বাঙালির অত্যন্ত প্রিয় অত্যন্ত কাছের বিনোদনের মাধ্যম হলো বাংলা ধারাবাহিক। এই ধারাবাহিকগুলি বাঙালি দর্শকদের মনের কুঠুরিতে জায়গা করে নিয়েছে। একই সঙ্গে জায়গা করে নিয়েছে এই ধারাবাহিকের বিভিন্ন চরিত্রগুলি।
আগেকার দিনের মতো এখন আর দীর্ঘমেয়াদি ধারাবাহিক দেখা যায় না। এক-দু’বছর বা কয়েক মাসের মধ্যেই শেষ হয়ে যাচ্ছে শুরু হওয়া সব ধারাবাহিক। আর এই পরিস্থিতিতে এত নায়ক নায়িকার ভিড় যে খুব বেশি করে তাঁদের মনে রাখা সম্ভবপর হয় না। তবু কিছু তারকা থাকে যারা দাগ কেটে যায়।
যেমন মিঠাই, খড়ি বিভিন্ন চরিত্রগুলি দর্শকদের মন জিতে নিয়েছে খুব অনায়াসে। এই চরিত্রগুলির বিশাল সব ফ্যান ফলোয়ার্স। কিন্তু আপনি কি জানেন এই চরিত্রগুলিতে অভিনয় করে সৌমীতৃষা কুন্ডু বা সোলাঙ্কি রায়রা যে জনপ্রিয়তা পেয়েছেন তা আসলেই পাওয়ার কথা ছিল অন্য কোনও অভিনেত্রীদের। কিন্তু তাঁরা চরিত্রগুলি ছেড়ে দেওয়ায় সেই জায়গায় কাজ পান এই তারকারা। তবে বলা বাহুল্য, আজ তাঁদের জায়গায় ওই নায়িকারা থাকলেও সিরিয়াল এত হিট হত কিনা সেটা নিয়ে রয়েছে সংশয়।
চলুন তাহলে এক নজরে দেখে নেওয়া যাক কোন কোন ধারাবাহিকগুলিতে কাদের কাজ করার কথা ছিল। এই প্রসঙ্গে শুরুতেই যার নাম নিচ্ছি সেটি হলো মিঠাই ধারাবাহিক। এখানে মিঠাইয়ের চরিত্রে সৌমীতৃষা কুণ্ডু এই বয়সে যে পরিমাণ সাফল্য পেয়েছে সেটা অনেক নায়িকার কাছে শিক্ষণীয়। তার সাবলীল কথা বলা, স্বতঃস্ফূর্ত অভিনয় সব মিলিয়ে খুব তাড়াতাড়ি দর্শকদের মনে বিশেষ জায়গা করে নেয় নায়িকা। সঙ্গে তার উচ্ছে বাবু। দুজনের কেমিস্ট্রি ঝড় তুলেছে বাংলা টেলিভিশনে।
পরপর ৫৭ সপ্তাহ টিআরপি লিড করে গেছে মিঠাই রানী। এই বয়সেই নায়িকা করছে ডবল রোল। মিঠি আর মিঠাই দুটো চরিত্রই গুরুত্বপূর্ণ এখন ভক্তদের কাছে। আর দুজনকেই ভালোবাসা দিয়েছে দর্শক।
কিন্তু এই অফার প্রথমে এই নায়িকাকে দেওয়া হয়নি। মিঠাই রূপে প্রথমে অভিনয় করার কথা ছিল বাংলা টেলিভিশনের আরেক জনপ্রিয় অভিনেত্রী ঐশ্বর্য সেনের। কিন্তু তিনি ওই চরিত্র না করায় তার প্রস্তাব যায় সোজা সৌমীতৃষার কাছে। এই ধারাবাহিক যে দর্শকদের মনোরঞ্জন করতে দারুণভাবে সফল হয়েছে তা বলা বাহুল্য।