জি বাংলার একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় ধারাবাহিক হলো ‘মিঠাই’। সম্প্রতি এই ধারাবাহিক নিয়ে আরো একবার চারিদিকে হইচই পড়ে গেছে। তার কারণ দুদিন আগে এই ধারাবাহিকের একটি নতুন প্রমো সামনে এসেছে যেখানে দেখা গেছে মিঠাইয়ের ঝলক। যা দেখে সিদ্ধার্থর সাথে সাথে দর্শকরাও একেবারে চমকে উঠেছে। যথারীতি সকলের মনে প্রশ্ন উঠছে সত্যিই কি তাহলে মিঠাই ফিরে এলো? নাকি এটা আবার নতুন কোন ষড়যন্ত্র!
প্রসঙ্গত গতকালের পর্বে দেখা গেছে মিঠিকে কে খুন করবার চেষ্টা করেছিল! সেটা জানার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করে যাচ্ছে সিদ্ধার্থ। সেজন্য সে গোটা হাসপাতালে নিজের টিমকে ডেকে পাঠিয়েছে এবং তারাও কিছু ক্লু খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা করছে। এরই মধ্য থেকে মিঠির কাছ থেকেও সিদ্ধার্থ তাদের কিডন্যাপ করার দিন কী হয়েছিল সেটা জানতে পেরেছে। তারই মধ্যে দেখা গেছে শেষে মিঠিকে হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়া হয়েছে এবং সিদ্ধার্থ তাকে নিয়ে মনোহরাতে এসেছে।
আসন্ন পর্বে আমরা দেখতে পাবো মিঠিকে নিয়ে যখন সকলে বাড়িতে আনন্দ করছে। তখনই মিঠির বাবা মনোহরাতে আসে এবং বলে যে আমার মেয়ে এখানে থাকবে না। আমি হাসপাতালে গিয়েছিলাম ওকে রিলিজ করাতে কিন্তু সেখানে গিয়ে জানতে পারলাম তোমরা ওকে নিয়ে চলে এসেছো। এই বলে মিঠির বাবা তাকে নিয়ে চলে যেতে চায় যা শুনে শাক্য সিদ্ধার্থকে প্রশ্ন করে যে সত্যি কি মিঠি চলে যাবে!
কিন্তু পরে মিঠি তার বাবাকে বোঝালে তিনি সিদ্ধার্থর ওপর বিশ্বাস রেখে বাড়ি ফিরে যান। তারপরেই সকলে মিঠিকে নিয়ে সিদ্ধার্থের ঘরে যায় এবং তাকে বিছানায় শুতে বলে। কিন্তু মিঠি কিছুতেই শুতে চায় না তার কারণ তার মনে হতে থাকে যে সিদ্ধার্থের এতে অসুবিধা হবে। তারপর সিদ্ধার্থ আসে এবং মিঠিকে বকে ঝকে বিছানায় শুইয়ে দেয়।
এরপর দেখা যায় সৌমি অনেক দিন পরে বাড়িতে ফিরেছে। কিন্তু সে মিঠির সঙ্গে সিদ্ধার্থর ঘনিষ্ঠতা বাড়তে দেখে কিছুতেই সহ্য করতে পারছে না। তাই মনে মনে ভাবতে শুরু করে যে এবার তো তাহলে যে মিঠিকে বাড়ি থেকে তাড়াতে পারবে তাকে আসতে হবে। এরপরে যখন পরের দিন সিদ্ধার্থ শাক্যকে স্কুলে দিতে যাচ্ছিল সেই সময় মিঠিকেও চেকআপে নিয়ে যাচ্ছিল।
তখন শাক্য চকলেট খেয়ে স্কুলের শার্টটা নোংরা করে ফেলে যার জন্য মিঠি এবং শাক্য দুজনে মিলে সেই জামা পরিবর্তন করতে বাড়িতে ঢোকে। তারপরেই হঠাৎ করে সিদ্ধার্থের কানে ভেসে আসে মিঠাইয়ের গলা। ঠিক যেভাবে মিঠাই মনোহারা বিক্রি করতো সেই ভাবে সুর করে কেউ মনোহরা বিক্রি করছে। আর তারপরেই একটি মেয়েকে দেখতে পায় মাথায় হাঁড়ি নিয়ে শাড়ি পড়ে যাচ্ছে। পিছন থেকে তাকে দেখে রীতিমতো অবাক হয়ে যায় সিদ্ধার্থ। কারণ তাকে দেখে মিঠাইয়ের কথাই মনে পড়তে শুরু করে তার।