আজ সকাল থেকেই মিঠাইয়ের প্রমো নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় তুমুল বাগবিতণ্ডা শুরু হয়েছে। সমরেশ এর সঙ্গে অনুরাধার বিয়ে দেবে মিঠাই আর সিদ্ধার্থ।। মোদক পরিবারের সকলেই উপস্থিত থাকবে সেখানে। বাড়ির সকলের সম্মতিতেই হবে এই বিয়ে কিন্তু নেটিজেনদের সম্মতি যেন মিলছেই না।বিশেষ করে যারা মিঠাই হেটার্স তারা নতুন একটা সুযোগ পেয়ে গেছে মিঠাইয়ের নামে নতুন করে বদনাম করার।
অশ্ল ীল ভাষায় ভরে যাচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়া। এক একজন এত বাজে ইঙ্গিত করছেন যে সেটা শিক্ষার খুব একটা ভালো পরিচয় দিচ্ছে না। বিয়ে মানে শুধু শারীরিক সম্পর্ক নয়, একটা বয়সের পর এসে সঙ্গী খুব দরকার হয়। এই সত্যিটা কেউ বুঝতেই চাইছেন না। তারা এমন ইঙ্গিত করছেন যে দীর্ঘদিন বউ ছাড়া রাতে একা থাকতেন সমরেশ তাই রাতের বেলা বিশেষ সময় কাটানোর জন্য তিনি অনুরাধা কে বিয়ে করলেন। ইঙ্গিতটা কোনদিকে সেটা সকলেই মোটামুটি বুঝতে পারছে আর এখানেই রেগে লাল মিঠাই ভক্তরা।
একটা সামাজিক দিক তুলে ধরেছে মিঠাই যেখানে নিঃসঙ্গ অবস্থায় অনেকেই একা হয়ে যান যাদের বউ মারা গেছেন বা স্বামী মারা গেছেন এবং ছেলে মেয়েরাও বাইরে। তখন বাধ্য হয়ে অনেকেই বিয়ে করেন সঙ্গিনীর জন্য। তার মানে এই নয় যে তিনি শারীরিক সম্পর্কের জন্য বিয়ে করছেন। সমরেশের ক্ষেত্রেও ঘটনাটা ঠিক একই রকম। মানুষটা ভীষণ একা,মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো কিন্তু মেয়ে তো শ্বশুরবাড়ি থাকে আবার ছেলে সিদ্ধার্থের সঙ্গে সম্পর্কটা একদম সহজ নয়। আর মিঠাইয়ের চোখে সেটা বারবার সব সময় ধরা পড়ে। মিঠাই চেয়েছিল অনুরাধা ম্যাম যেন তার নতুন শাশুড়ি হয়। এখানে কোন শারীরিক সম্পর্কের ব্যাপার নেই।
কিছু কিছু নেটিজেনরা বলছেন বিয়েতে তারা গিফট দেবেন কাকলি ফার্নিচারের খাট। বাংলাদেশের এই ফার্নিচার সংস্থা দামে কম মানে ভালো ফার্নিচার বানায়। এই নিয়ে এর আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেক মিম বানানো হয়েছে। কিন্তু এই খাট উপহার দেওয়ার যে কী ইঙ্গিত সেটা একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ ঠিকই বুঝবে আর এখানেই বোঝা যাচ্ছে যে কিছু নেটিজেনদের মানসিকতা কতটা খারাপ।
আজ থেকে কত বছর আগে বিধবা বিবাহ প্রচলন করেছিলেন বিদ্যাসাগর মহাশয় স্বয়ং।কিছুদিন আগে পিলুতেও দেখানো হয়েছে বিধবা বিবাহ তখন সবাই প্রশংসা করেছিল। কিন্তু একজন বিপত্নীক মানুষের বিয়ে দিলে এত সমস্যা কোথায়?