জি বাংলার ধারাবাহিক ‘কুসুম’ (Kusum) শুরু থেকেই নানা আলোচনা আর সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। বিশেষত মুখ্য চরিত্র কুসুমের ভূমিকায় নবাগতা ‘তনিষ্কা তিওয়ারি’কে (Taniska Tiwari) নেওয়া নিয়ে দর্শকদের একাংশ দ্বিধায় ছিলেন। আগে তাঁকে পার্শ্ব চরিত্রে বা শিশু শিল্পী হিসেবে দেখা গেলেও, প্রথমবার বড় সুযোগ পাওয়ায় অনেকেই মনে করেছিলেন যে এই চরিত্রের ভার কাঁধে নেওয়া তাঁর পক্ষে সহজ হবে না। অন্যদিকে ধারাবাহিকে রয়েছেন অভিজ্ঞ শিল্পী সপ্তর্ষি রায় ও অঞ্জনা বসুর মতো নাম, যাঁদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারবেন কি না তনিষ্কা— এই প্রশ্নও উঠেছিল বারবার।
তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই সংশয় অনেকটাই কেটে গেছে। কুসুম চরিত্রের দৃঢ়তা, বিপদে ভেঙে না পড়া মনোভাব, আর ইন্দ্রাণীর মন জয়ের চেষ্টাগুলো এখন নিয়মিতভাবে দর্শকদের টানছে। প্রথমদিকে কটাক্ষ যেটা বেশি হচ্ছিল, সেটাই আজ উল্টে গিয়ে কৌতূহল আর অপেক্ষার জায়গা তৈরি করেছে। প্রতিদিনই দর্শকরা দেখতে চান, নতুন কোন পরীক্ষার সামনে দাঁড়াবে কুসুম, আর কিভাবে লড়াই চালিয়ে যাবে। যদিও প্রতিটি ধাপেই সে বিপদের সম্মুখীন হয়, কিন্তু হাল না ছাড়ার জেদই তাঁকে আলাদা করে তুলছে।
এই মুহূর্তে ধারাবাহিকের গল্পে এসেছে নতুন মোড়। সম্প্রতি আয়ুষ্মানদের ব্যবসার প্রচারের জন্য তৈরি হয় একটি বিজ্ঞাপনী ভিডিও, যেখানে কুসুম আর আয়ুষ্মানকে সাজানো হয় বর-কনে। ভিডিও শুটিংয়ে মালাবদল থেকে শুরু করে সিঁদুরদান পর্যন্ত সমস্ত আচার পর্দায় দেখানো হয়। যদিও পুরো ব্যাপারটি নিছকই বিজ্ঞাপনের অংশ ছিল। তবু কুসুমের কাছে এটা অভিনয় নয়, বরং সম্পর্কের স্বীকৃতির মতো। শুটিং শেষে প্রোডাকশন টিম যখন তাঁকে সিঁদুর মুছে ফেলতে বলে, তখন সে মানতে রাজি হয়নি।
এরপর থেকেই শুরু হয়েছে নতুন বিতর্ক। এতদিন গল্পকে অবাস্তব বলে সমালোচনা করা হলেও আবার বিতর্কে জড়িয়েছে কুসুম! দর্শকদের একাংশের মতে অভিনেত্রী সত্যিই এই চরিত্রের জন্য তেমন উপযুক্ত নন। কারণ স্বরূপ অনেকেই জি বাংলার কমেন্ট বক্সে লিখেছেন, “কুসুমকে নেকা গলায় কথা বলতে বারন করুন! সব পরিস্থিতিতেই কাঁদো কাঁদো গলায় কথা বলে কেন তনিষ্কা?” আবার একজন সরাসরি লিখেছেন, “কুসুম এর ভয়েস ডেলিভারি সবসময় এক কেন? তনিষ্কার জায়গায় অন্য কেউ হলে তাও একমত হওয়ার একটা সুযোগ ছিল।
আরও পড়ুনঃ “আপনারা সাদা চোখে যা দেখছেন, পেছনে গভীর কারণ আছে!” “আমি কমপ্লেনিং নই, কাজটাই আমার কাছে হিরো, বাকিসব হেরো!”— পুজোর প্রোমো থেকে বাদ যাওয়ায় জিতুর স্পষ্ট জবাব! তবে কি দিতিপ্রিয়ার অঙ্গুলী হেলনেই বাদ পড়েছেন জিতু? প্রশ্ন তুলছে নেট পাড়া
একে কেন জানি ভালো লাগে না!” কেউ তো স্পষ্ট দাবী করেছেন, “কুসুমের কথা গুলো একটু স্পষ্ট করুন এই রকম কাঁদো কাঁদো, ন্যাকা অসহ্য লাগছে। এমনিতেই গল্পে নতুনত্ব আনতে গিয়ে এমন এমন কান্ড হচ্ছে যা কল্পনার বাইরে।” অন্যদিকে গল্পের বাঁক নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন অনেকে। তাঁদের মতে, নতুনত্ব আনার চেষ্টায় মাঝে মাঝেই এমন সব ঘটনা দেখানো হচ্ছে, যা কল্পনারও বাইরে। ফলে ধারাবাহিকের কিছু মুহূর্ত দর্শকদের কাছে অস্বস্তিকর ঠেকছে। সব মিলিয়ে, একদিকে চরিত্রের লড়াই দর্শককে ছুঁয়ে যাচ্ছে, অন্যদিকে সংলাপের ভঙ্গি আর কাহিনির অস্বাভাবিক দিকগুলো টানছে বিতর্ক।