সে যে ভীষণ মিষ্টি তাকে চিনি চিনি ভালবাসতে আসছে তোমায় নাম মিঠাই। এই গানের সুরটা শুনলেই ভীষণ খুশি হয়ে যান দর্শকরা। রাত আটটা বাজলেই ঘরে ঘরে সবাই দেখতে শুরু করেন মিঠাই। অনেকদিন ধরে কোন প্রোমো ছিল না মিঠাইয়ের। সেই নিয়ে কম আন্দোলন করেননি দর্শকরা। অবশেষে দীর্ঘ দুমাস পর টিভিতে এলো মিঠাইয়ের প্রোমো। তবে সেটা দেখে অধিকাংশ মানুষ খুশি হওয়ার বদলে শুরু করেছেন সমালোচনা।
আমরা আপনাদেরকে আগেই জানিয়েছিলাম যে ললিতা আন্টির মেয়ে অনুরাধা ম্যাম কে মোদক পরিবারের বউ করে আনা হবে। কারণ গল্প দেখে তাই মনে হচ্ছিল যদিও সিদ্ধার্থ নিজের মায়ের জায়গা দিতে কাউকে রাজি ছিল না সেটাও আমরা জানতাম কিন্তু গতকালের এপিসোডে যখন মিঠাই সিদ্ধার্থকে বোঝালো তখনই বোঝা গেছিল যে এইবার আসতে চলেছে বিয়ের গল্প আর খুব সম্ভবত সেটা নিয়েই হতে চলেছে নতুন প্রোমো।
আমাদের আন্দাজ একদম সঠিক। গতকাল মাঝরাতেই মিঠাইয়ের নতুন প্রোমো চলে এসেছে এখানে আমরা দেখতে পাচ্ছি যে অনুরাধা ম্যাম আর সমরেশ এর বিয়ে দিচ্ছে মিঠাই এবং সিদ্ধার্থ। পরিবারের সকলের উপস্থিতিতে রেজিস্ট্রি পেপারে সই করছেন অনুরাধা এবং সমরেশ। দূরে সিদ্ধার্থ হাসি হাসি মুখে তাকিয়ে দেখছে আর মিঠাই তো খুব খুশি নতুন শাশুড়ি মা পেয়ে। এবার মনে হচ্ছে সমরেশ আর সিদ্ধার্থের মধ্যে সম্পর্কটা বদলাবে। সিদ্ধার্থ এবার সমরেশকে বাবা বলে ডাকবে।
তবে অনেকেই পছন্দ করেননি কারণ এর আগে যখন জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল অনুরাধা ম্যামকে কি সমরেশের বৌ হিসাবে ভালো লাগবে? তখন অধিকাংশ মানুষ জানিয়েছিলেন যে না অনুরাধা ম্যাম সমরেশের বন্ধু হয়ে থাকলেই ভালো। আসলে আমাদের সামাজিক ধ্যান-ধারণা এখনো এটা মেনে নিতে পারে না যে একটা মানুষের সারা জীবনের সঙ্গী দরকার হয়। এখানে সমরেশ ভীষণ একা ছিল,নিজের বউকে সে ভালো রাখতে পারেনি তার অপরাধবোধ তাকে কুরে কুরে খেত। ছেলের সঙ্গেও সম্পর্ক ভালো নয় সেটাও তাকে কষ্ট দিত। সমরেশ অবশ্যই তার জীবনে একজন সঙ্গিনী ডিজার্ভ করে বলে মনে করেছিল মিঠাই।তাই সে এই কাজটা ঘটিয়েছে।
তবে গোঁড়া সংস্কারী নেটিজেনরা বলছেন যে এই বয়সে শ্বশুরের বিয়ে দিল ইয়ার্কি নাকি! সিদ্ধার্থকে শেষ পর্যন্ত নিজের বাবার বিয়ে দেখতে হলো আর দাদু ঠাম্মিই বা কী করে মেনে নিল?