নতুনের আজ জন্মদিন, তাই আয়োজনের শেষ নেই। আজকের পর্বে দেখা যাবে স্বতন্ত্রর ইনস্টিটিউটের ছাত্র-ছাত্রীরা হঠাৎই তাঁর ফ্ল্যাটে এসে হাজির হয়েছে জন্মদিন পালনের জন্য। এই দেখে স্বতন্ত্র অবাক। কারণ, সে কোনোদিনও নিজের জন্মদিন পালন করা পছন্দ করে না।
প্রতিবছর এই দিনটা স্বতন্ত্র ছুটি নেয় কিন্তু এই বছর সে নানা প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হচ্ছে তাঁকে। আর সেই সঙ্গে পুরনো সব দিনের কথা মনে পড়ে যাচ্ছে স্বতন্ত্রর। স্টুডেন্টরা বাড়িতে আসো মাত্রই নানা রঙের বেলুন দিয়ে বাড়ি সাজাতে শুরু করে দিয়েছে। ছাত্রছাত্রীরা এইসব করছে দেখে স্বতন্ত্র তাদের জিজ্ঞাসা করে কেন এইসব করছে? এর মধ্যে একজন বলে দেয় এইসব করার নির্দেশ রয়েছে। এই শুনে মনে মনে স্বতন্ত্র ভাবে তাহলে কী বৌঠান এদেরকে দিয়ে এইসব আয়োজন করিয়েছে? আরও ভাবে, এই কারণেই হয়তো বৌঠান সকাল থেকে তাঁর ফোন ধরেনি।

অন্যদিকে দেখা যায় গাড়ি করে আসছে অনন্যা, ডল এবং প্লুটো। গাড়িতে আসতে আসতেই নানান ধরনের আলোচনা করছে তাঁরা। অনন্যারা ভাবছে স্বতন্ত্র কী আদৌ বাড়ি চলে এসেছে নাকি তাদেরকে কি অপেক্ষা করতে হবে? এরপর কথায় কথায় ডল প্লুটোকে সেই বিশেষ বন্ধুর কথা জিজ্ঞাসা করে। মৌয়ের কথা শুনেই হঠাৎই রেগে যায় প্লুটো।
এদিকে, মৌ আসছে বলে খুব আগ্রহী হয়ে রয়েছে ডল। এমন সময় কথায় কথায় অনন্যা প্লুটোকে জানায়, বিদেশে যাওয়ার আগে তার সঙ্গে মৌয়ের রেজিস্ট্রি করিয়ে দিতে চায়। কিন্তু অনন্যার এই সিদ্ধান্তে একেবারেই নারাজ প্লুটো। অন্যদিকে দেখা যায় স্বতন্ত্রর ছাত্র-ছাত্রীরা সারা ফ্ল্যাট সাজিয়ে ফেলেছে বেলুন দিয়ে আর সবাই নাচে-গানে আজকের সন্ধ্যেটা জমজমাট করে তুলেছে।
এমন সময় স্বতন্ত্রর ছাত্র-ছাত্রীরা তাঁকে একটা গান করতে বলে। প্রথমে সেই গান গাইতে না চাইলে পরবর্তীকালে ‘পথে এবার নামো সাথী’ এই গানটি গায়। এরপর ফ্ল্যাটে এসে হাজির হয় অনন্যারা। তাঁদের দেখেও অবাক হয়ে যায় স্বতন্ত্র। অনন্যা এসে বলে স্বতন্ত্রর স্টুডেন্টদের সে’ই এই সমস্ত কিছু আয়োজন করতে বলেছে। এরপর স্বতন্ত্র বলে, তার জন্মদিনে কোনদিনই সে বাড়াবাড়ি পছন্দ করে না। অন্যদিকে, অনন্যা জানাই আজকে দিনে সমস্ত আয়োজন ডল করেছে।
আরও পড়ুনঃ কান টানতেই বেরিয়ে এলো মাথা! ‘ফুলকি’র ফাঁদে পা দিল শিবু গুন্ডা! পুলিশকে শিবু জানাল আসল মাথার খোঁজ! ফুলকি এবার খুঁজে পেতে চলেছে বাবাকে!
পাঁচতারা হোটেল থেকে খাবার আসছে শুনে বিব্রতবোধ করে স্বতন্ত্র আর মনে মনে ভাবে, অন্যান্য বছর তার জন্মদিনে তুমি আগে থেকেই আয়োজন শুরু হয়ে যেত। বৌঠান তার জন্য নানান ধরনের পদ রান্না করত সেই সব কিছু কোনো পাঁচতারা হোটেলে রান্নার কাছেই লাগে না। এদিকে, আবার স্বতন্ত্রর স্টুডেন্টরা দল এবং তাকে নিয়ে আলোচনা করছে যে, তাদের মধ্যে কোন একটা সম্পর্ক রয়েছে। এর মধ্যেই খাওয়াদাওয়া, কেক কাটা শুরু হয়ে যায়।