ভক্তি ভালো কিন্তু অতিরিক্ত ভক্তি কখনোই ভালো নয়। সাধারণত আমরা এরকমটাই জেনে এসেছি।তবে মাঝে মাঝে কিছু সিরিয়ালের ভক্তরা সেটা ভুলে যায় এবং সভ্যতার সীমা লংঘন করে তারা অসভ্যতার পথে এমন ভাবে চলে যান যে তাদের ফিরিয়ে আনা যায় না।সম্প্রতি একটি গান নিয়ে এবার স্টার জলসার একটি সিরিয়াল এবং জি বাংলা সারেগামাপার মধ্যে বাঁধল বিরোধ।
স্টার জলসার অন্যতম জনপ্রিয় সিরিয়াল ছিল মোহর। মফস্বলের এক মেয়ে কলকাতায় এসেছিল পড়াশোনা করবে বলে যদিও তার পর সিরিয়ালের গল্প অন্যদিকে ঘুরে গেছে কিন্তু মোহরকে অনেকেই মনে রেখেছে তার প্রতিবাদী স্বভাবের জন্য। সিরিয়ালে একটা গান বারংবার ব্যবহার করা হতো তাই অনেকেই ভাবেন যে গানটা সিরিয়ালের থিম সং। গানটা হলো ‘পথে এবার নামো সাথী পথেই হবে পথ চলা।’ সাধারণত যারা সিরিয়াল দেখেন তারা এই গানটা শুনলেই মনে করেন মোহরের কথা।
এবার জি বাংলা সারেগামাপা খুব শীঘ্রই আসছে এবং সেখানে একটি টিজারে এই গানটি ব্যবহার করা হয়েছে।ব্যস, তারপরেই মোহরের অন্ধ ভক্তরা সোশ্যাল মিডিয়ায় একদম লাফালাফি শুরু করে দিয়েছেন যে সারেগামাপা কেন মোহরের গানটা নিয়েছে? এবার স্বাভাবিকভাবেই যারা গানটার আসল উৎস জানেন তাঁরা যথেষ্ট অবাক হয়েছেন।অভিনেতা আবির চ্যাটার্জির বাবা ফাল্গুনী চ্যাটার্জী যিনি যথেষ্ট সিনিয়র একজন অভিনেতা এবং বর্তমানে তিনি ধূলোকণা সিরিয়ালে লালনের বাবার চরিত্রে অভিনয় করছেন। তিনি গতকাল এর প্রতিবাদে ফেসবুকে একটা পোস্ট লেখেন।
মোহর ভক্তদের এমন ঔদ্ধত্য যে সেখানে ফাল্গুনী চ্যাটার্জিকে তারা যাচ্ছেতাই বলে অপমান করেছেন।অজ্ঞানতা যে কতটা বড় ভয়ঙ্কর হতে পারে সেটা এই মোহর ভক্তদের না দেখলে বোঝা যাবে না। এরা বিশেষ করে অনেকেই বাংলাদেশের বাস করেন তাই স্বাভাবিকভাবেই গানটার আসল উৎস সম্পর্কে তারা জানেন না কিন্তু একটু গুগল করলেই জানা যেত যে গানটা তৈরি হয়েছে 1954 সালে সলিল চৌধুরীর সুরে হেমন্ত মুখার্জীর গলায়।
এই গানটা তবে থেকেই বিভিন্ন রকম প্রতিবাদ ও মিছিলের অঙ্গ হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে। তাই মোহরেও কিন্তু এই গানটা ব্যবহার করা হয়েছে। এই গানটা মোহরের নয়।এবার প্রত্যেকটা সিরিয়ালে রবীন্দ্রসঙ্গীত ব্যবহার করা হয়। এখন যদি কেউ বলেন যে ওই গানটা ওই সিরিয়ালের, রবীন্দ্রনাথের নয় তাহলে কেমন লাগবে? মোহর ভক্তদের এইরকম করাটা কি সত্যিই উচিত ছিল?