জি বাংলায় পরপর এসেছে বেশ কিছু নতুন ধারাবাহিক, তার মধ্যে অন্যতম হলেও ‘মন দিতে চাই’। যেখানে মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করতে দেখা যাচ্ছে জি বাংলার ‘এই পথ যদি না শেষ হয়’ ধারাবাহিক খ্যাত অভিনেতা ঋত্বিক মুখার্জীকে এবং স্টার জলসার ‘আয় তবে সহচরী’ ধারাবাহিক খ্যাত অভিনেত্রী অরুনিমা হালদারকে। শুরুর কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই বেশ ভালো জনপ্রিয়তা অর্জন করে নিয়েছে এই ধারাবাহিক দর্শকদের মধ্যে।
ধারাবাহিকের গল্প শুরুর থেকে দেখানো হয়েছে যে নায়ক সোমরাজ মনে করে যে একজন ছেলে যা করতে পারে তা একজন মেয়ে করতে পারে না। আর উল্টো দিকে নায়িকা তিতির নিজের পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর জন্য রাত দিন খেটে কাজ করে। তারা দুজন যখন একে অপরের সঙ্গে সামনাসামনি হয় তাদের কথা কাটাকাটি হয়। এরই মধ্যে এও জানা গেছে যে সোমরাজ তার সৎ মাকে অন্ধের মত বিশ্বাস করে।
এই ধারাবাহিকের যারা নিয়মিত দর্শক তারা জানেন সম্প্রতি দেখানো হচ্ছে সোমরাজের বোনের সঙ্গে তিতিরের দাদার বিয়ে হচ্ছে আর সেই বিয়ের মন্ডপে ঘটেছে অদ্ভুত এক কান্ড। নতুন বর-কনের যখন সাত পাকে ঘোরা হচ্ছিল সেই সময় তিতিরের আচল এবং সোমরাজের শেরওয়ানির ওড়নাটা বেধে যায় তাদের গাঁটছড়ার সাথে এবং তারাও তাদের সঙ্গে সাতপাকে ঘুরতে শুরু করে। যা দেখে সোমরাজের সৎ মা রেগে যায় এবং সাত পাকে ঘোরা বন্ধ করতে বলে।
যা নিয়ে একের পর এক কথা কাটাকাটির ফলে সোমরাজ তার সৎ মাকে এসব থামাতে বলে। আর তখনই সে সোমরাজ কে বলে যে ‘তুমি জীবনে প্রথমবার আমার কাছে কৈফিয়ত চাইলে’! এই নিয়ে একের পর এক কথা চলতে চলতে সোমরাজের আসল মায়ের কথা বেরোয় এবং তখন সোমরাজ বলে যে সে তার আসল মাকে ঘৃণা করে।
পরবর্তী পর্বে দেখা যাবে তিতির এই কথা শুনে সোমরাজকে বলে ‘এরপর থেকে যখনই আপনার সাথে দেখা হবে না মিস্টার ব্যানার্জি, আমি তখনই প্রমাণ করে ছাড়বো যে মায়েরা কখনো খারাপ হয় না।’ এই শুনে সোমরাজ অবাক হয় কিন্তু উল্টো দিক থেকে সোমরাজের সৎ মা মনে মনে বলে যে ‘এই প্রতিজ্ঞা যে করবে তাকে আমি শেষ করে দেবো’। এবার পরবর্তী দিনে সোমরাজ এবং তিতিরের সম্পর্ক কোন দিকে মোড় নেয় সেটা জানতে হলে দেখতে হবে মন দিতে চাই।