স্টার জলসায় (Star Jalsha) সম্প্রচারিত হওয়া এক জনপ্রিয় ধারাবাহিক হল শুভ বিবাহ (Subho bibaho)। এই ধারাবাহিকে সম্প্রতি দেখা যায় সুধা নিজের মুখে তাঁর নিজের সব অতীতের কথা বলে দেয়। সুধা সবটা জানায় বসু মল্লিক পরিবারের মানুষজনদের। বসু মল্লিক পরিবারের সবাই সুধার মুখ থেকে সব কথা শুনে অবাক হয়ে যায়। শুধু তাই নয়, সবাই সুধার বিরোধিতা করতে শুরু করে।
শুভ বিবাহ আজকের পর্ব ১০ই সেপ্টেম্বর / Subho bibaho today full episode 10 September
ধারাবাহিকের নতুন পর্বে দেখা যায় যে জ্যোৎস্না তড়িতাকে বলে এত বড় কথাটা জেনেও কেন তুমি লুকিয়ে গিয়েছিলে? তুমি তো এই বাড়ির বউ নাকি! তড়িতা তখন উত্তরে বলে, তাঁর করার কিছুই ছিল না কারণ, দাদাভাই সংস্থার মাথা। তাই দাদাভাই যদি রেগে গিয়ে অনিমেষকে কাজ থেকে বার করে দিত তখন সমস্যায় পড়তে হতো। অন্যদিকে ইমন ও ইমনের মা কাননবালা দেবীকে বলতে থাকে, সুধা বিয়ের পর তেজকে বশ করেছে আর সেই কারণে তেজ সুধার কথা শুনে চলে। আর সেটা শুনে রেগে যান কাননবালা দেবী।

এরপর দেখা যায়, বাগানে সুধাকে তেজ বোঝাতে থাকে যে সে সুধার পাশে আছে এবং তার বিশ্বাস সুধা একদিন ঠিক নিজেকে এই বাড়ির যোগ্য বড় বউ রূপে প্রমাণ করতে পারবে। এই লড়াইটা সুধাকে লড়তেই হবে। আর তখন দেখা যায় চারিদিকে সে সময় বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে আর সুধা তখন তেজকে জড়িয়ে ধরে। সুধা আর তেজ বাগানে বসে গল্প করছে দেখে চমকে যান কানন বালা দেবী! তার মনে হতে থেকে, তাঁর সাজানো নিয়মকানুন এবার ভেঙে যাবে তাকে এই পরিবারে আর কেউ মানবে না! কাননবালা দেবী সিদ্ধান্ত নেয় তিনি কিছুতেই হেরে যাবেন না।
পরের দিন দেখা যায় যে তেজের মা চিন্তায় আছেন যে তেজ কোথায়? আর তেজের কাকিমা বলছেন, তুমি চিন্তা করো না, তেজ ঠিক সুধাকে নিয়ে আসবে। তেজ সুধা কে নিয়ে ঘরে ঢুকলে কাননবালা দেবী তার দেখে বলেন ওই মেয়ে এই বাড়িতে আর ঢুকবে না। তখন তেজ পাল্টা বলে, যদি সুধা এই বাড়ি থেকে বেরিয়ে না যায় তাহলে তিনি এই বাড়ি থেকে চলে যাবেন। এটা শুনে তখন কাননবালা দেবী বলেন, “আমি জানতাম এখন আর আমার কথার কোন গুরুত্ব নেই এই বাড়িতে।” আর সেই কারণে তিনি সিদ্ধান্ত নেন তিনি কাশীতে চলে যাবেন। আর কোনদিনও ফিরবেন না।
কাননবালা দেবী যখন ব্যাগ নিজের ঘর থেকে বেরিয়ে যাবেন তখন সুধা বলে আপনি কেন এই বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাবেন আর সে সেটা চায় না। কাননবালা দেবী তখন বলেন, আমি তোমার সাথে এক বাড়িতে থাকতে চাই না। সুধা তখন আবার বলে আপনি চাইলে আমি বাড়ি থেকে বেরিয়ে যেতেই পারি কিন্তু তাতে কি সমস্যার সমাধান হবে? আয এই বাড়ির বউ যদি বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় তবে এই বাড়ির সম্মান কি তাতে বাড়বে? লোকে তখন কথা বলবে যে কেন এই বাড়ির বউ বাড়ির বাইরে আছে! বুদ্ধি দিয়ে সুধা পরিস্থিতি সামলায় আর বলে সে প্রায়শিত্ত করতে রাজি আছেন।
আরও পড়ুন: ‘নিম ফুলে’ পর্ণার নতুন চ্যালেঞ্জ! অভিমুন্যর পাতা ফাঁদ পেরিয়ে কিভাবে জিতবে নায়িকা?
কাননবালা দেবী পুরোহিত মশায়কে ডেকে আনেন আর সমস্যার কথা বলে প্রায়শ্চিত্তের বিধান দিয়ে যান। পুরোহিত বিধান বলে তিনি নিজের মনমত তিনটি নিয়ম বানিয়ে দেন, যে নিয়মগুলি হলো সুধা ঠাকুরঘরে ঢুকতে পারবে না, সুধা রান্নাঘরে ঢুকতে পারবে না, আর সুধা তেজের ঘরেও থাকতে পারবে না। সুধা তখন বুঝতে পারে এই নিয়ম কোনো শাস্ত্রে নেই। কিন্তু তা সত্ত্বেও সেই এই নিয়ম সে মানতে চায় কারণ সে এবার বুদ্ধি দিয়ে এই বাড়িতে নিজের জায়গা করে নেবে। কিন্তু এখানেই প্রশ্ন যে, সুধা যদি রান্নাঘরে না ঢোকে ঠাকুরঘরেই না ঢোকে আর গজাননের ভোগ যদি না রাঁধে! তবে কীভাবে সে সকলের মন পরিবর্তন করবে? উত্তর পেতে হলে দেখতে হবে আগামী পর্ব।