জি বাংলার “ফুলকি” (Phulki) একটি অনুপ্রেরণামূলক ধারাবাহিক, যেখানে এক সাধারণ মেয়ের অসাধারণ লড়াইয়ের গল্প বলা হয়েছে। মুল চরিত্রে অভিষেক বোস (Abhishek Bose) , দিব্যানি মন্ডল (Divyani Mondal)। ফুলকির স্বপ্ন একজন দক্ষ বক্সার হওয়া, কিন্তু সমাজ ও পরিবারের নানা বাধার মুখে পড়তে হয় তাকে। তবুও নিজের জেদ ও আত্মবিশ্বাস দিয়ে সে সব প্রতিকূলতাকে জয় করার চেষ্টা চালিয়ে যায়। তাঁর এই সংগ্রামের পথই ধারাবাহিকের মূল আকর্ষণ।
ফুলকির আজকের পর্বের শুরুতেই আমরা দেখতে পাই কিছু পুলিশ বাড়িতে আসে হাসপাতাল দিয়ে রুদ্রর নিখোঁজ হয়ে যাওয়া নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে। সেখানে তারা জানতে পারে ফুলকি আগের রাতে বাড়ি ছিলনা এবং তাঁকে আরও বেশি করে জেরা করতে থাকে। রোহিত পুলিশকে জানায় ফুলকি বাড়িতেই ছিল আর সবাই সেটাই জানে। এরপর পুলিশ পরে আবার আসবে বলে চলে যায়।

অন্যদিকে ফুলকিকে ঝিনুক টেনে নিয়ে গিয়ে বলে এবার থেকে সাবধানে কাজ করতে হবে, রোজ রাতে বাড়ি থেকে বেরোলে সবার সন্দেহ হয়ে যাবে। ফুলকিও জানায় যে রুদ্রকে চাবুক দিয়ে মারতে গিয়ে তাঁর হাতে লেগেছে। এরপর ফুলকি ঘরে যেতেই রোহিত বলে যে সে জানে ফুলকি কাল রাতে বাড়ি ছিলনা কিন্তু কোথায় গিয়েছিল সেটা যেন তাকে বলে দেওয়া হয়। ফুলকি কিছু না বলেই এড়িয়ে যায়।
রাতে ফুলকি আবারও বেরিয়ে যায় রুদ্রর পেট থেকে সত্যি বের করার উদ্দেশ্য কিন্তু এবার রোহিত তার পিছু নেয়। কিছু দূর যেতেই একটা কিছুর শব্দে ফুলকি পিছনে ফিরতেই দেখে রোহিত দাড়িয়ে আছে। ভয় পেয়ে যায় ফুলকি যে এবার কি বলবে। রোহিত তাকে জানতে চাইলে সে বলে সামনের মন্দিরে পুজো দিতে এসেছে। ভাঙাচোরা মন্দির দেখে সন্দেহ হয় রোহিতের, সে বারবার জেরা করতে থাকে ফুলকিকে কিন্তু ফুলকি বারবার একই কথা বলে।
এরপর ভেতরে যেতেই রোহিত একটা দরজা দেখতে পেয়ে ফুলকি কে খুলতে বলে। ফুলকি বাড়ি ফিরে যেতে চায় কিন্তু জোর করে রোহিত দরজাটা খোলায়। ফুলকি ভাবে এই বার বোধয়ে সে ধরা পড়ে যাবে কারণ রুদ্র ভেতরে বাঁধা আছে। কিন্তু দরজার ভেতরে মা কালীর মূর্তি ছাড়া আর কিছুই থাকে না। প্রথমে ফুলকি রুদ্রকে না পেয়ে আতঙ্কিত হলেও পরে সে রোহিতকে বলে এখানেই পুজো দিতে এসেছে সে।
আরও পড়ুনঃ পর্দার প্রেম কি বাস্তবেও ধরা দিল? ঊষসী-সুস্মিতের বাস্তব জীবনে ও লেগেছে প্রেমের ছোঁয়া?
রোহিত বাইরে যায় পুজোর জিনিস আনতে আর ফুলকি সব জায়গা খুঁজেও রুদ্রকে পায়না। ফুলকি ভাবে রুদ্র যদি বেরিয়ে গিয়ে তার দিদিকে কোনও ক্ষতি করে বা আবার কোনো ষড়যন্ত্র করে, ঠিক এমন সময় রোহিত হাজির হয় পুজোর জিনিস নিয়ে তারপর দুজনে পুজো করে। রোহিত মনে মনে ঠিকই ভাবতে থাকে যে ফুলকি কিছু একটা লুকাচ্ছে তার কাছ থেকে কিন্তু কিছু বলেনা মুখে।
বাড়িতে সবাই চিন্তা করতে থাকে মাঝ রাতে দুজনে কোথায় গেল ভেবে। তারপর দুজনে ফিরতেই সবাই জিজ্ঞেস করে তখন রোহিত বলে এত রাতে ফুলকির ইচ্ছে হয়েছিল একটা ভাঙ্গা মন্দিরে পুজো দেবে। তারপর ফুলকির হাত পা কাঁপছে দেখে সবাই জানতে চায় কিছু দেখে সে ভয় পেয়েছে কি না কিন্তু ফুলকি কিছু বলেনা মনে মনে রুদ্রর কথা ভেবে ভয় শিউরে উঠে। পর্বটি এখানেই শেষ।