে নায়িকার নাম পর্ণা, যে চরিত্রে টলি অভিনেত্রী পল্লবী শর্মাকে অভিনয় করতে দেখা যাচ্ছে। আর নায়কের নাম সৃজন, ওরফে বাবু। এই চরিত্রে জনপ্রিয় টেলি অভিনেতা রুবেল দাসকে দেখা যাচ্ছে। তবে আরও একটা চরিত্র, যে চরিত্রে দর্শকদের বেশ ভালো মতো ফোকাস যাচ্ছে সেটি হল বাবুর মা। একদম মধ্যবিত্ত বাড়ির দজ্জাল শ্বাশুড়ি। আর এখন আরও একটি চরিত্র বেশ নাকে দম করিয়ে দিয়েছে, তিন্নি।
তিন্নি হচ্ছে জায়ের বোন। আর এই বোনও বেশ রয়েছে নিজের তালে। সৃজন আর পর্নাকে যে আলাদা করার চেষ্টা করা হচ্ছে, তাঁর মাঝে দিব্যি ঢুকে যেতে চাইছে সে। তার জন্য নানারকম কাণ্ড ঘটাচ্ছে। চুপচাপ ঘরের মধ্যে ঢুকে কমলা
লেবুও পর্যন্ত খাইয়ে দিচ্ছে। কিন্তু পর্নাও ছেড়ে দেওয়ার পাত্রী নাকি!
হাতে নাতে তিন্নিকে তো ধরেইছে। এদিকে ওই কমলা লেবুর খোসার রসই তিন্নির চোখে দিয়ে দিয়েছে। তিন্নিরও সেই নিয়ে ঢংয়ের শেষ নেই। চোখে নাকি অন্ধই হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু সেসবও যে ভুল একেবারে হাতে নাতে প্রমাণ করে দিয়েছে পর্না। আরে কিন্তু এই তিন্নিকে নিয়ে এত নাজেহাল অবস্থায় অবশেষে তাকে জব্দ করতে নাকি ঠাম্মির পরামর্শতে “সতীন কাঁটা ব্রত” রেখেছে পর্না। তাহলে কি এবার দত্তবাড়ি থেকে দূর হবে সে? এটাই এবার দেখার।