প্রতিটি মানুষের জীবনে আলাদা আলাদা স্বপ্ন থাকে। কারো ক্ষেত্রে সেই স্বপ্ন পূরণ হয় কারোর ক্ষেত্রে কিছু পূরণ হয় কিছু হয় না। আবার কারোর ক্ষেত্রে যা চেয়েছিল তার পুরো উল্টো জোটে ভাগ্যে। তবু যেটা প্রাপ্তি সেটা নিয়েই সুখে থাকতে হয় জীবনে, এমনই বলে মানুষ। এই টলিউড অভিনেত্রীর ভাগ্যটাও ঠিক এরকম। হতে চেয়েছিলেন অন্য কিছু আর হয়ে গেলেন লাইট ক্যামেরা অ্যাকশনের দুনিয়ার রানী।
মিশমি দাস। যদিও এই নামের থেকেও রিনি নামে তিনি বেশি জনপ্রিয়। এই মুহূর্তে বাংলা টেলিভিশন জগতের জনপ্রিয় খলনায়িকাদের মধ্যে অত্যন্ত জনপ্রিয় এক নায়িকা হয়ে উঠেছেন মিশমি। বহু মানুষের স্বপ্ন থাকে অভিনেতা বা অভিনেত্রী হওয়ার। তবে নায়িকা খলনায়িকা হতে পেরে নিজেকে সৌভাগ্যবতী মনে করেন। কেনো?
আসলে এখন খলনায়ক বা খলনায়িকার চরিত্র অন্য যে কোনো চরিত্র থেকে অনেক বেশি কঠিন পর্দায় ফুটিয়ে তোলা। কারণ ধূসর চরিত্রের অনেকগুলি আস্তরণ থাকে। ঠিক যেনো পেঁয়াজের খোসা। একটা ছাড়ালেই আরেকটা বেরিয়ে আসে নতুন রূপে। অভিনয় করার ক্ষেত্রে সুযোগটা অনেক বেশি থাকে, নিজেকে অভিনেত্রী বা অভিনেতা হিসেবে মেলে ধরার সুযোগ অনেক বেশি থাকে। তার পরিবর্তে দর্শকদের থেকে যে গালাগালি জোটে সেটাই প্রাপ্তি। ইতিপূর্বে এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই ইঙ্গিত করেছিলেন মিশমি।
আজকে অভিনেতার হিসেবে এত সম্মান এত প্রশংসা তবে একটা সময় তিনি অভিনেত্রী হতে চাননি। চ্যাটার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন। হঠাৎ করে ঘুরে গেল ভাগ্যের চাকা। কলেজে পড়ার সময় ম্যাগাজিনের জন্যে মডেলিং করতেন। সেই থেকেই ২০১৪ সালে জি বাংলার ‘রাজযোটক’ সিরিয়ালে পেলেন সুযোগ। অনামিকা চক্রবর্তীর পাশাপাশি দর্শকমহলে বেশ প্রশংসিত হয়েছিল নতুন মুখ হিসেবে মিশমির অভিনয়।
পরবর্তীতে ‘ফাগুন বউ’, ‘জিয়নকাঠি’, ‘গাছকৌটো’, ‘জীবন জ্যোতি’, ‘প্রেমের ফাঁদে’, ‘সীমানা পেরিয়ে’-র মতো একাধিক জনপ্রিয় ধারাবাহিকে কাজ করলেন।জনপ্রিয় বাংলা সিনেমা ‘বুড়ো সাধু’-তে ঋত্বিক চক্রবর্তীর প্রেমিকা হয়েছেন। বর্তমানে অভিনেত্রীকে দেখা যাচ্ছে ‘আমাদের এই পথ যদি না শেষ হয়’ সিরিয়ালে রিনি হিসেবে।