জি বাংলার (Zee Bangla) বিখ্যাত বাংলার স্ট্যান্ড আপ কমেডি শো মীরাক্কেলে (Mirakkel) যেন গ্রহণ লেগেছে। প্রথমত বিচারকের আসন থেকে বাদ পড়ে গেলেন অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র। আর এর মাঝেই নানা রকম বক্তব্য নিয়ে খবরের শিরোনামে থাকেন শ্রীলেখা মিত্র। আর খবরের শিরোনামে ভালো কিছুর থেকেও বেশি ভুলভাল বক্তব্য ও বিতর্কের কারণে হেড লাইনে থাকেন। এবার খবরের শিরোনামে উঠলেন রজতাভ দত্তও (Rajatabha Dutta)।
অভিনেতা রজতাভ দত্ত নাকি নিজের মানসিক ভারসাম্য হারিয়েছেন। টলি পাড়ায় এই নিয়ে রীতিমতো গুঞ্জন হলেও ঠিক করে কেউ কিছু বলছে না। আসলে অনেকদিন ধরেই এই গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। আমাদের তিলোত্তমার বিখ্যাত অভিনেতা রজতাভ দত্ত নাকি গ্রামে গিয়ে থাকতে শুরু করেছেন, আর তারপরই দেখা দিয়েছে গণ্ডগোল।
সেখানে তাঁকে দেখা যাচ্ছে মা কালির উগ্র সাধকের সাজে। আর পুজোর পরই নাকি তাঁর মানসিক ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এককালে কলকাতায় চুটিয়ে কমিউনিস্ট নাটক দেখা রজতাভ দত্ত নাকি এখন সাধক হয়ে গিয়েছেন, এটাই বেশ অদ্ভুত খবর। তবে আপনারা বেশি চিন্তা করবেন না। সত্যিই মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে গিয়েছে, তবে রজতাভ দত্তের নয়। বরং তাঁর পরবর্তী ছবিতে যে চরিত্রে অভিনয় করছেন তাঁর মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে যায়।
ছবিটির নাম “জাগ্রতা”। বনফুল অর্থাৎ সাহিত্যিক বলাই চাঁদ মুখোাধ্যায়ের লেখা এক পাতার একটি গল্প “জাগ্রত দেবতা”কে একটি গোটা সিনেমায় পরিণত করেছেন পরিচালক জয়দীপ রাউত। পরিচালক নিজেই জানিয়েছেন, “সাহিত্য নিয়ে ছবি করাও এখন প্রায় উঠেই গিয়েছে। তাই আরও মনে হল গল্পের বইয়ের পাতা থেকে উঠে আসা কাহিনি নির্ভর ছবিই তৈরি করি।”
আসলে পরিচালক জানিয়েছেন তাঁর সাহিত্যের প্রতি ঝোঁক বরাবরই। আর সাহিত্য নিয়ে সিনেমা নতুন কিছু নয়। তিনি আরও জানিয়েছেন, “তবে বইয়ের কিছু জিনিস আমি পাল্টেছি আমার মতো করে। যেমন গল্পে আছে শিবপুজোর উল্লেখ। আর ছবিতে আমি কালী পুজোর কথা বলেছি। গল্পে একটি গ্রামের কথা বলা হয়েছে। সেখানে প্রত্যেক বছর কালী পুজোর সময় একজন ব্যক্তি মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন। তা না হলে গ্রাম ছাড়খার হয়ে যায়। এবার সেই ব্যক্তি কে হবেন? মন্দিরের পুরোহিতের চরিত্রে রজতাভ। তিনিই কি তবে শেষমেশ মানসিক ভারসাম্য হারালেন।”