কিছুক্ষণ আগেই বেরিয়েছে চলতি সপ্তাহের টিআরপি। সেখানে লক্ষ্মী কাকীমা সুপারস্টার একদম দুর্দান্ত ফলাফল করে প্রথম হয়েছে। এটা এখনো হজম করে উঠতে পারেনি নেটিজেনরা। তাহলে মিঠাই কোথায় গেল? আমাদের মিঠাই রানী একটু বেশি নম্বর পেয়েছে, সে এখন চতুর্থ স্থানে রয়েছে।
তবে নিজের খারাপ সময়ও মিঠাই ভগবানকে ধন্যবাদ জানালে ভোলে না। তাই থাঙ্কু গোপাল সে লিখে দিয়েছে। আসলে মিঠাই অর্থাৎ সৌমির মনটা নাকি খুব নরম। অনেকে তার ইন্টারভিউ দেখে বলেন যে তার অনেক অ্যাটিটিউড, অনেক অহংকার হয়ে গেছে কিন্তু যারা সেটে তার সঙ্গে দেখা করতে যান তাদের অভিজ্ঞতা বলছে অন্য কথা।
View this post on Instagram
দূর দূরান্ত থেকে মিঠাইয়ের সঙ্গে একবার দেখা করবে বলে মানুষ আসে। সঙ্গে নিয়ে আসে অজস্র উপহার। হাতে বানানো কার্ড, আঁকা ছবি দেখে মিঠাই বাচ্চাদের মতো খুশি হয়ে পড়ে।একবার একটা সাক্ষাৎকারে মিঠাই বলেছিল যে আমি সবকিছু সহ্য করে নিতে পারব কিন্তু মানুষের মিঠাই আর ভালো লাগছে না এই কথাটা সহ্য করতে পারবো না। এই বোঝাই যাচ্ছে যে মিঠাই তার ভক্তদের সঙ্গে কতটা কানেক্ট করে।
View this post on Instagram
প্রত্যেকদিন অজস্র চকলেট তো সে পায় ফ্যানদের থেকে। অনেক গিফট সে মেকআপ রুমে সাজিয়ে রেখেছে, তার ছবি আপনাদের আমরা দেখিয়েছিলাম। আবার বেশ কিছু গিফট সে বাড়ি নিয়ে চলে যায়। এবার মিঠাইয়ের একটা মহানুভবতার কথা আপনাদের জানানো যাক।
সুদূর মেদিনীপুর থেকে এসেছিল এক ভক্ত শুধুমাত্র মিঠাইয়ের সঙ্গে দেখা করবে বলে। মিঠাই জানতে পেরে তাকে মেকআপ রুমে ডেকে নেয় এবং তার সঙ্গে সেলফি তোলে। তখন মিঠাইয়ের নম্র ভদ্র আচরণ দেখলে আপনারাও অবাক হয়ে যাবেন। বাংলার হয়তো এখন সবচেয়ে জনপ্রিয় টেলি অভিনেত্রী কিন্তু একটুও অহংকার নেই তার মধ্যে। ভক্তরা তাকে যে পরিমাণ ভালোবাসা দেয় সেইটুকু দেখে সে মাঝে মাঝেই কেঁদে দেয় ক্যামেরার সামনে। বছর ২২ এর মেয়েটার মনটা কিন্তু খুব নরম। হয়তো চারিদিকে এত সমালোচনা তাকে কঠিন উত্তর দিতে বাধ্য করে কিন্তু ফ্যানদের সঙ্গে মিঠাই সব সময় ভালো ব্যবহার করে এসেছে।