কলকাতার রাস্তায় পথকুকুরদের সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক বরাবরই নানা বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। তবে সম্প্রতি শুধু কলকাতা নয়, দিল্লিতেও পথকুকুরদের প্রতি অমানবিক আচারের খবর শোনা গেছে। সাধারণ মানুষের নজর কেবল রাস্তার অপরাধ বা দুর্ঘটনার দিকে হলেও, পশুপ্রেমীরা লক্ষ্য করছেন কুকুরদের প্রতি ক্রমশ বর্ধিত হিংসাত্মক মনোভাব। অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্রও এই পরিস্থিতি নিয়ে নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
শ্রীলেখা মিত্র বলেন, “মানুষ নিজে খোলা রাস্তায় মলমূত্র ত্যাগ করতে পারে, কিন্তু কুকুরদের খাওয়ালেই সমস্যা হয়ে যায়। আমরা যখন দেখি কুকুরদের উপর নির্যাতন বা মাংস পাচারের ঘটনা ঘটছে, তখনই আমাদের কণ্ঠ তোলার সময়।” কলকাতার বেহালা অঞ্চলের একটি ক্লিনিককে কেন্দ্র করে পোষ্য কুকুরদের ওপর নির্যাতন এবং মরা কুকুরের মাংস পাচারের অভিযোগ সামাজিক মাধ্যমে এবং স্থানীয় মহলে ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি করেছিল। এ বার দিল্লির রোহিনী এলাকার আশ্রয়কেন্দ্রেও একই রকম অভিযোগ উঠে।
অভিনেত্রীর মতে, “পথকুকুররা নিজেদের এলাকায় সীমানা ঠিক রাখে এবং অপর এলাকার কুকুরদের প্রবেশ করতে দেয় না। এটাই তাদের স্বাভাবিক জীবনচক্র। তাই আইন প্রণয়নের আগে কুকুরদের আচরণ বোঝা অত্যন্ত জরুরি।” শ্রীলেখা আরও যোগ করেন, “যে সরকার গোমাতার পুজোর কথা বলে, তারাই আবার কুকুরের মাংস পাচারের অভিযোগ এড়াতে ব্যর্থ। কুকুর আমাদের সন্তানের মতো। তাদের মাংস পাচারের খবর শুনলে আমরা নিরব থাকতে পারি না।”
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, পথকুকুরদের নির্ধারিত প্রতিষেধক এবং নির্বীজকরণের পর আবার রাস্তার পথে ছেড়ে দিতে হবে। শুধুমাত্র জলাতঙ্কে আক্রান্ত বা আগ্রাসী কুকুরদেরই আশ্রয়কেন্দ্রে রাখা হবে। এই নির্দেশনা বাস্তবায়নের সময় প্রশ্ন উঠেছে, কোন কুকুর আগ্রাসী তা ঠিক করার ক্ষমতা কার হাতে থাকবে।
আরও পড়ুনঃ অবশেষে এল সেই মুহূর্ত! ভুল বোঝাবুঝি শেষে শুরু আর্য-অপর্ণার প্রেমের অধ্যায়! অপর্ণাকে রাজকীয় আয়োজনে প্রেমের প্রস্তাব আর্যের, ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’-এ প্রেম নিবেদন পর্ব! কবে হতে চলেছে সম্প্রচার?
শ্রীলেখা মনে করেন, “পেট ভরা থাকলে কুকুরের আগ্রাসী মনোভাবও কমে যায়। মানুষ যেমন ক্ষতি করার স্বভাব রাখে, কুকুর তা করে না। যদি আমরা তাদের নিয়মিত খাওয়াই এবং নিরাপত্তা দিই, তাহলে তারা শান্তিপূর্ণ জীবন যাপন করতে পারবে। কুকুরদের জন্য আইন এবং সামাজিক সচেতনতা বাড়ানো দরকার।” অভিনেত্রী আশা প্রকাশ করেন, সমাজের সব পশুপ্রেমী মিলে কুকুরদের প্রতি দয়া ও মানবিক মনোভাব বজায় রাখবেন।