জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

“এই না হলে প্রোমো! বহুদিন পর ধারাবাহিকের প্রোমো দেখে গায়ে কাঁটা দিচ্ছে!” দর্শকদের উত্তেজনা তুঙ্গে! শ্রী চৈতন্য-বিষ্ণুপ্রিয়ার গল্পে অনুপ্রাণিত, গোরা-রূপমঞ্জরীর আধ্যাত্মিক প্রেমকাহিনী ‘তারে ধরি ধরি মনে করি’ আসছে ভক্তির রঙে রঙিন করতে!

শারদীয়ার মরশুমে প্রকাশ্যে এসেছিল, পল্লবী শর্মার (Pallavi Sharma) নতুন ধারাবাহিক ‘তারে ধরি ধরি মনে করি’র (Tare Dhori Dhori Mone Kori) প্রথম প্রোমো। সেখানে নবদ্বীপ ধামে নায়ক বিশ্বরূপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Bishwarup Bandyopadhyay) সঙ্গে নায়িকার প্রথম দেখা ফুটে উঠেছিল। তারপরে বেশ কিছুদিনের অপেক্ষা। অবশেষে জানা যায়, ডিসেম্বরের ১৫ তারিখ থেকে সন্ধ্যে ৭:৩০ টায় শুরু হবে এই ধারাবাহিক। প্রথম প্রোমো থেকেই অনেকে অনুমান করেছিলেন, জি বাংলায় এমন ধারাবাহিক এর আগে হয়নি। তাই এই ধারাবাহিকে নিয়ে উত্তেজনাও ছিল বেশি।

শোনা গিয়েছিল যে শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভু এবং বিষ্ণুপ্রিয়ার প্রেমকাহিনী ফুটে উঠবে গল্পে। এবার প্রকাশ্যে এক ধারাবাহিকের পরবর্তী প্রোমো। শুরুতেই দেখা যায় একান্নবর্তী পরিবার আর বনেদি বাড়ি। রাধা-কৃষ্ণের পুজোর আয়োজন হয়েছে ধুমধাম করে, সেখানে গল্পের নায়ক গোরা ভক্তিগীতি গাইছে একমনে। বাড়ির কর্তা অর্থাৎ দাদু চেয়ারে বসে দেখছেন যে পুজোর সবকিছু ঠিকঠাক হচ্ছে কিনা। এরপর দেখা যায় গল্পের নায়িকা রূপমঞ্জরীকে। একদম রাধারাণীর মতো সাজে, সিঁথিতে জ্বলজ্বল করছে সিঁদুর।

Neem Phooler Madhu, Pallavi Sharma, Bishwarup Bandyopadhyay, Zee Bangla, new serial, Tare Dhori Dhori Mone Kori, New Pair, Star Jalsha, Gouri Elo, Bengali television, Bengali Serial, Actress's Comeback, নিম ফুলের মধু, পল্লবী শর্মা, বিশ্বরূপ বন্দ্যোপাধ্যায়, জি বাংলা, নতুন ধারাবাহিক, তারে ধরি ধরি মনে করি, নতুন জুটি, স্টার জলসা, গৌরী এলো, বাংলা সিরিয়াল, বাংলা টেলিভিশন, পল্লবীর কামব্যাক

তার হাতে ভগবানের ছাপ্পান্ন ভোগের থালা। এরপর একে একে বাড়ির অন্যান্যরাও এসে কাজ দিতে থাকে রূপমঞ্জরীকে, কিন্তু দাদু বলে যে গোরাকে সঙ্গ দিতে। তারপর দু’জনে মিলে ভগবানের নাম সংকীর্তনে মাতিয়ে তোলে গোটা বাড়ি। কিন্তু গোরার চোখের সামনে ভেসে ওঠে একটা দৃশ্য, যেখানে রূপমঞ্জরী আধুনিক পোশাকে নাইট ক্লাবে নাচ করছে। পরমুহুর্তেই দেখা যায়, রূপমঞ্জরী ভগবানকে বলছে যে এতদিনে সে একটা সংসার পেয়েছে।

কিন্তু গোরা মনে মনে বলে আজই তার এই সংসারে শেষদিন! সেই মতো রাতে সে বাড়ি ছাড়ে। সকালে গোরার চিঠি পেয়ে বাড়ির সবাই ভেঙে পড়ে। রূপমঞ্জরী কথা দেয়, যেভাবেই হোক সে তার স্বামীকে সংসারে ফিরিয়ে আনবেই। এরপর দেখা যায় যে রূপমঞ্জরী বিভিন্ন তীর্থক্ষেত্রে গোরার খোঁজে বেরিয়ে পড়ে। কখনও, বেনারসের ঘটে তো কখনও মথুরা। শেষে সে গিয়ে পৌছায় বৃন্দাবনে। সেখানে সেদিন দোল উৎসব, চারিদিকে বিভিন্ন রঙের ছড়াছড়ি।

ভগবানের সামনে দাঁড়িয়ে রূপমঞ্জরী আবদার করে স্বামীকে ফিরিয়ে দিতে। সে বলে যে এই ধাম থেকে তো কেউ খালি হাতে যায় না, তাই সেও যাবে না। হঠাৎ দেখা যায় এক আগন্তুকের আগমন। রূপমঞ্জরী দেখে তার স্বামী কিন্তু সাধকের রূপে, মাথায় লম্বা চুল আর গলায় কণ্ঠিমালা। সামনে গিয়ে হাসি মুখে রূপমঞ্জরী দাড়াতেই সে বলে, ভিক্ষাং দেহি। অবাক হয়ে রূপমঞ্জরী তাঁকে দেখতেই থাকে। ধারাভাষ্যে ভেসে ওঠে, প্রেম এবং ভক্তির অপূর্ব কাহিনী আসছে।

এক কথায়, এই প্রোমোই যেন বলে দিচ্ছে যে গল্পটা কতটা নতুন এবং মন ছুঁয়ে যাওয়ার মতো। তাই কয়েক মিনিটের এই প্রোমো যেন উত্তেজনার পারদ তুঙ্গে চড়িয়েছে এবার। কেউ বলছেন, ‘এই না হলে প্রোমো! এই না হলে গল্প, এমন ধারাবাহিক সাফল্য পাবে না সেটা কি হয়?’ একজন বলেছেন, ‘বহুদিন পর কোনও ধারাবাহিকের প্রোমো দেখে ভক্তি জেগে উঠল মনে। প্রথমে নবদ্বীপ থেকে বারাণসী তারপর বৃন্দাবন, পুরো প্রোমোটা জুড়ে একটা ভক্তি এবং আধ্যাত্মিকতার ছোঁয়া আছে।’ আপনারা কতটা উৎসাহী এই গল্প নিয়ে? জানাতে ভুলবেন না কিন্তু!

Piya Chanda