এই মুহূর্তে বাংলা ধারাবাহিকে অন্যতম জনপ্রিয় ধারাবাহিক সন্ধ্যাতারা, অনুরাগের ছোঁয়া, নিম ফুলের মধু, কার কাছে কই মনের কথা, ইচ্ছে পুতুল ও সন্ধ্যাতারা। সবকটি ধারাবাহিকই চৰ্চার কেন্দ্রে। জেনে নিন ধারাবাহিকের আকর্ষণ সতীনতন্ত্র। জেনে নিন, এবছরের বাংলা ধারাবাহিকের সবচেয়ে জনপ্রিয় সতীন কারা?
মিশকা :
সূর্য, দীপা ও মিশকার সম্পর্কের টানাপোড়েনের গল্প ‘অনুরাগের ছোঁয়া’। ধারাবাহিকে এই মুহূর্তে চলছে টানটান উত্তেজনা। মিশকার ষড়যন্ত্রে ডিভোর্স হয়ে গিয়েছে দীপা ও সূর্যের। দুজনের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির পাহাড় খাড়া হয়েছে। আর অন্যদিকে মিশকা প্ৰিয় বন্ধু সূর্যর স্পার্ম ব্যবহার করে আইভিএফ পদ্ধতি কাজে লাগিয়ে সন্তানের মা হয়েছে। আর সেনগুপ্ত পরিবারের উত্তরসূরীকে জন্ম দেওয়ার পর এখন সূর্যের বাড়িতেই রয়েছে। ফলে, দুই মেয়ে নিয়ে ঘর ছাড়া গল্পের নায়িকা দীপা।
ময়ূরী :
দর্শক মহলের অধিকাংশের মত ময়ূরীর মত বোন থাকার চেয়ে না থাকা ভাল। অর্থাৎ, দুষ্ট গরুর চেয়ে শূন্য গোয়াল ঢের ভাল। সে তাঁর বড় বোন মেঘের স্বামী নীলের প্রেমে হাবুডুবু খেয়ে দিদির শ্বশুর বাড়ি থাকতে আসে। আর যে থালায় খায়, সেই থালাই ফুটো করতে শুরু করে। সুযোগ খুঁজতে থাকে কখন সে দিদি ও জামাইবাবুর মধ্যে ঝামেলা লাগিয়ে নিজে নীলের বউ হয়ে এই বাড়ি আসবে। সম্প্রতি, ছক কষে রূপের সঙ্গে এক ঘরে মেঘ রয়েছে বলে নীলের সামনে মেঘের চরিত্র কালিমালিপ্ত করেছে সে। আর দিদি জামাইবাবুর মধ্যে দূরত্ব বাড়াতেও সাকসেসফুল হয়েছে সে।
তারা :
দুই বোনের গল্প নিয়েই এই ধারাবাহিকের গল্প। সন্ধ্যা আর তারা, দুই বোন। যারা একে-অপরকে ভীষণ ভালবাসে। এমনকি প্রাণও দিতে পারে। কিন্তু ঘটনাক্রমে বোন তারা যাকে ভালোবাসত, সেই আকাশনীলের সম্বন্ধ হয় দিদি সন্ধ্যার। সন্ধ্যাও তারার মনের খবর জানায় , আকাশনীলের ছবি দেখেই ভালোবেসে ফেলে। তবে তারা জেনে যায় তারই প্রেমিকের সঙ্গে হয়েছে সন্ধ্যার সম্বন্ধ। প্রেম ভেঙে দেয় দিদির কথা ভেবে। যদিও এসবের কিছুই সে জানায় না সে আকাশনীলকে। এরপর বিয়েটাও হয়ে যায় আকাশনীল আর সন্ধ্যার। দিদিরে বিয়ে বাঁচাতে যার পর না নাই চেষ্টা করলেও, এই মুহূর্তে নীলের সন্তানের মা হতে চলেছে সে। সন্ধ্যা এই কথা জানতে পেরে নীল ও তারার মাঝখান থেকে সরে যেতে চাইছে। কিন্তু এখন নীল ভালবাসে শুধু সন্ধ্যাকে।
ইশা :
দত্তবাড়ির একান্নবর্তী পরিবারের গল্প নিয়ে তৈরি বেঙ্গল টপার ‘নিম ফুলের মধু’। পর্ণা আর সৃজন গল্পের নায়ক নায়িকা। আর তাঁদের মধ্যে তৃতীয় ব্যক্তি ইশা। পর্ণার থেকে প্রতিশোধ নিতে সৃজনের সঙ্গে বিয়ের ফন্দি এঁটেছিল সে। দত্তবাড়ির উঠোনেই বসেছিল সৃজন পর্ণার জোড়া বিয়ের আসর। একে অপরকে ডিভোর্স দিয়ে পর্ণা ও সৃজন বিয়ে করতে মত দিয়েছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে শুভ বুদ্ধি উদয় হয় সৃজনের। পর্ণাকে সবার সামনে জানায় সে ষড়যন্ত্রের স্বীকার। তাঁর মা কৃষ্ণা ও ভাইয়ের বউ মৌমিতা জোর করে তাঁকে ডিভোর্স পেপারে সই করিয়েছে ও ইশা ব্ল্যাকমেইল করে তাঁকে বিয়ে করতে বাধ্য করেছে। ব্যস! জোড়া বিয়ের দুটোই ভেস্তে ফের কাছাকাছি পর্ণা সৃজন।
আরও পড়ুনঃ ‘ডিভোর্স হলেও এক্ষুনি যাচ্ছি না’! প্রিয়াঙ্কাকে সিঁদুর পরাতে হবে, পরাগকে শর্ত শিমুলের
প্রিয়াঙ্কা :
‘কার কাছে কই মনের কথা’ ধারাবাহিকে এসেছে চঞ্চল্যকর মোড়। নিজের ছাত্রী প্রিয়াঙ্কার প্রেমে পড়েছে পরাগ। তবে প্রেম এক তরফা নয়। প্রিয়াঙ্কাও পরাগের প্রেমের হাবুডুবু খাচ্ছে। আর ঠিক করেছে তাকেই বিয়ে করবে। তাহলে এবার কী হবে পরাগ ও শিমুলের বিয়ের ভবিষৎ?