জি বাংলার পর্দায় চলা বেশ কিছু ধারাবাহিক দর্শকদের বেশ প্রিয়। টিআরপি তালিকা প্রথম পাঁচের মধ্যে চলতি সপ্তাহে চারটি ধারাবাহিকই জি বাংলার। অর্ক গঙ্গোপাধ্যায়ের (Arka Ganguly) লেখনীতে চলা কার কাছে কই মনের কথা (Kar Kache Koi Moner Kotha) ধারাবাহিকটিও দর্শকদের বেশ মনে ধরেছে। তবে জনপ্রিয়তার পাশাপাশি সমান বিতর্কের মুখে পড়েছে এই ধারাবাহিকটি।
মানালি দে, স্নেহা চট্টোপাধ্যায়, বাসবদত্তা চট্টোপাধ্যায়ের মতো নামিদামি অভিনেত্রীদের সমাহার এই ধারাবাহিকে। যদিও এই ধারাবাহিকের কেন্দ্রীয় চরিত্রে রয়েছেন মানালি। আর তার বিপরীতে নায়ক চরিত্রে রয়েছে রয়েছেন দ্রোণ মুখোপাধ্যায়। বিভিন্ন ধরনের পারিবারিক অত্যাচারের মুহুর্ত দেখিয়ে বিভিন্ন সময় দর্শকদের কটাক্ষের মুখে পড়েছে এই ধারাবাহিকটি।
এই ধারাবাহিকে সদ্য বিবাহিতা এক নারীর ওপর অত্যাচারের ঘটনা দেখাতে গিয়ে দেখানো হয়েছে ফুলশয্যার রাতে নায়কের মা ছেলে ও ছেলের বউয়ের ফুল বিছানো খাটে শুয়ে পড়ছে, কিংবা নায়ক পরাগ নিজের স্ত্রীর সঙ্গে জোর করে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করছে। দেওর বৌদির গায়ে হাত তোলার জন্য নিজের দাদাকে উস্কোচ্ছে। আর সদ্য বিবাহিত শিমুলের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে তার পাড়ার প্রতিবেশী বন্ধুরা। শিমুলের প্রত্যেকটা পদক্ষেপে তার ভালোর জন্য তার পাশে দাঁড়িয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করছে তারা।
পাড়ার এই তিন প্রতিবেশী বন্ধু সকাল থেকে রাত শিমুলের বাড়িতেই থাকে। আর যা দেখে বিরক্তি প্রকাশ করেছেন এই ধারাবাহিকের দর্শকদের একাংশ। পাড়ার মানুষদের একটি পরিবারের সমস্ত কিছুতে দখলদারি দেওয়া যেমন অবাস্তব তেমনই অনৈতিক। অন্যদিকে আবার তারা বলছেন পাড়ার বন্ধুদের পাশে পেয়ে সাহস দ্বিগুণ হয়ে গেছে শিমুলের সে এখন সংসারে রান্না ব্যতীত আর কোন কাজই করতে চাইছে না। ঝাঁট দেওয়া, বাসন মাজা তার কাছে কাজের লোকের কাজ। দর্শকদের প্রশ্ন বাড়ির মা কাকিমা জেঠিমারাও তো এই কাজ করতেন তাহলে কি তারা কাজের লোক? অনেকে তো চাকরি করেও একার হাতে এইভাবে সংসার সামলান এটা তো সংসারেরই অংশ। সেটাকে এইভাবে আলাদা করে কাজের লোকের কাজ বলার কি মানে?
সোশ্যাল মিডিয়ায় এক নেটিজেন লিখেছেন, ‘কার কাছে কই মনের কথার সবাই ঠিক আছে, পাড়ার বউদের সিন গুলো বেশ ভালো লাগে। কিন্তু তাই বলে সকাল নটা দশটার সময় যদি সবাই মিলে বাড়িতে এসে হাজির হয় তাহলে তো বাড়ির লোকজনের রেগে যাওয়াই স্বাভাবিক! ‘ তিনি আরও লিখেছেন, ‘পরাগ একটা অত্যন্ত অসভ্য ছোটলো ছেলে, কিন্তু সামান্য একটা জামা কাপড় ইস্ত্রি করা নিয়েও যদি পাড়ার লোকেরা মাথা গলায় তাহলে তো রেগে যাবেই! সবসময় অপমানিত হতে কী ওর ভালো লাগে?’
View this post on Instagram