মৃত্যুতেই যে প্রেম শেষ হয় না, তা আরও একবার প্রমান হয়ে গেল। মৃত্যুর পরও হাত ছাড়েনি জীবনসঙ্গী। শেষ স্বপ্ন পূরণ করতে পিছপা হয়নি প্রেমিক। শেষমেশ জিতে গেল ভালোবাসাই, শুধু ভালোবাসার প্রমান করতে গিয়ে চলে গেল প্রাণটা। উক্ত ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা এলাকায়। এমন দৃশ্য খুব কমই দেখা যায়। তাই এরূপ ঘটনায় অবাক ত্রিপুরাবাসী।
বিশালগড় মোহনা মোর্চার সদস্যা রূপা সাহা। বয়স খুব বেশি নয়। প্রেমে পড়েছিল বিশালগড়-এরই এক ছেলের উপর। কিন্তু সেই প্রেমে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল রূপার গোটা পরিবার। দীর্ঘদিন ধরে বোঝানোর পরও এই প্রেমকে মেনে নেয়নি কেউ। শেষে প্রেমের জন্য বিবাদ বাঁধে নিজের মানুষগুলোর সঙ্গেই।
এই মানসিক অশান্তি থেকে মুক্তি পেতে শেষে আত্মহত্যার পথ বেছে নিল মোহনা মোর্চার সদস্যা রূপা সাহা। ঘটনাটি পরিবারের চোখে পড়তে অনেকটাই দেরি হয়ে যায়। তারপরই তাকে নিয়ে যাওয়া হয় বিশালগড় মহকুমা হাসপাতালে। কিন্তু ডাক্তাররা জানান, ইতিমধ্যে মৃত্যু হয়ে গিয়েছে রূপার, সে আর নেই। একথা শুনে ভেঙে পড়ে রূপার গোটা পরিবার।
মঙ্গলবার মহাশ্মশানে নিয়ে যাওয়া হয় রূপাকে। আর সেখানেই ঘটে এক বিরল ঘটনা। রূপার প্রেমিক সকলের সামনে তাকে সসম্মানে সিঁদুর, শাখা পড়িয়ে বিয়ে করে। রূপার শেষ ইচ্ছা পূরণ করে তার প্রেমিক। যার সাক্ষী হল গোটা এলাকাবাসী। এরূপ ঘটনা চোখে জল এসে যায় সকলের। পরিবারও আপসোস করে।
এদিন মহাশ্মশানে রূপার দেহে বিজেপির দলীয় পতাকা দিয়ে শেষ শ্রদ্ধা জানান বিশালগড়-এর প্রাক্তন বিধায়ক সুবল ভৌমিক ও বর্তমান বিধায়ক সুশান্ত দেব। উক্ত ঘটনায় শোকস্তব্ধ গোটা এলাকা। রূপা চলে গেলেও এমন বিরল দৃশ্য থেকে যাবে সকলের মনে। আর সেই স্মৃতির সাথেই থেকে যাবে সকলের রূপার অমর ভালোবাসা।