Mithijhora Today Episode: জি বাংলার (Zee Bangla) যে সমস্ত ধারাবাহিকগুলো শুরুর থেকেই দর্শকদের মাঝে আলোচনায় উঠে এসেছে তার মধ্যে অন্যতম অর্গানিক স্টুডিওর মিঠিঝোরা (Mithijhora)। শুরুর থেকেই ধারাবাহিকে এসেছে একের পর এক চমক। তিন বোনের কাহিনী, প্রথম দৃষ্টিভঙ্গি ভীষণ পছন্দ করেছেন দর্শকরা। ফলে দিনে দিনে বেশ খানিকটা বেড়েছে ধারাবাহিকের টিআরপি (TRP)। তবে ধারাবাহিকের তিনটি জুটির মধ্যে যে সম্পর্কটি দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছে সেটা হল রাই এবং অনির্বাণ। জীবনের নানান ঘাত প্রতিঘাত, চড়াই উতরাই পেরিয়ে অবশেষে একে অপরের কাছে এসেছে তারা।
তবে ভাগ্যের পরিহাসে একদিকে যেমন বড় দিদির ভালোবাসা পরিণতি পাচ্ছে, অপরদিকে ভেঙে চুরমার হয়ে যাচ্ছে মেজ বোনের সংসার। তবে নীলু সঙ্গে যা যা হয়েছে তার জন্য রাইকেই একমাত্র দোষী বলে মনে করছে নীলু। সেই কারণেই দিদির বিয়েতে একবারেই খুশি হতে পাচ্ছে না সে। উল্টে সে ভাবছে কীভাবে দিদির বিয়েটা ভাঙা যায়। যদিও রাইয়ের সঙ্গে অনির্বাণের সম্পর্কটা মেনে নিয়েছে শৌর্য্য। বিয়ের সব অনুষ্ঠানে সে থাকবে এমনটাই জানিয়েছে সে।
মিঠিঝোরা আজকের পর্ব ২ জুলাই (Mithijhora Today Episode 2 July)
আজকের পর্বে ধারাবাহিকে দেখা যাবে অবশেষে এসে গেছে রাই আর অনির্বাণের বিয়ের শুভ দিন। শুরু হয়ে গেছে রাই আর অনির্বাণের বিয়ের অনুষ্ঠান। ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে অনির্বাণের গায়ে হলুদ। তবে গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানেও মাঝেও বারবার ফোন বাজতে থাকে অনির্বাণের। ছেলের এত ব্যস্ততা দেখে অনির্বাণকে রাইয়ের ব্যাপারে ফের খারাপ খারাপ কথা শোনাতে থাকে অনির্বাণের মা। তবে মায়ের একটা কথাও গায়ে মাখেনি অনির্বাণ উল্টে মাকেই আরও দু’চার কথা শুনিয়ে দেয় সে।
অনির্বাণের গায়ে হলুদের পালা শেষ হওয়ার পরই চলে আসে শৌর্য্য। সে জানায় শর্মি আর শর্মির বরের সঙ্গে সেও যাবে রাইয়ের বাড়ি তত্ত্ব নিয়ে। কথাটা শুনে বেশ রেগে যান সুচিস্মিতা। তিনি বারবার শৌর্য্যকে বারণ করেন ওই বাড়ি যেতে। কিন্তু মায়ের একটা কথাও না শুনে শৌর্য্য তত্ত্ব নিয়ে চলে যায় রাইয়ের বাড়ি। শৌর্য্যকে বাড়িতে দেখে খুব খুশি হয় নীলু। রাইও শৌর্য্যকে বলে নীলু অনেকক্ষণ ধরে তার জন্য অপেক্ষা করছিল।
আরও পড়ুন: দুষ্কৃতীদের রুখতে ডায়মন্ডের সঙ্গে শুরু হল হিরণের বন্ধুত্ব! ডায়মন্ড দিদি নতুন প্রোমো ভাইরাল ! দেখেছেন আপনারা?
ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যা করল নীলু
না তাতেও চিঁড়ে ভেজেনি একেবারেই। উল্টে শৌর্য্য রাইকে স্পষ্ট জানিয়ে দেয় সে পুরোনো কোন কথা এখনও ভোলেনি। সে এখানে পুরোনো সম্পর্ক জোড়া লাগাতে আসেনি শুধুমাত্র তার দাদার বিয়েতে শামিল হতে এসেছে। শৌর্য্যর মুখে এহেন কথাগুলো শুনে ভীষণ কষ্ট পায় নীলু। এইসব কিছুর জন্য রাইকে দোষারোপ করে সে চলে যায় ঘরে। ঘরে গিয়ে ঘুমিয়ে ওষুধের শিশি বের করে সে মনে মনে বলে এই জীবন আর সে রাখবে না। তবে কি শেষ মুহূর্তে এসে নীলুকে বাঁচাতে পারবে শৌর্য্য নাকি শেষ হয়ে যাবে সব। জানতে হলে দেখতে থাকুন মিঠিঝোরা।
View this post on Instagram