স্টার জলসার (Star Jalsha) জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘অনুরাগের ছোঁয়া’ (Anurager Chhowa)। ইতিমধ্যেই দর্শকদের মনের মণিকোঠায় জায়গা করতে সক্ষম হয়েছে এই ধারাবাহিক। পাশাপাশি, ছোটপর্দার গল্পে যেভাবে একজন শ্যামবর্ণ মেয়ের জীবন সংগ্রামের কাহিনী ফুটিয়ে তোলা হয়েছে তা দারুণ পছন্দ হয়েছে বাংলা সিরিয়াল প্রেমী ও নেটিজেনদের।
এই মুহূর্তে ধারাবাহিকে চলছে টানটান উত্তেজনা। সূর্য, দীপা ও মিশকার ত্রিকোণ প্রেম ও সম্পর্কের টানাপোড়েনের নিয়ে তৈরি সিরিয়ালের গল্প। টিআরপি তালিকায়ও বরাবরই প্রথম পাঁচে থাকে। প্রতি এপিসোডেই ধারাবাহিকের গল্পে থাকে নতুন নতুন টুইস্ট। এই মুহূর্তে, আবার ধারবাহিকের গল্প মোড় নিয়েছে খাতে। সহজ কথায় যাকে বলে, গল্প একেবারে জমে ক্ষীর। সূর্যের সঙ্গে ডিভোর্স হয়ে যাবে দীপার। আর তাঁদের সন্তানদের কাস্টডি কে নেবে এই নিয়ে চলছে কোর্ট কেস।
দিন দিন দূরত্ব বাড়ছে সূর্য দীপার। আইনি লড়াইও চলছে জোর কদমে। সোনা রুপাকে দীর্ঘদিন কাছে না পাওয়ায় ড্রিংক করতে আরম্ভ করে সূর্য। আইনি পথেও সন্তানদের ফিরে না পাওয়ায় এবার মিশকার সঙ্গেই হাত মেলায় সূর্য। কিন্তু মিশকার কুবুদ্ধি আর শয়তানির সঙ্গে সমান তালে তাল মিলিয়ে চলছে থাকে সূর্যের মদ্যপান। আর তার জেরেই কঠিন অসুখ হয় সূর্যের।
লাবণ্য যখন তাঁকে ডাক্তার দেখায়, ডাক্তার বলে সূর্যের কঠিন অসুখ হয়েছে। যার থেকে সেড়ে ওঠা বেশ কষ্টসাধ্য। উনি আর হাঁটা চলাও করতে পারবে না। এমনকী অতীত জীবনের কোনো কথাই তার মনে থাকবে না। যতদিন যাবে বাচ্চা শিশুর মত হয়ে যাবেন তিনি। লাবণ্য সেনগুপ্ত বলেন, আপনার যত টাকা লাগবে লাগুক। আপনি আমার ছেলেকে প্রাণে বাঁচান। ডাক্তার সাফ জানায়, এভাবে কিছু সম্ভব নয়।আপনারা ওঁনার সঙ্গে ভাল ব্যবহার করুন। পারলে স্ত্রী ও মেয়েদের ওঁনার কাছে নিয়ে আসুন।
লাবণ্য মনে মনে ভাবে কী করে সম্ভব। একদিকে মিশকা ও তার ছেলে আর দীপা আর তার দুই মেয়ে কী করে এক বাড়িতে থাকবে। কিন্তু দীপাকে গিয়ে যখন লাবণ্য যখন বলেন দীপা তার মেয়েদের দিয়ে চলে আসে। ততক্ষণে সূর্য প্যারালাইসিস। কাউকেই চিনতে পারছে না। এমনকি যাদের জন্য এতকিছু সেই সোনা রুপাকেও চিনতে পারবে না সে।