এই মুহূর্তে দারুণ রকমভাবে জমে উঠেছে কার কাছে কই মনের কথা (Kar Kachhe Koi Moner Kotha) ধারাবাহিকটি । এই বাংলা টেলিভিশন প্রেমীরা মুগ্ধ হয়ে এই বাংলা ধারাবাহিকটি দেখছেন। বলাই বাহুল্য, এই ধারাবাহিকটি অল্প সময়েই গগনচুম্বী সাফল্য অর্জন করতে সক্ষম হয়েছিল। আর তারপর থেকেই এই ধারাবাহিকের এমন বিপুল ভক্ত সংখ্যা। তবে সাম্প্রতিক দুই সপ্তাহে এই ধারাবাহিক টিআরপির লড়াইয়ে একটু পিছিয়ে পড়েছে।
তবে জনপ্রিয়তায় যে বিশাল ভাটা পড়েছে এমনটা একেবারেই নয়। আসলে মাঝে দুই সপ্তাহের গল্প একটু একঘেয়ে হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু এই ধারাবাহিকে আবার টুইস্ট ফিরে এসেছে। সাম্প্রতিক পর্ব অনুযায়ী শিমুল সবার সামনে প্রমাণ করে দিয়েছে গয়না চুরি কান্ডে আসল দোষী ছিল পরাগ এবং প্রিয়া। শুধুমাত্র প্রমাণের অভাবে পলাশ আর প্রতীক্ষা বেঁচে গেছে।
তবে শিমুল সবার কাছে প্রমাণ করে দেয় যে সে কোনও অপরাধ করেনি। এরপর শিমুলকে নিতে তার পাড়ার বন্ধুদের সঙ্গে এসে উপস্থিত হয় শতদ্রু। আর শিমুল বাড়ি ছেড়ে চলে যাচ্ছে দেখে ভয় পেয়ে যায় মধুবালা। যদিও মধুবালা নিজের স্বার্থে শিমুলকে এই বাড়িতে আটকে রাখতে চায়। শিমুল স্পষ্টভাষায় মধুবালাকে বলে, “আমি আমার বাকি জীবনটা শতদ্রুর হাত ধরে ওর সঙ্গেই কাটাতে চাই। আর খুব তাড়াতাড়ি পরাগকে ডিভোর্স দিয়ে মুক্ত হতে চাই এই জীবন থেকে।” কিন্তু তারপরও মধুবালার কথা ভেবে শ্বশুরবাড়িতে থেকে যায়।
এরপর শতদ্রু শিমুলের সঙ্গে বিপাশার বাড়িতে দেখা করতে এলে তাতে রিয়্যাক্ট করে শিমুল। এতে নাকি লোকে তার গায়ে কালি ছেটাবে। তার নাকি পাড়ায় বদনাম হবে। এই কথা শুনে রেগে যায় শতদ্রু। সে শিমুলকে বলে শিমুল কোনদিন তার সম্মানের কথা ভাবেনি। বরং সবসময় নিজেরটা নিয়ে ভেবেছে। এদিনের পর্বে দেখা যাবে, শতদ্রু শিমুলকে বলছে, ‘একজনের বউ হয়ে আমার সঙ্গে সম্পর্ক রাখবি সেটা হয়না! দু’নৌকায় পা দিয়ে চলা যায়না!’ কী হবে শতদ্রু-শিমুলের সম্পর্কের?