একটা সময় আসে যখন মানুষের জীবন পুরোপুরি বদল হয়ে যায়। যে মানুষটা খুব রগচটা থাকে সে পরবর্তীকালে খুব শান্ত হয়ে যায় তবে কোনো বিশেষ কারণে। বাস্তব জীবনে এটা আমরা দেখেছি কিন্তু সিরিয়ালের যে এটা হয় তার প্রমাণ আমরা পেয়েছি বারবার। রাগী নায়করা শান্ত হয়ে গেছে বউয়ের ভালোবাসায় আবার ভিলেনরা হঠাৎ ভালো হয়ে গেছে নায়িকার ভালোবাসায়।
এবার যেমন এই ঘটনাটা ঘটলো গাঁটছড়ায়। আমরা সকলেই জানি, সিংহ রায় পরিবারের বড় ছেলে ঋদ্ধিমান সিংহ রায় কতটা রাগী অহংকারী এবং বদমেজাজি ছিল। খড়ির সঙ্গে তাঁর ভাগ্যচক্রে বিয়ে হয়ে যায় এবং তারপর থেকেই খড়ি ভট্টাচার্যকে একদম সহ্য করতে পারত না। তবে তার পরে নদী দিয়ে অনেক জল গড়িয়ে গেছে। ধীরে ধীরে খড়ির সৎ প্রতিবাদী অথচ ভদ্র ব্যবহার তাকে খড়ির প্রতি মুগ্ধ করে তুলেছে।
বর্তমানে খড়ির প্রতি তার ভালোবাসা জেগে উঠেছে। মানে দর্শকরা এরকমই মনে করছেন। যে খড়িকে একসময় উঠতে-বসতে অপমান করত ঋদ্ধি, সেই খড়ির কাছে হাঁটু গেড়ে এবার নিজের এক্সহিবিশনের জন্য সাহায্য ভিক্ষা করেছিল ঋদ্ধি।খড়ির মনেও ঋদ্ধিমান বাবুর জন্য একটু একটু করে ভালোবাসা জেগে উঠেছে সেই জন্য খড়ি নিজের সাধ্যমত সাহায্য করেছে এবং এক্সহিবিশনকে সফল করে তুলেছে একরাতের চেষ্টায়।
আজকের এপিসোডে আমরা দেখব ধুমধাড়াক্কা পর্ব। খড়ি এমনিতেই চুনকালি মাখিয়ে রাহুলকে পুলিশের হাতে তুলে দেবে। অন্যদিকে খড়ির বাড়ি উচ্ছেদ নোটিশ আসবে এবং গুন্ডারা এসে ভাঙচুর করতে শুরু করবে খড়ির বাড়িতে। খড়ির বাবা তাদেরকে বাধা দিতে গেলে তারা খড়ির বাবাকে মারবে তখন দৌড়ে খড়ি ছুটে যাবে আর গুন্ডারা ধাক্কা মেরে ফেলে দেবে । খড়ি গিয়ে সোজা পড়বে ঋদ্ধিমান বাবুর হাতে।
View this post on Instagram
ঋদ্ধিমান এই ঘটনা দেখে ভীষণ রেগে যাবে এবং গুন্ডাদের ধরে মারতে মারতে বলবে তোরা আমার স্ত্রীয়ের গায়ে হাত দিয়েছিস, এত বড় সাহস কী করে হয় তোদের? সেই কথা শুনে খড়ি চমকে যাবে। অবশেষে খড়িকে নিজের স্ত্রী বলে স্বীকার করল ঋদ্ধিমান।