জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

পুত্রশোক উধাও, বাড়িতে বসে লুচি-ঘুগনি, মিষ্টি সাটাচ্ছেন পৃথা ম্যাম! হাতেনাতে পাকড়াও করল দীপা! অনুরাগের ছোঁয়ায় বিরাট চমক

একসময়ে বাংলা ধারাবাহিকের (Bengali Serial) টিআরপি তালিকায় ( trp list) বরাবর এক-দুইয়ে থাকে স্টার জলসার (Star Jalsha) জনপ্রিয় টেলি সিরিয়াল ‘অনুরাগের ছোঁয়া’ (Anurager Chhowa)। সূর্য-দীপার মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি কিছুতেই মিটছে না। সেনগুপ্ত পরিবার ছারখার হয়ে গিয়েছে। পরিবারের মধ্যে যৌথতা নেই। ভালো না আর্থিক অবস্থাও। বাড়ির ছেলে নেই বাড়িতে।

দীপার সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের পর পরিবারের থেকে পিছুটান কাটিয়ে পাড়ি দিয়েছে দূর দেশে। এদিকে, একাই দুই মেয়েকে মানুষ করে চলেছে দীপা। সূর্য চলে যাওয়ার পর থেকে একের পর এক বিপদের সম্মুখীন হয়ে চলেছে দীপা। মেয়ের বিরল অসুখ, সেনগুপ্ত বাড়ি নিলাম, সূর্যের মা-বাবা সবকিছু একা হাতে সামলে এসেছে সে।

উল্লেখ্য, এই ধারাবাহিকের গল্পে এই মুহূর্তে নাম কে ওয়াস্তে বিবাহিত অর্জুন আর দীপা। বিয়ের দিন কোন‌ও নিয়মনীতি না মেনে, শুধু রূপাকে অপারেশনের জন্য রাজি করাতে তারা এই মিথ্যে বিয়ের নাটক বয়ে নিয়ে চলেছে। রূপা যতদিন না সুস্থ হয়, ততদিন এভাবেই কাটবে তাদের দিন। সারাদিন একসঙ্গে থাকার কারণে এখন অর্জুন আর দীপার সম্পর্ক আরও ভালো হয়ে উঠছে।

অর্জুনের নিঃস্বার্থ ভালোবাসা দুর্বল করে দিচ্ছে দীপাকেও। ভালোবাসার প্রতিদান স্বরূপ দুহাত খুলে উজাড় করে দিচ্ছে বন্ধুত্ব, সমবেদনা। দীপার মেয়েরাও অর্জুনকে খুব ভালোবাসে। তাদের অর্জুন ড্যাডি রক্ত দিয়েছে বলে তার শরীরের যত্ন করে চলেছে সোনা। মায়ের ভালোবাসা পায়নি অর্জুন, তবে মেয়েদের ভালোবাসার খামতি নেই।

আরো পড়ুন: ঠকানো এত সহজ নয়, মেয়েরাও প্রতিবাদ করতে জানে! শিমুলের মতো মিনমিন করে নয়, বরং কঠিন লড়াইয়ে নামছে বিপাশা

অপরদিকে, অর্জুনের কাছাকাছি আসার অহরহ চেষ্টা করে চলেছে পৃথা। এমন ভাব যেন নাওয়া-খাওয়া ভুলেছে। এক ছেলে মৃত্যুমুখে, অন্যজনকে এতদিন পর ফিরে পেতে চায় পৃথা। এমনকি অর্জুনের বাড়িতে এসে থাকার চেষ্টা করে সে। কিন্তু এতদিন পর আকাশ থেকে টপকে পড়া কাউকে মা হিসেবে মেনে নেবে না সে। তবে পৃথা ম্যামের দিশেহারা অবস্থা দেখে তার সঙ্গে আলাদা করে আলোচনা করতে আসে দীপা। তখন দেখে পুত্র শোকের কাতরতা দূর অস্ত, বরং লুচি, ঘুগনি আর ক্ষীর কদম সাটাচ্ছেন পৃথা ম্যাম। বাকিটা পরিষ্কার হয়ে যায় দীপার কাছে।

Joyee Chowdhury

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ-এ স্নাতকোত্তর। বিনোদন ও সংস্কৃতি বিভাগই মূল ক্ষেত্র। আমার লেখা আরও পড়তে এখানে ক্লিক করুন।