‘মিঠাই’ ধারাবাহিক না দেখা দর্শক হয়ত খুবই কম। প্রথমদিকে জি বাংলার পর্দায় টিআরপি তালিকায় প্রথম স্থান দখল করেছিল জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘মিঠাই’। তবে বর্তমানে গল্পের মোড় ঘুরতেই ধীরে ধীরে টিআরপি তালিকায় প্রথমের দিক থেকে মুছে গিয়েছে ‘মিঠাই’। ধারাবাহিকে দেখা গিয়েছে মিঠাই আগুনে পুড়ে মারা গিয়েছে। তাই মিঠাই এর সাথে হারিয়ে গিয়েছে তার দুষ্টু মিষ্টি চরিত্র সাথে উচ্ছেবাবু আর মিঠাইয়ের জনপ্রিয় জুটি।
এরপরই ধারাবাহিকে দেখানো হয়েছে মিঠাই ও সিদ্ধার্থের একটি ছোট ছেলেকে, নাম শাক্য। মিঠাই এর ছেলে শাক্যকে সামলাতে গিয়ে নাজেহাল অবস্থা বাবা সিদ্ধার্থের। তাই ছেলেকে সঠিকভাবে মানুষ করতে তাকে বোর্ডিং স্কুলে পাঠিয়ে দিতে চায় সিদ্ধার্থ। কিন্তু মোদক পরিবার তাতে রাজি হয় না। শাক্যকে সামলাতে রাখা হয় একজন টিউটরকে। যিনি হুবহু আবার মিঠাই এর মতোই দেখতে যা দেখে প্রথমে আশ্চর্য হয়েছিল মোদক পরিবার। আর এভাবেই মিঠাই-এর গল্প চলছে।
উচ্ছেবাবু আর মিঠাইয়ের ছেলের ভূমিকায় অভিনয় করেছে শাক্য ওরফে ধৃতিষ্মান চক্রবর্তী। ধৃতিষ্মান-এর খুদে চরিত্র দুষ্টু-মিষ্টিতে ভরা। যার প্রতিভা হার মানাবে সকলকে। মাত্র ৫ বছর বয়সে বাংলা, হিন্দি, সংস্কৃত, ইংরেজি ও অসমিয়া ৫টি ভাষায় গান গেয়ে ‘ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস’-এ জায়গা করে নিয়েছে সে। সোশ্যাল মিডিয়াতেও বেশ জনপ্রিয় ধৃতিষ্মান। ইউটিউবে ও ইনস্টাগ্রামে ফলোয়ারের সংখ্যা অনেক। এই বয়সেই সকলের মন জয় করে নিয়েছে ছোট্ট ধৃতিষ্মান। সকলেই তার গলার গান পছন্দ করেন।
পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও তার প্রশংসায় পঞ্চমুখ। সম্প্রতি প্রয়াত সুর সম্রাজী লতা মঙ্গেশকরের জন্মদিনে তাকে উদ্দেশ্য করে ‘পিয়া তোসে নয়না লাগে রে’ গান গেয়েছে ধৃতিষ্মান। যে ভিডিওটি মূহুর্তেই ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। সকলের কাছেই এখন ছোট্ট ষ্টার শাক্য ওরফে ধৃতিষ্মান চক্রবর্তী।