মনোহরাতে একের পর এক বিপদ লেগেই আছে। মিঠাই সিদ্ধার্থের জীবনে যেন একটার পর একটা শত্রুর আসা-যাওয়া ঘটেই চলেছে। কিছুদিন আগেই ওমী আগারওয়াল চেষ্টা করছিল সিদ্ধার্থকে প্রাণে মেরে ফেলার। কিন্তু সেই চেষ্টা ব্যর্থ হলেও মিঠাই সিদ্ধার্থকে বাঁচাতে গিয়ে নিজেই গুলি খেয়ে বসে।
গুলি খাওয়ার পরে প্রায় অনেকদিন মিঠাই জ্ঞান হারিয়ে হাসপাতালে ছিল। তারপর সে বাড়ি আসতে রাখি পূর্ণিমার দিন ওমী মনহরাতে একটি টাইম বোম ফিট করে রেখে সবাইকে আটকে চলে যায়। সেখান থেকে কোনভাবে বেরিয়ে আসার পরই সিদ্ধার্থ ছুটে যায় ওমিকে মারার জন্য। তাদের মধ্যে হাতাহাতির সময় গুলি চলে যায় এবং ওমী মারা যায়। তারপরে ওমীকে খুনের অভিযোগে সিদ্ধার্থ গ্রেপ্তার হয়। তার ওপর চলে মামলা। কিন্তু গোপালের আশীর্বাদে সেখান থেকেও বেকসুর জামিন পায় সিদ্ধার্থ।এইসব মিটে সবে একটু শান্তির মুখ দেখেছিল মনোহরা।
তার মধ্যে আবার পুরনো শত্রু ওমীর দাদা আদিত্য আগারওয়াল ফিরে আসে। সে তার ভাইয়ের মৃত্যুর বদলা নিতে এবং তাদের ব্যবসাকে মোদক পরিবারের হাতে না যেতে দেওয়ার জন্য মিঠাইদের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করতে থাকে। সেই সূত্রে আদিত্য হাত মেলায় কাউন্সিলর প্রমিলা লাহার সাথে। সে এবার মিঠাইদের জীবনে একাধিক ঝড় তুলতে থাকে। প্রমিলা লাহা মিঠাইদের বাড়ি মনোহরা টাকে প্রমোটিং এ দিয়ে একটি ফ্ল্যাট বানানোর প্রস্তাব রাখে সিদ্ধেশ্বর বাবুর কাছে। কিন্তু তাতে মনোহারার কেউই রাজি হয় না।
তার প্রস্তাব যাতে মনহরার সবাই মানতে বাধ্য হয়, তাই জন্য চক্রান্ত করে প্রমিলা লাহা মনোহরাতে কিছু বেআইনি সোনার বাট রেখে দেয়। সেগুলো পুলিশের হাতে ধরা পড়তেই পুলিশ মনোহারাকে নিজেদের কবজায় নিয়ে নেয়। তার ফলে মিঠাইদের বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে আসতে হয়। সেই নিয়ে চলছে এখন মিঠাই ধারাবাহিকটি। সাধারণতই মনোহরায় সবার মন খারাপ কিন্তু সামনেই রয়েছে গণেশ পূজো তাই তার প্রস্তুতিও চলছে বাড়িতে। সিদ্ধার্থও নিজের মধ্যে অপরাধবোধে ভুগছে, যে সে তার পরিবারের জন্য কিছুই করতে পারছে না।
অত বড় বাড়ি ছেড়ে একটি ছোট জায়গার মধ্যে পরিবারের এতজন মানুষকে থাকতে হচ্ছে। এই নিয়ে মিঠাই সাথে কথা বলতে বলতে মিঠাইয়ের হঠাৎ মনে হয় যে তাদের বাড়িতে যে কল সারাতে এসেছিল সেই কি তবে সোনা গুলো রেখেছিল !এটি বলতেই সিদ্ধার্থ বলে লোকটি তাদের অনেক দিনের পরিচিত তাই এমন কিছু সে কেন করবে ?তবে মিঠাই বলে যে আমাদের পরিচিত মানুষরাই আমাদের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করে।
এমন সময় পরিবারের সকলে যখন সেখানে উপস্থিত হয় হঠাৎ সেখানে আবির্ভাব হয় প্রমিলা লাহার। সে তাদেরকে বলেন আপনাদের খুবই অসুবিধা হচ্ছে এইটুকু জায়গার মধ্যে থাকতে তাই আপনারা একবার আমার প্রস্তাবটা ভেবে দেখতে পারেন। কিন্তু মিঠাই তাকে কিছু কথা শুনিয়ে সেখান থেকে চলে যেতে বলে। তারপরে আবার শুরু হয় গণেশ পূজার প্রস্তুতি তারা যেখানে থাকছে সেই পাড়ায় গণেশ পূজার মণ্ডপে পুরো মোদক পরিবার সেজেগুজে উপস্থিত হয়।
পূজো দেওয়ার জন্য এমন সময় তাদের মধ্যে খুনসুটি চলছিল সে সময় হঠাৎই আবার প্রমিলা লাহা সেখানে আসে। সেখানে তাকে দেখে মোদক পরিবারের সবাই হা। কিন্তু সেখানে এসে প্রমিলা বলে সমরেশ বাবু তাকে আসতে বলেছে। সেটা শুনে স্বভাবতই কেউ বুঝতে পারছে না যে কি ঘটতে চলেছে। তখন সবাই অবাক চোখে সমরেশের দিকে চাইলে তখন অনুরাধা বলে যে আমি তোমার বাবাকে বলেছিলাম ওনাকে ফোন করে আসতে বলতে কারণ এখন তো আর ওনাকে ছাড়া আমাদের কোন উপায় নেই।
সেই শুনে তোর্সা বলে যখন আমি বলেছিলাম ওনার প্রপোজালটা মেনে নিতে তখন তোমরা মানতে চাওনি। কিন্তু এখন তোমরা নিজেরাই ওনাকে ডাকলে। এইসবের মধ্যেই সমরেশ বলে, আমি ওনাকে এটা দেখাতে ডেকেছি যে উনি বলেছিলেন আমরা কিছুই করতে পারব না কিন্তু আমরা যে কত ধুমধাম করে গণেশ পূজা পালন করছি সেটা যেন উনি দেখে যান। । আর তারপরে সবাই খুশি হয়ে আবার আনন্দ করতে থাকে। আর যা দেখে প্রমিলা লাহার সব চক্রান্তে জল পড়ে যায়।