Bangla Serial

Neem Phuler Modhu: সৃজন-পর্ণা ছদ্মবেশে এলো রুচিরার বাড়িতে, তারপরই ঘটল অঘটন! কাল দারুণ পর্ব

জি বাংলার অন্যতম জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘নিম ফুলের মধু’ (Neem Phuler Modhu)। সম্প্রতি ধারাবাহিকের গল্প নিয়েছে নয়া মোড়। অভিনেতা রুবেল দাস (Rubel Das) ও অভিনেত্রী পল্লবী শর্মার (Pallavi Sharma) জুটি জয় করেছে দর্শকদের মন। টিআরপি (TRP) তালিকাতেও প্রথম পাঁচে জায়গা দখল করেছে এই সিরিয়াল।

দুর্গাপুজো উপলক্ষে বাড়িতেই থাকছে রুচিরা। যদিও সৃজনের ভাই চয়নের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কে ইতি ঘটেছে। সম্পর্কের ইতির কারণ পারিবারিক মতবিরোধ। চয়নের বাবা ও দাদা অপমান করে রুচিরা ও তাঁর মা-বাবাকে। এতেই সম্পর্ক ভাঙে দুজনের। অন্যদিকে, শুধু চয়ন নয়, পর্ণাও অনবরত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বান্ধবীর ভালোবাসাকে পূর্ণতা দেওয়ার। তাঁকে দত্ত বাড়ির ছোট বউ করার।

সাম্প্রতিক ধারাবাহিকগুলির থেকে একেবারে অন্যরকম এই ধারাবাহিকের গল্প। ঝাঁ চকচকে ড্রয়িংরুমের বদলে গল্প এগোচ্ছে উত্তর কলকাতার বনেদি কিন্তু মলিন বাড়ির উঠোনে। নায়িকা পর্ণা চায় শ্বশুরবাড়ির অচলায়তন ভেঙে কর্মরতা হিসেবে নিজেকে সুপ্রতিষ্ঠিত করতে।

আবার এমনি চাকরি নয়। সুপ্রতিষ্ঠিত সাংবাদিক হতে চায় পর্ণা। তাঁর জীবন সংগ্রামের সঙ্গে একাত্ম হতে পারছেন এই প্রজন্মের মেয়েরা। মধ্যবিত্ত বাড়ির খুঁটিনাটিতে নিজেদের জীবন খুঁজে পাচ্ছেন দর্শকরা। এই ধারাবাহিকের ক্ষেত্রে অবশ্য গল্পের গরু গাছে ওঠেনি বলেও মত সিরিয়ালপ্রেমীদের।

‘নিম ফুলের মধু’ ধারাবাহিকের আগামী পর্বের দেখা যাবে পর্না সৃজনকে বলছে, ‘ওরা কি করে রুচিরাকে নজরবন্দী করে রেখেছে দেখেছ?’ তখন সৃজন বলে, ‘তাহলে এখন কি করবে তুমি?’ এরপর পর্ণা ও সৃজন ছদ্মবেশ ধরে গেটের ভেতরে আসে। সিকিউরিটির দাদা তাদের আটকালে পর্ণা একটু ভয় পেয়ে যায়। তখন সৃজন বলে, আমরা জলের মিস্ত্রী। আমরা কল সারাতে এসেছি। এরপর পর্ণা ও সৃজনকে যেতে দেওয়া হয় ভেতরে।

আরও পড়ুনঃ পলাশের কাছে শিমুল টাকা চেয়েছে জেনে গেল বিপাশারা! লজ্জায় মাথা কাটা যাচ্ছে! টান টান উত্তেজনা নতুন পর্বে

উল্লেখ্য, ‘নিম ফুলের মধু’ ধারাবাহিকের জনপ্রিয়তা ভারত বাংলাদেশ ছেড়ে চলেছে সুদূর আফ্রিকাতেও। গত অক্টোবর মাস থেকে সম্প্রচারণ শুরু হয় এই ধারাবাহিকের। সূত্র বলছে, বেশ জনপ্রিয়তা পেতে শুরু করেছে এর মধ্যেই। ভারত বাংলাদেশ পেরিয়ে এবার সুদূর আফ্রিকাতেও জনপ্রিয় কলকাতার বনেদি বাড়ির এক মলিন উঠোনের গল্প।

Joyee Chowdhury

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ-এ স্নাতকোত্তর। বিনোদন ও সংস্কৃতি বিভাগই মূল ক্ষেত্র। আমার লেখা আরও পড়তে এখানে ক্লিক করুন।