এক সপ্তাহ পিছিয়ে পড়ার পর এবার মনে হচ্ছে ফের নিজের পুরোনো জায়গা দখল করতে চলেছে কার কাছে কই মনের কথা (Kar Kachhe Koi Moner Kotha) । কারণ ফের একবার জমজমাট হয়ে উঠেছে এই ধারাবাহিকের গল্প। বিশেষ করে ধারাবাহিকের সাম্প্রতিক পর্বগুলি আবারও উত্তেজনায় টইটুম্বুর হয়ে উঠেছে। টিআরপি তালিকায় কিছুদিন দারুণ প্রভাব দেখালেও গত সপ্তাহে পিছু হটেছে এই ধারাবাহিকটি। কিন্তু দর্শকদের কাছে আজও বেশ জনপ্রিয় এই ধারাবাহিকটি।
এই ধারাবাহিকের নিয়মিত দর্শকরা জানেন এই ধারাবাহিকটি মন দিয়ে দেখছেন দর্শকরা কারণ গল্প আবারও নতুন করে জমাট বাঁধছে। এবার শত্রুদের শাস্তি পাওয়ার পালা। শতদ্রুর ব্যাগ থেকে গয়না উদ্ধার হওয়ার পর পুলিশ তাকে থানায় নিয়ে যায়। শিমুল এবং শতদ্রুকে অপমানিত, অপদস্থ করে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়াই ছিল তাদের মূল উদ্দেশ্যে। যদিও জেলা যাত্রার আগে শতদ্রু পরাগকে বলে সে এই কাজ করেনি আর শিমুলও এটা করেনি।
যদিও শিমুল প্রতিজ্ঞা করে শতদ্রুকে বলে, ‘তোকে নির্দোষ প্রমাণ করে তারপর আমি আর ওখানে থাকবো না।’ তবে যে করেছে সেই সত্যিটাও খুব তাড়াতাড়ি সামনে আসবেই। এরপর শিমুল শতদ্রুর জামিন পাওয়ার ব্যবস্থা করে। বিপাশার পরামর্শ অনুযায়ী আলমারিতে হাতের ছাপ পরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। আর সেই মতোই বাড়িতে পুলিশ নিয়ে আসে শিমুল বিপাশারা।
পুলিশ এসে জানিয়ে দেয়, এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত আসল অভিযুক্তদের খুঁজে বার করার জন্য হাতের ছাপের পরীক্ষা করা হবে। আর তার জন্য প্রত্যেকের হাতের ছাপ নেওয়া হবে। এই কথা শোনা মাত্রই ভয়ে কুঁকড়ে যায় প্রিয়াঙ্কা। কারণ সেই যে আসল অপরাধী।
বলাইবাহুল্য, শতদ্রুকে জেল থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে আসে শিমুল। এরপর শতদ্রু শিমুলকে বলে সে যেন তার সাথে আর যোগাযোগ না রাখে কারণ তার জন্যই শিমুলকে এত বড় বিপদে পড়তে হয়েছে। তখন শিমুল বলে সে আর ওই সংসারে থাকবে না। এতকিছু ঘটে যাওয়ার পর তো আর কিছুতেই না। শিমুল শতদ্রুকে বলে ‘তুই অনেকদিন ধরেই বলছিলিস আমাকে ওই বাড়ি ছেড়ে চলে আসতে। আর এই ঘটনার পর আমি ওই বাড়ি ছাড়বো।’