আর এক মাসও বাকি নেই দুর্গাপুজোর। বললে চলে প্রায় দরজায় এসে গেছে দুর্গাপুজো। বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপূজো, নিয়ে মাতামাতি কম থাকে না বড় থেকে ছোট ক্লাব গুলোতে। যার যেমন সামর্থ্য সেই নিয়ে মা দুর্গাকে আহবান করে সব পূজা কমিটিগুলো। তবে গত দুবছর অতিমারির কারণে বাঙালির দুর্গাপূজা হলেও সেভাবে জাঁকজমক হয়ে ওঠেনি।
করোনা পরিস্থিতিতে অনেক বাধ্যবাধকতার মধ্যে থেকেই পালিত হয়ে গেছে । প্রসঙ্গত এবছর অনেকটাই অতিমারির সময় কাটিয়ে উঠেছে গোটা পৃথিবী। তাই এ বছরের বাংলা দুর্গাপুজোর জাঁকজমকের প্রস্তুতি রয়েছে তুঙ্গী।
আর কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই শহরের প্রতিটি বড় থেকে ছোট পূজা গুলি উদ্বোধন হয়ে যাবে। আর এই উদ্বোধনের জন্য পূজা কমিটি গুলি সব সময়ই তারকাদের বা জনপ্রিয় মুখ দেরকেই বাছাই করেন। আগে অবশ্য চলচ্চিত্র জগতের নানা জনপ্রিয় অভিনেতা অভিনেত্রীদেরকেই দেখা যেত পূজা কমিটিগুলির উদ্বোধনে। তবে এখন তাদের বেশিরভাগ জনই রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত হওয়ায় এসব করতে তাদের আর দেখা যায় না।
তাই এখন ছোট থেকে বড় পূজা কমিটি গুলি বাংলা টেলিভিশন জগতের জনপ্রিয় মুখ নিয়ে আসে উদ্বোধনে। কারণ বাংলার ঘরে ঘরে চলচ্চিত্র জগতের মতই টেলিভিশন জগতের জনপ্রিয়তা রয়েছে। মিঠাই, খড়ি ,ঋষি, প্রমুখদের নিজেদের রোজকার জীবনে দেখতে দেখতে প্রায় সকলেই দর্শকদের ঘরের মানুষ হয়ে উঠেছে ।
তাই এ বছর টিভি সিরিয়ালের জনপ্রিয় অভিনেতা অভিনেত্রীদের একটি পূজা উদ্বোধনের ঠিক পারিশ্রমিক কতটা তা জেনে নেওয়া হোক।
সৌমিতৃষা কুন্ডু ওরফে মিঠাই যার জনপ্রিয়তা এখন বাংলার ঘরে ঘরে। তাকে পুজো উদ্বোধনে নিয়ে আসার জন্য তার পারিশ্রমিক লাগে ৮৫ হাজার টাকা। উল্টো দিকে অভিনেতাদের মধ্যে রয়েছেন শন ব্যানার্জি যিনি প্রায় ১ লক্ষ টাকা নেন একটি পূজা উদ্বোধন করতে। তারপরেই রয়েছে বাংলা টেলিভিশনের আরো এক জনপ্রিয় অভিনেত্রী দিতিপ্রিয়া রায় যার পারিশ্রমিক ৭০ হাজার টাকা।
এরপরেই রয়েছে খড়ি অর্থাৎ শোলাঙ্কি রায় ফুলঝুরি অর্থাৎ মানালি দে এবং চিঠি ওরফে দেবচন্দ্রিমা হালদার তাদের প্রত্যেকের পারিশ্রমিক একটি পূজা উদ্বোধন করার ৪৫ হাজার টাকা। এবংঅভিনেতাদের মধ্যে ইন্দ্রশিস রায় এবং প্রতীক সেনও একটি পূজা উদ্বোধনের পারিশ্রমিক নেন ৪৫ হাজার টাকা।
তাহলে বলা যেতেই পারে ছোট থেকে বড় বহু পূজো উদ্যোক্তারা বাংলা টেলিভিশনের একাধিক জনপ্রিয় মুখদের দিয়ে নিজেদের পূজা উদ্বোধন করার জন্য খরচা করেন হাজার থেকে লক্ষ টাকা।
এরকম একটি প্রতিবেদন গতকাল বার হয়েছিল একটি নামী বেসরকারি সংবাদ মাধ্যমে তারপরেই সকলে মিঠাইকে কটাক্ষ করতে শুরু করে দেয় যে একটা সিরিয়াল হিট হয়েই এত ঘ্যাম? যেখানে খড়ি ৪৫ হাজার টাকা নেয় সেখানে মিঠাই পঁচাশি হাজার টাকা নিচ্ছে? এই খবরটা মিঠাইয়ের কিছু ফ্যান সৌমিকে পৌঁছায় আর তারপরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় গর্জে ওঠে মিঠাই।
শেষ স্পষ্ট জানিয়ে দেয় যে সেই পত্রিকার তরফ থেকে তার সঙ্গে কোন যোগাযোগ করা হয়নি এবং এই খবর সর্বৈব মিথ্যা।তার ব্যক্তিগত তথ্য তিনি কাউকে দেননি তাই এই পত্রিকা কোথা থেকে এরকম মনগড়া তথ্য পেল তা তিনি জানেন না।