জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক ফুলকি (Phulki)। ইতিমধ্যেই ধারাবাহিকে নতুন মোড়ের কারণে নিজেদের দ্বিতীয় স্থান ফিরে পেয়েছে ধারাবাহকটি। বর্তমানে ধারাবাহিকে চলছে ফুলকি আর রোহিতের ডিভোর্সের কেস। শালিনীর মিথ্যে সুইসাইডের নাটক করার পর শালিনীর রোহিতকে বলা কথাগুলি শুনে নেয় ফুলকি এবং ভেবে নেয় রোহিতকে এই জোরজবরদস্তির বিয়ে থেকে মুক্তি দিয়ে শালিনীর সঙ্গে নতুনভাবে সম্পর্ক গড়ার সুযোগ করে দেবে সে।
যেমন কথা তেমন কাজ। ফুলকি ডিভোর্সের কথা বলতে চলে যায় ধানুদির কাছে। সেখানে গিয়ে তাকে ফুলকির ডিভোর্সের কেস লড়তে বলে ফুলকি। সেই কথা শুনে ধানু প্রথমে খুব অবাক হয় কিছু না বুঝতে পেরে সেই কথা ধানু বাড়ি গিয়ে জানিয়ে দেয় সকলকে। রোহিতও সেই কথা শুনে খুব রেগে যায়। তারপর ফুলকির সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করে কিন্তু রোহিতের কোনও কথাই মানতে নারাজ ফুলকি। বাড়ির সকলেই এই কথা শুনে পরে যায় দুশ্চিন্তায়।
সকলে মিলে এই কথা জেঠুমনিকে গিয়ে বললে তিনি বলেন ফুলকি যা করেছে ঠিক করেছে এইভাবেই শালিনীকে নিজের জীবন থেকে বের করে দেবে রোহিত। কারণ ফুলকিকে ছাড়তে সে পারবে না। তাই যেমনটা ফুলকি চাইছে তাই হোক। সেই কথা শুনে সকলে অবাক হলেও মেনে নেয় জেঠুমনির কথা। ফুলকিকে তিনি বলেন তার সিদ্ধান্তে অনড় থাকতে। তারপর থেকে কেউই ফুলকির সঙ্গে কথা বলতে বা দেখা করতে দেয়না রোহিতকে।
এদিকে রোহিত ফুলকির বক্সিংয়ের জন্য চিন্তা করতে থাকে আর ভাবতে থাকে কি করে সে ফুলকিকে ডিভোর্স দেওয়ায় থেকে আটকাবে। রোহিত ফুলকির সঙ্গে দেখে করতে এলে তাড়িয়ে দেয় সকলে তাই ফুলকি রোহিতকে চিঠি লিখে বলে দেখা করতে। ফুলকির দৌড়াতে যাওয়ার রাস্তায় চলে আসে রোহিত। তারপর ফুলকি তার গাড়িতে বসলে তার বানান ভুল নিয়ে বকতে থাকে সে। কিন্তু ফুলকি রাগ করে বেরিয়ে যাচ্ছে দেখে সে নিজেকে শান্ত করে তাকে ঘুরতে নিয়ে যায় আর তার জন্য একটা শাড়িও নিয়ে আসে। তারপর তারা একটি পার্কে যায় কিন্তু রাস্তায় তাদের একসঙ্গে দেখে নেয় জেঠুমনি।
আরো পড়ুন: দারুণ খবর! স্টার জলসায় ফিরছেন সর্বকালের জনপ্রিয় অভিনেতা এবং অভিনেত্রী জুটি!
তিনি গিয়ে সকলকে বকেন কিন্তু তমাল তাকে জানিয়ে দেয় সে সবটা সামলে নেবে। তারপর তারাও চলে যায় পার্কে আর ফুলকির সঙ্গে কথা বলার জন্য ছদ্মবেশ নেয় ধানু। ওদিকে ফুলকি মাথায় ফুল গুঁজতে পারছিল না দেখে রোহিত তার মাথায় ফুল গুঁজে দেয়। তখন সে ভুল করে বলে ফেলে যে সে শালিনীর মাথায়ও ফুল গুঁজে দিত। সেকথা শুনে কেঁদে ফেলে ফুলকি কিন্তু রোহিত তার চোখের জল মুছিয়ে দেয়। কিন্তু ফুলকি তাকে জানিয়ে দেয় সে রোহিতকে ডিভোর্স দিয়ে দেবে। ওদিকে রুদ্রর কাছে গিয়ে শালিনী তার আর রোহিতের কথা বলতে থাকে।
আর বলে সে এইসব আর সহ্য করবে না। তখনই সেখানে চলে আসে ঈশানি আর বলে রোহিত আর ফুলকি সকলের থেকে লুকিয়ে পালিয়েছে একসঙ্গে থাকার জন্য। সেই শুনে আরও রেগে যায় শালিনী। রোহিতও ভাবতে থাকে সে কি করে তাকে ডিভোর্সটা বাতিল করতে হবে কারণ ওই বাড়ি ফিরে গিয়ে ফুলকি থাকতে পারবে না আর তার বক্সিংও বন্ধ হয়ে যাবে।