সন্ধ্যা মানেই যেন জি বাংলা, স্টার জলসা এই দুটো চ্যানেল ছাড়া বাঙ্গালীদের মুড়ি খাওয়া সম্পূর্ণ হয় না। দুই চ্যানেলই পুরনো-নতুন ধারাবাহিকের সম্ভার নিয়ে আসছে মাঝে মাঝেই। সারাদিনের কাজ সেরে মা-বোনেরা সেই ধারাবাহিকের চরিত্রগুলোকে নিজের ঘরের আপন করে নিয়েছে বলেই এখনও ধারাবাহিকের চল বা দিন শেষ হয়নি।
ধারাবাহিকগুলোর টিআরপি নির্ভর করে এই দর্শকদের উপরই। আর তাই ঠিক করে কোন ধারাবাহিক টিকবে আর কোনটা টিকবে না।
গল্পের পাশাপাশি দর্শকরা কিন্তু চরিত্রের খুঁটিনাটি সকল কিছুই নজরে রাখে। একটু ঊনিশ-বিশ হলেই ট্রোলের পাহাড় তৈরী হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। এই ট্রোল অনেক তারকারা খারাপ চোখে দেখলেও অনেকে ভালো ভাবে গ্রহণ করতে শেখে নিজের ত্রুটিগুলো দেখে নিয়ে। সম্প্রতি জি বাংলা ‘সোনার সংসার অ্যাওয়ার্ড’-এর একটি প্রোমো নিয়ে ট্রোলের সূত্র হয়। জলসার পিহুর ব্লাউজ পড়তে দেখা যায় জি-এর মিঠাইকে। অনেকেই বলেন একে ওপরের ব্লাউজ চুরি করেছে এরা।
তবে এবার মনে হচ্ছে সত্যি জি কাকু আর ষ্টার কাকুর মধ্যে একটা বেশ গভীর সম্পর্ক হয়েছে। আর তাই দুটো চ্যানেল তাদের ড্রেস অদল-বদল করছে। আর তাই দেখে ট্রোল ফের শুরু হয়ে গেছে ইতিমধ্যেই।
‘পঞ্চমী’ ধারাবাহিকে পঞ্চমীর একটি নাচে যারা পঞ্চমীর সাথে নাচছিল অর্থাৎ ব্যাকগ্রাউন্ড ডান্সার, তাদের ড্রেসের সাথে ‘মিঠাই’ ধারাবাহিকে মিঠির এনগেন্জমেন্টের সময় ডান্সারদের পোশাক মিলে গেছে। ওই একই ড্রেস পড়েছিল তারাও।
তা দেখে অনেকেই অনেকে কটাক্ষ শুরু করে। অনেকেরই মতে, দুই চ্যানেল ড্রেস চুরি করছে বা দুই চ্যানেলের মধ্যে এতটাই সমঝোতা হয়ে গিয়েছে যার জেরে একে অপরকে ড্রেস ধার দিচ্ছে। উল্লেখ্য, বর্তমানে বাংলা টেলিভিশনের জনপ্রিয় ধারাবাহিক হল ‘মিঠাই’। প্রায় দু বছর হতে চললো টেলিভিশনের পর্দায় রমরমিয়ে চলছে এই সিরিয়াল। আর এই এতদিনের পথ চলায় একের পর এক নিত্যনতুন টুইস্ট এসেছে গল্পে সেই সঙ্গে জমিয়া হয়েছে সমালোচনা, কটাক্ষ। ধারাবাহিকের প্রথম থেকেই মিঠাই ও উচ্ছেবাবুর দুষ্টু-মিষ্টি সম্পর্ক মন কেড়েছিল সকল দর্শকদের। এই মিঠাই-এর চরিত্রে অভিনয় করছেন সৌমিতৃষা কুন্ডু এবং উচ্ছেবাবুর চরিত্রে রয়েছেন আদৃত রায়।
অন্যদিকে নতুন শুরু হওয়া ধারাবাহিকগুলির মধ্যে স্টার জলসার অন্যতম একটি ধারাবাহিক হলো ‘পঞ্চমী’। বাস্তব জীবনের থেকে একটু দূরে গিয়ে এই ধারাবাহিকের গল্প তুলে ধরা হয়েছে যা এক ইচ্ছাধারী সাপকে কেন্দ্র করে তৈরি হয়েছে।
ধারাবাহিকের দুই মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করছেন অভিনেত্রী সুস্মিতা দে এবং অভিনেতা রাজদীপ গুপ্ত।