Bangla Serial

Mithai Memory: লাভ হলো না, এবার প্রকাশ্যে সিড-মিঠাইয়ের ঝগড়া! চরম রেগে গিয়ে আদৃতকে তাড়া করল সৌমীতৃষা! কপালে হাত ভক্তদের

অবশেষে সমস্ত জল্পনার শেষ। আড়াই বছরের পথ চলার ইতি। শেষ হতে চলেছে ‘মিঠাই’-এর যাত্রা! এই এক বছর ধরে মধ্যে প্রায়ই সিরিয়াল শেষ হওয়ার কথা শোনা যেত। তবে তা বার বারই উড়িয়ে দিয়েছে টিম ‘মিঠাই’। কয়েক দিন আগে একটি আবেগপ্রবণ ভিডিও পোস্ট করেছিলেন সিদ্ধার্থ ওরফে আদৃত রায়। আর তা দেখে সকলে একটু ভয়ই পেয়েগিয়েছিল। তবে তিনি দর্শককে আস্বস্ত দেন, সিরিয়াল শেষ হচ্ছে না।

তবে সম্প্রতি সিদ্ধার্থের বোন শ্রীতমা ওরফে দিয়া মুখোপাধ্যায়ের একটি সাক্ষাৎকার শুনে অনেকেরই ফের মনে হচ্ছে এবার শেষের পথেই ‘মিঠাই’। তিনি বলেন, “যদিও আমরা এখনও শেষ দিনের শুটিং কবে হবে সেটা জানি না। তবে এই প্রথম টানা আড়াই বছর একটা সিরিয়ালে অভিনয় করলাম। খুব ভাল অভিজ্ঞতা। শেষের দিনগুলো যত এগিয়ে আসবে, দুঃখ ততটাই বাড়বে।”

মিঠাই ধীরে ধীরে স্মৃতির খাতায় নাম লেখাচ্ছে সকলের কাছেই। সম্প্রতি মিঠাই-এর একটি ভিডিও পোস্ট হয়েছে, সেখানে সিডের পেছনে দৌড়াচ্ছে মিঠাই। তা দেখে অনেকেরই মিঠাই-এর পুরোনো স্মৃতি মনে পরে যাচ্ছে। উক্ত ভিডিওটি ‘টলি ভিসন’ নামের একটি ইউটিউব চ্যানেল এডিট করে পোস্ট করেছে। যেখানে মিঠাই-এর একটি সিন্ তুলে ধরে মজার ছলে বোঝানো হচ্ছে ভক্তদের কথায় মিঠাই সিডের পেছন ছবি তুলতে ও ইন্টারভিউ দিতে ছুটছে।

আর সিডি মিঠাইকে দেখে পালাচ্ছে। তাদের এই দুষ্টু-মিষ্টির সম্পর্ক দেখে সকল দর্শকই আবেগঘন হয়ে পড়েছে। উল্লেখ্য, বাংলা টেলিভিশনের জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘মিঠাই’। প্রায় তিন বছর ছুঁতে চলল এই ধারাবাহিক। ধারাবাহিকের শুরু থেকেই দর্শকদের মন কেড়েছে এই ধারাবাহিক। এই সিরিয়ালের জুটিটিকেও বেশ পছন্দ দর্শকদের। উচ্ছেবাবু-মিঠাই -এর দুষ্টু মিষ্টি সম্পর্ক চোখে হারায় দর্শকরা।

আর তার জেরে প্রথমদিন থেকে এই ধারাবাহিক টিআরপিতে ভালো স্থান দখল করে রয়েছে। বর্তমানে যেখানে টিআরপির অভাবে একের পর এক ধারাবাহিক বন্ধ হচ্ছে, সেখানে এই ধারাবাহিক চলছে প্রায় তিন বছর ধরে। একদিকে দুষ্টু – মিষ্টি মেয়ের চটাং চটাং কথা, ভাঙাচোরা ইংরেজি শব্দ, অসাধারণ অভিনয় দক্ষতা জনপ্রিয় করেছিল নায়িকা মিঠাইকে। অন্যদিকে নায়ক সিড হল বং ক্রাশ। যার কথার স্টাইল থেকে শুরু করে খুঁটিনাটি সবই পছন্দ দর্শকদের।

Rimi Datta

রিমি দত্ত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর। কপি রাইটার হিসেবে সাংবাদিকতা পেশায় চার বছরের অভিজ্ঞতা।