বর্তমানে টলিপাড়ার জনপ্রিয় অভিনেত্রী তিনি। কাটোয়া থেকে একরাশ স্বপ্ন নিয়ে তিনি পাড়ি দিয়েছিলেন মহানগরী কলকাতায়। তবে বরাবরই নিজস্ব গুনে তিনি জয় করেছেন দর্শকদের মন। সাধারণত তারকাদের ক্ষেত্রে দেখা যায় শরীরের বিভিন্ন ত্রুটি নিয়ে সেগুলিকে ঢাকার জন্য বা লোকানোর জন্য তারা সাহায্য নিয়ে থাকেন মেকআপ বা সার্জারির। অনেকেই আবার সেইস্থানকে ঢাকার জন্য করে টেটু। তবে এই বিষয়ে বরাবরই সাহসিকতা পরিচয় দিয়েছেন অভিনেত্রী শ্রুতি দাস।
অভিনয় জগতে আসার পর থেকেই তার গায়ের রং নিয়ে তাকে শুনতে হয়েছে অনেক কটূক্তি। তিনি সহ্য করেছেন অনেককিছুই। তবে কখনই থেমে থাকেননি অভিনেত্রী। প্রতিবারই আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে তিনি এসেছেন সকলের সামনে। সম্প্রতি জি বাংলায় তার ধারাবাহিক রাঙা বউ শেষ হয়েছে। এছাড়াও জানা গেছে তিনি অভিনয় করছেন শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় এবং নন্দিতা রায়ের আসন্ন সিনেমা “আমার বস” -এ। এই সিনেমার মাধ্যমেই তিনি পা রাখতে চলেছেন বড় পর্দায়।
সম্প্রতি অভিনেত্রী হাসিমুখে একটি ছবি শেয়ার করেছিলাম সোশ্যাল মিডিয়ায়। যেখানে তিনি তার শারীরিক ত্রুটিটি দেখিয়ে হাসি মুখে সকলকে জানিয়েছেন কিভাবে তার মায়ের থেকে তিনি শিখেছেন আত্মবিশ্বাসী হওয়া। তিনি ইনস্টাগ্রামে তার ছবিটি শেয়ার করে তিনি লিখেছেন “ভাগ্যিস আমি ছোটবেলায় লোকের কথা শুনে দাঁতে ক্লিপ লাগাইনি। মা বলে মুখ চিপে হাসবে না। মুখ খুলে হাসবে, প্রাণ খুলে হাসবে দাঁত বের করে। তুই সবদিক থেকেই সুন্দর।” জানিয়েছেন অভিনেত্রী।
তিনি এও জানিয়েছেন “সবাই বলে সকলেই তোমার মনবল ভেঙে দেওয়ার এত চেষ্টা করে তাও তিনি এত স্ট্রং (দৃঢ়) কিভাবে? আমি কারণ আমার মা আমায় কোনও এটা বুঝতেই দেয়নি যে আমার মধ্যে কোনো খামতি আছে, আমি কোনও অংশে দুর্বল। আমার কোনও খুদ থেকে থাকলেও তিনি সবসময় আমায় বুঝিয়েছেন চাঁদেও কলঙ্ক থাকে। তাই জন্যই মা জানলার পাশে থেকে আসা চাঁদের আলোয় এখনও আমার ঘুমন্ত মুখ দেখে শান্তিতে, আদরে করে আমায় বুকের কাছে টেনে নিয়ে চুপিচুপি আদর করে। তবে আমি কিন্তু টেরও পাইনা। আমি অনেক পরে জেনেছি এটা মায়ের অভ্যেস। কারণ আমার মা সারাদিন বাবু বাবু মেয়ে মেয়ে করে না। আমাদের মধ্যে সারাক্ষণ দুই বোনের মতো খুনসুটি, মান অভিমান, ঝগড়া চলে। তবে আমি এই ভালো আছি।”
আরো পড়ুন: শিমুলকে অপমান করায় রেগে গিয়ে রঞ্জার গালে সপাটে থা’প্প’ড় মারল পুতুল! মনের কথায় চমকে দেওয়া পর্ব আসছে
আসলে অনেকেই মনে করেন দাঁতের গঠন ভালো না হলে নাকি মুখের গঠন ভালো করে খোলে না। দাঁতের গঠন ভালো না হলে কিছু মানুষ সেই নিয়ে বেশ চিন্তায় থাকেন। কিছু মানুষের দাঁত উচুঁ নিচু, কিছু মানুষের দাঁতের মাঝে থাকে ফাঁক। যার ফলে তারাও প্রাণ খুলে হাসতে পারেননা, অস্বস্তি বোধ করেন নিজেরাই। সেই কারণেই অনেকেই ডাক্তারদের পরামর্শ নিয়ে আবার ছোট থেকেই বাচ্চাদের দাঁতে ক্লিপ লাগান। যাতে দাঁতের গঠন ভালো হয়। যদিও অভিনেত্রী জানিয়েছেন তার দাঁতের গঠন উচুঁ নিচু হলেও তার ক্ষেত্রে ঘটেনি এমনটা। বরং এইসমস্ত অযথা চর্চার থেকে তাকে সর্বদাই দূরে রেখেছিলেন তার মা। তাই তিনিই স্ট্রং করে তুলেছেন তাকে। তার এই কথা শুনে অভিনেত্রীর সাহসিকতা এবং উন্নত চিন্তাধারাও প্রশংসা করেছেন নেটিজেনরা সকলেই।
View this post on Instagram