জি বাংলা সিরিয়াল গুলো এই মুহূর্তে অন্যতম বিতর্কিত বিষয় নিয়ে তৈরি হয়েছে এবং দর্শকদের মনে শুরু থেকেই ব্যাপক জায়গা করে নিয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হলো কার কাছে কই মনের কথা (Kar Kachhe Koi Moner Kotha)। মানালি দে একেবারে নতুন রূপে জলসা থেকে এবার জি বাংলায় এসেছে শিমুল হয়ে। তার চরিত্র দাগ কেটে গেছে দর্শকদের মনের মধ্যে। প্রথম দিকে অন্যরকম চরিত্র এবং পরের দিকে অর্থাৎ বিয়ের পরে সে সম্পূর্ণ পাল্টে যায়।
গল্পে রয়েছে তিন মূল চরিত্র শিমুল তার শাশুড়ি মধুবালা এবং শিমুলের বর পরাগ। মধুবালা একেবারে রক্ষণশীল মানসিকতার মানুষ কারণ সেভাবেই বড় হয়েছে এবং শ্বশুরবাড়িতে এভাবেই থেকেছে সে। পরাগ এভাবেই বড় হয়েছে এবং মেয়েদেরকে দমিয়ে রাখতে হয় এমনটাই জানে সে। পাশাপাশি সে ভীষণ কিপটে। দিন শেষে তার নিজের চাহিদা পূরণ হলো কিনা সেটাই দেখে এসে কিন্তু বউ ভালো আছে কিনা সেটা একবারও দেখে না। তবে শিমুল প্রথম দিকে সমস্ত অত্যাচার সহ্য করতে থাকে। এই সিরিয়ালে সমাজের বর্তমানের একটা জ্বলন্ত বিষয় উঠে এসেছে যা হলো বৈবাহিক ধর্ষণ।
নিজের স্বামীর হাতেই অত্যাচারিত হচ্ছে শারীরিকভাবে সেটা শেষ পর্যন্ত সে নিজের শাশুড়িকে বলতে বাধ্য হয়। শ্বাশুড়ি আস্তে আস্তে পাল্টে যেতে শুরু করে এবং বৌমার পক্ষ নিতে শুরু করে। তবে গল্পে রয়েছে শিমুলের সঙ্গে তার ননদ পুতুলের একটা সুন্দর সম্পর্ক। পুতুল মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন কিন্তু শিমুল তার সুপ্ত প্রতিভাকে তুলে ধরে সবার সামনে। ধীরে ধীরে সে প্ল্যান করে যে সে না থাকলেও পুতুলের যাতে দেখভালের অসুবিধা না হয় তাই সে নিজের স্বামীর থেকে ডিভোর্সের জন্য খোরপোষ দাবি করে এবং বলে মাসে অর্ধেক মাইনে তাকে দিতে হবে। প্রথমদিকে সবাই শিমুলকে ভুল বুঝে এবং ভাবে সে হয়তো খুব লোভী কিন্তু পরবর্তীকালে জানতে পারে সমস্ত টাকা সে পুতুলের নামে ফিক্সড ডিপোজিট করে এসেছে।
এরপর গল্পে আসে নতুন চরিত্র প্রিয়ঙ্কা যে পরাগের ছাত্রী কিন্তু পরাগ আর প্রিয়াঙ্কা একে অপরের প্রেমে পড়ে যায়। ওদিকে গল্প দেখা যায় শিমুলের পুরনো প্রেমিক শতদ্রু ফিরে এসেছে কিন্তু সে শিমুলের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে চাইলেও শিমুল প্রথমে সেটা অস্বীকার করে। শতদ্রু সেটা জানতেই সরে যেতে চায় কিন্তু ঘটনাচক্রে বারবার শতদ্রুর সঙ্গে দেখা হয়ে যায় শিমুলের। অবশেষে শিমুলের প্রাক্তন প্রেমিকের সূত্র ধরেই পরাগ তাকে ডিভোর্স দিতে চায় এবং বলে সে প্রিয়াঙ্কাকে বিয়ে করবে। এবার এল এক নতুন ঝলক।
আরও পড়ুনঃ দিদি নম্বর ১ স্ক্রিপ্টেড! মশলা চড়িয়ে গল্প বলা হয়! বোমা ফাটালেন ইউটিউবার
প্রোমোতে দেখা যায় যে আইনিভাবে বিচ্ছেদ হয়ে গেল পরাগ এবং শিমুলের। পলাশ এই আনন্দে দাদাকে বলে অবশেষে তাহলে মুক্তি পেলি দাদা। শিমুল বলে ডিভোর্স হলেও এক্ষুনি এই বাড়ি ছেড়ে যাচ্ছি না আমি। প্রিয়াঙ্কা প্রশ্ন করে বসে থাকে যে তুমি এবার এই বাড়ি থেকে না গেলে পরাগদার জীবনটা নতুন করে শুরু হবে কিভাবে? শিমুল সিঁদুর ঠাকুরের সামনে থেকে নিয়ে আসে এবং পড়াকে শর্ত দেয় যে মুক্তি পেতে হলে এবার তাকে প্রিয়াঙ্কাকে সিঁদুর পরিয়ে বিয়ে করতে হবে। শিমুলের এই দাবিতে রীতিমতো চমকে যায় তার শাশুড়ি মধুবালা। কি করবে পরাগ?