টলিউডে প্রেম নিয়ে জল্পনার শেষ নেই। কারোর বছর বছরের প্রেম। বিয়ে না করেও দিব্যি থেকে গেছেন তাঁরা। আবার কারোর বিয়ের পিঁড়িতে বসতে না বসতেই সেই সম্পর্কের ইতি হয়ে যাচ্ছে, জড়িয়ে যাচ্ছে অন্য সম্পর্কে।
যেমন এই বিষয়ে সবথেকে চর্চিত জুটি হল প্রসেনজিৎ – দেবশ্রী। প্রসেনজিৎ দেবশ্রীর ছোটবেলা থেকে প্রেম। সেই বিয়ে গড়িয়েছিল বিয়ের পিঁড়ি অবধি। অত্যন্ত চর্চিত জুটি ছিল। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি তাতে। বিয়ের তিন বছর পর ভেঙে যায় সেই সম্পর্ক।
আবার বিয়ের বিষয়ে আরও এক বিখ্যাত নাম হল শ্রাবন্তী। একের পর এক বিয়ে নিয়ে সারাক্ষণ চর্চায় থাকেন তিনি। একটি নিয়ে ভাঙতে না ভাঙতে তাঁর পরের বিয়ের খবর হয়ে যায়। তবে এবার সবাই চেয়ে রয়েছে অঙ্কুশ – ঐন্দ্রিলার বিয়ের দিকে। কিন্তু বরাবরই এই বিষয়ে বিশেষ মুখ খোলেন না তারা। একে অপরের পরিবার, ক্যারিয়ার সমস্ত আপ – ডাউনে তারা পাশে থাকেন। কিন্তু বিয়ের বিষয়েই যেন মুখে কুলু আটেন।
ভ্যালেন্টাইন্স ডের দিন অর্থাৎ ১৪ ই ফেব্রুয়ারি তাদের সম্পর্কের ১৩ বছর পূর্ণ পাচ্ছে। এছাড়াও এই দিনেই অঙ্কুশের জন্মদিন। তবে বিয়ের বিষয়ে, বিয়েটা হবে কিনা জানিনা এই উত্তরই পাওয়া গেছে। তাও, নিয়ে সম্পর্কে এই সন্দিহান মনোভাব অঙ্কুশ তাঁর ও ঐন্দ্রিলার একটি রোমা’ন্টিক ছবি শেয়ার করে লিখেছেন।
ছবিটি সম্ভবত বেশ পুরনো একটি ছবি। তাতে অঙ্কুশের কো’লে বসে রয়েছেন প্রেমিকা ঐন্দ্রিলা। একে অপরকে চু’ম্বন করছেন। আর ঠিক তার ওপরেই লেখা, “কিছু বিশেষ কারণে বিয়েটা হবে কি না জানি না”।
আর ব্যস তারপর ইন্ডাস্ট্রির একের পর একজনের ফোন তাঁর কাছে আসছে। এর মাঝে অভিনেত্রী শ্রাবন্তীও কার্যত ঝাড় দিতেই ফোন করেন। কিন্তু অঙ্কুশ বরাবরই বেশ রসিকতার সঙ্গে উত্তর দিতে পছন্দ করেন।
এখানেও উত্তর দিয়েছেন, “শ্রাবন্তীর যদি এতই সমস্যা হয় আমার ব্যাচেলর থাকা নিয়ে, তো ও করে নিক না আমাকে বিয়ে, আমার কোনও সমস্যা নেই”। কিন্তু বলার পরই বোঝেন আবহাওয়া ওদিকে পাল্টে গিয়েছে। ঐন্দ্রিলা খচে বোম।
কিন্তু আদতেই কি তাই? একটু ভাবলে বোঝা যাবে যে এরকমটি একদমই নয়। বরং অঙ্কুশের সিনেমা জীবনের প্রথম দিকের নায়িকা শ্রাবন্তী। তাঁর সঙ্গে মাঝে মধ্যেই বিদেশে শ্যুটিং- এ যান। তাঁর নিচে কমেন্টে খুনসুটি করেন শ্রাবন্তী – ঐন্দ্রিলা দুজনেই। সুতরাং এই ভিডিও যে একদম মজা করেই তা সবাই বুঝতেই পেরেছেন। তবে এত ঘনঘটা করে ১৪ ফেব্রুয়ারি উন নিয়ে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়, বিক্রম চট্টোপাধ্যায় মেতে উঠেছেন। নতুন কিছু কি সারপ্রাইজ অপেক্ষা করছে আমাদের জন্য?