বাঙালির কাছে দুর্গাপুজো আর পেটপুজো সমর্থক। একে অপরকে ছাড়া সম্পূর্ণ হয় না দুর্গাপুজো বাঙালির কাছে। পাত পেড়ে জমিয়ে যদি ওই দিনগুলো এনজয় না করা হয় তাহলে সারা বছর আর কী নিয়ে থাকবো আমরা? আর ভোজনরসিকদের তো তখন তো পোয়া বারো। কেউ আটকাতে আসবে না, কেউ সুগার চেক করতে আসবে না।
এ সময়টায় আজকালকার প্রজন্ম বাড়ির বাইরে বাইরে ঘুরলেও যারা একটু বয়স্ক বা বাড়িতে থাকতে ভালোবাসে তাদের কাছে পেটপুজোটাই আসল। তাই যেমন তেমন রান্না করলে চলবে না। বাড়ির গৃহিণীদের তখন রীতিমত কোমর বেঁধে রান্নাঘরে নেমে পড়তে হয়। আর পুজোর দিনগুলো খাওয়া-দাওয়া শুরু হয় সকাল থেকেই। তাই আজকের রেসিপিতে থাকলে একটা বড় চমক। লুচি জলখাবারে আমরা অনেকেই খাই এবং খেতে ভালবাসি। কিন্তু পদ্মলুচি আগে খেয়েছেন কি? আমি সেটা নিরামিষ যাই থাকুক না কেন তার সঙ্গে এই বিশেষ ধরনের লুচি দিয়ে খেলে জমে যাবে ব্রেকফাস্ট।
উপকরণ: ১ কিলো ময়দা, ১০০ মিলি ঘি, সাদা তেল, নুন আন্দাজমতো।
পুরের জন্য- ২৫০ গ্রাম মটন কিমা, ৫০ গ্রাম পেঁয়াজ বাটা, ১০ গ্রাম আদা বাটা, ১০ গ্রাম রসুন বাটা, ৩ গ্রাম গরম মশলা গুঁড়ো, ৭৫ মিলি সাদা তেল, নুন আন্দাজমতো, ৩ গ্রাম চিনি।
পদ্ধতি: ময়দা ঘি ও নুন একসঙ্গে মিশিয়ে শক্ত মণ্ড তৈরি করে একটা ভেজা কাপড় দিয়ে ১ ঘন্টা মতোন মণ্ডগুলো ঢেকে রেখে দেবেন। মটন কিমা সেদ্ধ করে কিমার একটা পেস্ট বানিয়ে নিতে হবে। বড় কড়াইতে তেল গরম করে এক এক করে পেঁয়াজ, রসুন এবং আদা দিয়ে ভালো করে নাড়তে থাকুন যতক্ষণ না তেল ছেড়ে দেয়। এরপর মটন কিমা পেস্ট দিয়ে রান্না করুন যতক্ষন না হালকা বাদামি রঙ হচ্ছে। তার ওপরে গরম মশলা ছড়িয়ে কিছুক্ষণ ঢাকা দিয়ে রাখুন। ঠান্ডা হলে মিশ্রণটা মিহি হয়েছে কিনা দেখুন।
মণ্ডটাকে আবার ছোট ছোট লেচিতে ভাগ করে সেই লেচিগুলো ছোট করে বেলে নিতে হবে লুচির আকারে। ওর মধ্যে পুরটা দিয়ে অর্ধচন্দ্রাকারে বন্ধ করে চামচ দিয়ে পাশগুলো চেপে দেবেন যাতে বেরিয়ে না যায় পুর। এবার কড়াইয়ে তেল গরম করে এক এক করে ভেজে নিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন পদ্মলুচি।