বাংলা টেলিভিশনের পর্দায় একের পর এক ধারাবাহিক আসছে যাচ্ছে। এরই মধ্যে কিছু কিছু ধারাবাহিক অনায়াস দক্ষতায় দিল জিতে নেয় বাঙালি দর্শকদের। তারই মধ্যে অন্যতম হল জি বাংলার (Zee Bangla) পর্দায় চলা ধারাবাহিক ‘মিঠিঝোরা’ (Mithijhora)। তিন বোনের জীবনের গল্প নিয়ে এগিয়ে চলেছে এই ধারাবাহিক। এই ধারাবাহিকে তিন বোনের চরিত্রে রয়েছেন অভিনেত্রী আরাত্রিকা মাইতি, দেবাদৃতা বসু ও স্বপ্নীলা চক্রবর্তী।
(MithiJhora Today Episode 9 October মিঠিঝোরা আজকের পর্ব ৯ অক্টোবর)
তিন নায়িকা তিন নায়কের এই গল্প কিন্তু বেশ জমাটি। তিনজনই মূল নায়িকা হওয়ার ক্ষমতা রাখলেও এই ধারাবাহিকের প্রধান নায়িকা কিন্তু রাই অর্থাৎ অভিনেত্রী আরাত্রিকা মাইতি। খেলনাবাড়ি ধারাবাহিক পরবর্তী এই ধারাবাহিকে তিনি আবারও নিজের অভিনয়ের জাত চিনিয়েছেন। তার এবং অভিনেতা সুমন দে’র জুটি বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে।
তবে এই জুটির মধ্যে মিলনের থেকে ভাঙন অনেক বেশি দেখানো হয়েছে। প্রতি মুহূর্তে অনির্বাণের রাইয়ের প্রতি অবিশ্বাস, অনাস্থা ফুটে উঠেছে গল্পে। বর্তমান গল্প অনুযায়ী, অনির্বাণকে তার অন্যায়ের জন্য ক্ষমা করতে পারেনি রাই। কিন্তু অনির্বাণ রাইয়ের কাছ থেকে ক্ষমা প্রার্থনা করার জন্য বদ্ধপরিকর। আর তাই
অনির্বাণ ঠিক করে রাইয়ের দাদা বিক্রমকে সুস্থ করে তুলে নিজের প্রায়শ্চিত্ত করবে।
এই ধারাবাহিকের আজকের পর্বে দেখা যাবে, রাই অনির্বানের সঙ্গে দেখা করে কারণ তার দাদার চিকিৎসার জন্য অনেক টাকার প্রয়োজন। আর তাই রাই সিদ্ধান্ত নিয়েছে অনির্বাণের বাড়িতে তার যে গয়নাগুলো রয়েছে সেগুলো সে বিক্রি করবে। এরপরই সমস্ত বিষয় সে সোজা ভাষায় অনির্বাণকে জানায়। আর অনির্বাণ সবটা শুনে রাইকে বলে সে যখন খুশি তার বাড়ি গিয়ে গয়নাগুলো নিয়ে আসতে পারে।
কিন্তু দাদার সুস্থতার জন্য মরিয়া রাই আর একবারও না ভেবে তখনই যেতে চায়। এরপর তারা দুজনে গাড়ি করে অনির্বাণের বাড়ির দিকে রওনা হয়। আগের অনির্বাণ হলে হয়ত রাইকে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য জোর করতে। কিন্তু এখন অনির্বাণ বদলে গেছে। সে নিজের স্ত্রীর সিদ্ধান্তকে সম্মান দিতে শিখেছে। অনির্বাণের এই পরিবর্তন ভালো লেগেছে রাইয়ের।
আরও পড়ুন: উত্তেজনায় ভরপুর ‘আনন্দী’র আজকের পর্ব! নায়িকার জন্য প্রাণে বাঁ*চল আদিদেব
অনির্বাণের পরিবর্তন দেখে অনুতপ্ত হয় রাই। সে অনির্বাণকে বলে, সেদিন তার ওইভাবে কথাগুলো বলা উচিত হয়নি। তার ভুল হয়েছে। অনির্বাণ যেন তাকে ক্ষমা করে দেয়। রাইয়ের মুখে এই কথা শুনে মনে মনে বেশ খুশি হয় অনির্বাণ। অনির্বাণের প্রতি রাইয়ের যে এখনও অনুরাগ বেঁচে রয়েছে সেটা বুঝতে পেরে নিদারুণ খুশি হয় সে। তবে কি সত্যিই অনির্বাণের প্রতি দুর্বল হচ্ছে রাই? মিঠিঝোরা ধারাবাহিকের আগামী সব পর্বে তবে কি ফের সেই পাগল করা প্রেমের সাক্ষী থাকবেন দর্শকরা?