বাংলা টেলিভিশনের জনপ্রিয় ধারাবাহিক হল জি বাংলার ‘মিঠাই’। প্রায় দু বছর হতে চললো টেলিভিশনের পর্দায় রমরমিয়ে চলছে এই সিরিয়াল। মাঝখানে টিআরপিতে ভাটা পড়লেও জনপ্রিয়তা বিন্দুমাত্র কমেনি। আর এই এতদিনের পথ চলায় একের পর এক নিত্যনতুন টুইস্ট এসেছে গল্পে। এই গল্পে প্রথম বড় টুইস্ট মিঠাইয়ের মৃত্যু। আর তারপর গল্পে শাক্যের এন্ট্রি গল্পকে এক নতুন রূপ দেয়। মিঠাই মারা যাওয়ার পর শাক্য আসায় প্রাণ ফিরে পেয়েছে দর্শকরা।
আর সেই ছেলে শাক্যকে সামলাতে সামলাতে নাকি নাজেহাল অবস্থা উচ্ছে বাবুর। ছেলে ভীষণই দুষ্টু হয়েছে আর সেটা শুধু সিরিয়ালে নয়। ছোট্ট খুদে এই শাক্যর চরিত্রে অভিনয় করছে ধৃতিষ্মান চক্রবর্তী যার বয়স মাত্র পাঁচ বছর। যেরূপ অভিনয় দক্ষতা দিয়ে মাতিয়ে রেখেছে ‘মিঠাই’ ধারাবাহিককে, সেরূপ এই খুদেশিল্পী ঝুলিতে রয়েছে রেকর্ড। সবথেকে কম বয়সী বহুভাষী গায়ক হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে পেয়েছে “রাষ্ট্রীয় বাল পুরস্কার”।
সকল দর্শক তাকে ভালোবাসায় ভরিয়ে রেখেছে। খোদ আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছ থেকে পুরস্কৃত হয়েছে যে তার প্রতিভা নিয়ে কোনও প্রশ্ন থাকতে পারে না। ধৃতিষ্মান বাংলা, হিন্দি, ইংরেজি, অসমীয়া সহ আরো ৭-৮ টি ভিন্ন ভাষায় গান গাইতে পারে। সোশ্যাল মিডিয়াতেও বেশ ভাইরাল সে। মায়ের সঙ্গে সুন্দর সুন্দর গান গেয়ে প্রথম থেকেই বেশ জনপ্রিয় ছিল ধৃতিষ্মান। এবার তার অভিনয় তাকে আরও খ্যাতির চূড়ায় পৌঁছে দিয়েছে।
যদিও তার এসকলের পিছনে রয়েছেন তার মা। তার মা সোনাম চক্রবর্তী জানান, ছোট থেকেই শাক্যের গানের প্রতি ভীষণ আগ্রহ। হাঁটতে শেখার আগেই তার মধ্যে তৈরি হয়েছিল গান শেখার আগ্রহ। আর তাই সে স্বপ্ন দেখে কিশোর কুমার, অরিজিৎ সিংএর মতোই বড়ো গায়ক হওয়ার। তবে এসব গুনের পাশাপাশি তার আরও একটা গুন্ রয়েছে। শাক্য দুষ্টুমিতেও সকলের থেকে এগিয়ে।
তার দুষ্টুমির কথা সে নিজেই স্বীকার করেছে। ধারাবাহিকে সে যেরূপ দুষ্টুমির অভিনয় করছে, বাস্তবে তার থেকেও বেশি দুষ্টুমি করে সে। এমনকি শুটিং চলাকালীনও দুষ্টুমির শেষ নেই। তার এই দুষ্টুমিতে নাজেহাল সকলেই। তবে এই মিষ্টি বাচ্ছার প্রতি রেগে থাকতে পারে না শুটিংয়ের কেউই। সে যেরূপ সকলকে ভালোবাসায় ভরিয়ে রাখে, সকলে সেরকমই ভালোবাসায় ভরিয়ে রাখে শাক্যকে।