জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

ঠকানো এত সহজ নয়, মেয়েরাও প্রতিবাদ করতে জানে! শিমুলের মতো মিনমিন করে নয়, বরং কঠিন লড়াইয়ে নামছে বিপাশা

Shimul-Bipasha: জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক কার কাছে কই মনের কথায় (Kar Kache Koi Moner Kotha) ইতিমধ্যেই দেখানো হয়েছে চন্দনের বিরুদ্ধে কেস করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিপাশা। থানায় গিয়ে সে অফিসারকে বিপাশা (Bipasha) বলে যে সে তার স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করতে চায়। বিপাশা অফিসারকে চন্দনের বিষয়টি বলার পর শিমুল(Shimul) অফিসারকে জানায় “আমি বিপাশাদির প্রতিবেশী। যদিও নামেই প্রতিবেশী আসলে আমরা সবাই খুব ভালো বন্ধু হয়ে গেছি। আমার শশুরবাড়িতে সমস্যার কারণে আমি বিপাশাদির বাড়িতে থাকতাম। সেখানেই আমি সবটা জানতে পারি চন্দনদার ফোনের কথপোকথন শুনে।”

তখন বিপাশা বলে “আমি আমার স্বামীকে খুব ভালবাসতাম স্যার। আমি ভাবতাম আমার খুব ভালো আছি। আমাদের খালি একটা সন্তান ছিলনা। আমি অনেক চেষ্টা করেছিলাম। আমি আমার স্বামীকে বলেছিলাম একটা বাচ্চা দত্তক নিতে কিন্তু ও আমার কথায় গুরুত্ব দেয়নি। আমায় যখন শিমুল সবটা বলে আমি ওকে চড় মেরেছিলাম। একদম বিশ্বাস করতে পারিনি। কিন্তু পরে দেখলাম শিমুলের কথাই সত্যি।”

তখন শিমুল বলে “আসলে আমার মেয়েরা খুব নরম। তাই আমাদের বিশ্বাসের সঙ্গেই সবাই খেলে। আমাদের বান্ধবী সুচরিতাদির সঙ্গেও এই একই ঘটনা হয়েছিল। কিন্তু ও সবটাই জানত, আর পরিবর্তী সময়ে মানে ওর স্বামীর মারা যাওয়ার আগে বুঝেছিল ওর মূল্য কতটা। তাই আমরা চাই চন্দনদাও বুঝুক যে মেয়েরাও প্রতিবাদ করতে জানে। তাদের এইভাবে ঠকানো যায়না।” বিপাশা অফিসারকে বলে “আমি শুধু চাই চন্দন যে আমাকে ঠকিয়েছে তার শাস্তি সে পাক।” তখন অফিসার বলেন তিনি কাল গিয়ে চন্দনকে তুলে আনবেন। যদিও এক্ষেত্রে চন্দন বেল পেয়ে যাবেন কিন্তু বিপাশাকে একজন উকিল ঠিক করে রাখতে হবে যে তার মামলা লড়বে।

তখন বিপাশা বলে “আমি চেষ্টা করব স্যার সবটা করার। আমি শুধু চাই ও যে আমায় ঠকিয়েছে তার উচিত শাস্তি ও পাক।” এই বলেই বিপাশা আর শিমুল বেরিয়ে যায় থানা থেকে। তারপর বিপাশা বাড়ি চলে গেছে বসুন্ধরা বিপাশার কাছে এসে বলে “তুমি খুব ভালো। তুমি এখানে একা থাকো কেন গো। জানো আমার এখানে কোন বন্ধু নেই তুমি আমার সঙ্গে খেলবে।” তখন খানিকটা রেগে গিয়ে বিপাশা বলে “তোমায় বুঝি এইসবটা তোমার মা বলে পাঠিয়েছে! আমি তোমার সঙ্গে খেলতে পারব না আমার খেলার বয়স নেই। তোমার মাকে গিয়ে বলো।”

আরো পড়ুন: বাচ্চা নিয়ে শুটিং করতে গিয়ে নাস্তানাবুদ পর্ণা-সৃজন! মেয়ে কি তবে শায়েস্তা করল? মুখ খুললেন পর্দার বাবা-মা!

তখন বসুন্ধরা বিপাশা বলে “আমার মা বাবা বাড়ি নেই আমি একাই ছিলাম। তুমি এই ঘরে একা থাকো কেন গো। আমি তোমার সঙ্গে এখানে থাকবো।” তখন বিপাশা বলে “এইসব বুঝে তোমার মা তোমায় শিখিয়েছে। তোমার বাবার নাম কি?” এই বলে বিপাশা বসুন্ধরাকে বিস্কুট দেয়। সেটা খেতে খেতে বসুন্ধরা বলে “আমার বাবার নাম চন্দন। আর আমার মা কিছু শেখায়নি। তবে আমার বাবাও খুব ভালো আমি যা চাই এনে দেয়।” বসুন্ধরার মুখে এরকম কথা শুনে খানিকটা কষ্ট পায় বিপাশা। সে ভাবে কাল ওর বাবাকে নিয়ে গেল ও হয়তো আমায় ঘেন্না করবে কিন্তু আমি এখন আর পিছনে ভাবতে পারব না। চন্দনকে শাস্তি পেতে হবে।” তাহলে কি মনে হয় আপনাদের বিপাশাকে চন্দনকে তার কুকর্মের শাস্তি দিতে পারবে?

Ruhi Roy

রুহি রায়, গণ মাধ্যম নিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পাশ। সাংবাদিকতার প্রতি টানে এই পেশায় আসা। বিনোদন ক্ষেত্রে লেখায় বিশেষ আগ্রহী। আমার লেখা আরও পড়তে এখানে ক্লিক করুন।