নিরামিষ রান্না করলেই আমাদের মাথায় চিন্তা চলে আসে যে এমন কি রান্না করা যায় যাতে সবাই খুশি হয়ে যাবে আর চেটেপুটে প্লেট সাফ করে দেবে। তাহলে চিন্তা কেন করছেন আমরা তো রয়েছি। বাড়িতে সবার এখন পটল থাকে। সেই পটল দিয়ে পাতুরি বানিয়ে বাড়িতে সবাইকে খাওয়ান আজ। দেখবেন সবাই অবাক হয়ে যাবে। ভেটকি পাতুরি তো খেয়েছেন কিন্তু নিরামিষ পাতুরি এভাবে যে রান্না করা যায় সেটা কি আগে জানতেন?
এই রেসিপি অনেকেই জানেন না। কিন্তু বানানো খুব সহজ আর খুব কম উপকরণ লাগে। একেবারে ভাপিয়ে এটা বানাতে পারেন। তাই খুব বেশি সময় লাগে না। তাই আজকের জন্য দেখে নিন পটলের পাতুরি রেসিপি।
উপকরণ: ১. কাঁচা লঙ্কা
২. টক দই
৩. হলুদ গুঁড়ো, লঙ্কার গুঁড়ো
৪. গুঁড়ো দুধ
৫. পোস্ত
৬. সাদা সরষে
৭. নারকেল কোরা
৮. পরিমাণ মত নুন
৯. চিনি স্বাদের জন্য
১০. রান্নার জন্য তেল
১১. কলাপাতা
পদ্ধতি: পটলের গায়ের খোসা ছাড়িয়ে নিতে হবে। আর খোসা ছাড়িয়ে নেওয়ার পর পটলগুলোকে মাঝখান থেকে চিরে দেবেন। পটলের মধ্যে সামান্য নুন ও হলুদ ভালো করে মাখিয়ে কড়ায় দুই চামচ মত সরষের তেল গরম করে পটলগুলোকে ভালো করে ভেজে নেবেন। লালচে করে ভাজা হয়ে গেলে পটলগুলোকে তুলে আলাদা করে রাখুন। মিক্সিং জারের মধ্যে দু চামচ পোস্ত, দুই চামচ সাদা সরষে, দু চামচ নারকেল কোরা, চারটে মত কাঁচা লঙ্কা, দুই চামচ মত টক দই আর ১ চামচ মত গুঁড়ো দুধ নিয়ে সেটাকে পেস্ট মত তৈরী করুন। বড় টিফিনের নিচে কলাপাতা নিয়ে নিতে হবে। কলাপাতার উপরেই পেস্ট করে নেওয়া মশলা ঢেলে একে একে সামান্য হলুদ গুঁড়ো, লঙ্কার গুঁড়ো, পরিমাণ মত নুন, সামান্য চিনি আর দু চামচ মত সরষের তেল দিয়ে ভালো করে সবটা মিশিয়ে নেবেন। এই মশলার মধ্যে ভেজে রাখা পটলগুলোকে দিয়ে দিতে হবে। আর ভালো করে মশলা মাখিয়ে নেবেন। পটলের মধ্যে মশলা মাখানো হয়ে গেলে চারটে মত চেরা কাচালংকা দিয়ে আবারও একটা কলাপাতা দিয়ে উপরটা ঢেকে দেবেন। টিফিনের ঢাকনা বন্ধ করুন কারণ এবার ভাপানোর পালা। বড় কড়ায় বেশ কিছুটা জল দিয়ে তার মধ্যে একটা স্ট্যান্ডের ওপর টিফিন রেখে জল ফুটতে শুরু করলে ঢাকনা দিয়ে ৭-৮ মিনিট মত ভাপিয়ে নেবেন। ২-৫ মিনিট পর্যন্ত স্ট্যান্ডিং টাইম দেওয়ার পর টিফিনের ঢাকনা খুলুন আর কলাপাতা সরালেই তৈরী ভাপা পটলের পাতুরি।