জি বাংলার ‘পরিণীতা’র (Parineeta) র আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায় নির্দোষ প্রমাণিত হয়ে মনোজিত বাড়িতে ফিরে আসে। সবাই মনোজিতের ফিরে আসা নিয়ে কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতেই পারুল জানায়, যে ব্যক্তি কাকাবাবুকে এই মিথ্যে মামলায় ফাঁসিয়েছিল সে বসু বাড়ির উপর এর আগেও আঘাত করার চেষ্টা করেছে। পারুল জানিয়ে দেন ওই ব্যক্তি রায়ানকে মারার চেষ্টাও করেছে, এমনকি ভবিষ্যতের থেকেও বড় কিছু করতে পারে তাই পুলিশ সতর্ক থাকতে বলেছে সবসময়।
মনোজিত বাড়ি ফিরে এলেও মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে এই ঘটনার পর। সবাই তাকে সাহস যোগাতে চাইলেও সে কিছুতেই ভুলতে পারেনা সমস্ত ঘটনা। এরই মাঝে তাঁর স্ত্রী সাফ জানিয়ে দেন সবাই ক্ষমা করলেও তিনি ক্ষমা করবেন না। কারণ যে পরিমাণ সম্মানহানি হয়েছে তাঁর সেটা ফিরে পাওয়া অসম্ভব। পারুল দাদুকে বলে ঠিক করে আবার কাজের মধ্যে ব্যস্ত করতে হবে কাকাবাবুকে। পারুল বলে, “আগের মত আবার সোনার দোকানে কাজে ফিরলে কাকাবাবুর মানসিক অবস্থার উন্নতি হবে।”

এরপর সোনার দোকানে পারুল আর রায়ান মিলে মনোজিতকে কাজে ফিরিয়ে নিয়ে যায়। সেখানে যেতেই সব গ্রাহকেরা তাঁকে নিয়ে কটূক্তি শুরু করে দেন। সবাই বলেন আইনের চোখে যতই নির্দোষ হোক না কেন, এসব বড় লোকেদের স্বভাব চরিত্র ঠিক থাকেনা। আবার কেউ কেউ বলেন হয়তো ওই মেয়েটিকে টাকা খাইয়ে চুপ করিয়ে দিয়েছেন। এই অপমানে লজ্জায় ভেঙে পড়ে মনোজিত, সেখান থেকে কাঁদতে কাঁদতে বেরিয়ে যায় সে।
পারুল গিয়ে তাঁকে সাহস যোগাতে গেলে, মনোজিত অনুরোধ করে তাঁর হারানো সম্মান ফিরিয়ে দিতে, আর পারুলও কথা দেয় যে সে খুব তাড়াতাড়ি সব ঠিক করে দেবে। অন্যদিকে নেড়া গোয়ালে রুক্মিণী আর গোপালের মধ্যে কথোপকথন চলতে থাকে আর সেই সময় মালতী এসে জানায় যে সে আর পড়াশোনা করবে না, বলে স্কুলে ভর্তির ফর্মটা রুক্মিণীকে ফেরত দিতে চায়। রুক্মিণী লক্ষ্য করে মালতীর হাতে মাড়ের দাগ, মালতীকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর এবং পড়াশোনার না ছাড়ার পরামর্শ দেয় সে।
রুক্মিণী বলে সব সময় সে মালতীর পাশেই থাকবে, আর গোপালও বলে যে সেও রুক্মিণীর পাশে আছে। অন্যদিকে রায়ান আর পারুল শিরীনের বাড়ি গিয়ে উপস্থিত হয়। এক থেকে দুই কথায় আবার পারুল আর শিরীনের ঝগড়া লেগে যায়। রায়ান কোনও রকমে দুজনকে চুপ করিয়ে বলে, এই মুহূর্তে কাকাবাবুর সন্মান ফিরিয়ে আনাই বেশি প্রয়োজন। শিরীনকে তাঁর সাংবাদিক বন্ধুকে ফোন করতে বলা হয়। তাঁকে ফোন করে শিরীন বলে যে মনোজিতকে নিয়ে যে স্টোরিটা হয়েছিল সেটাকে পজেটিভ অ্যাঙ্গেলে নতুন করে করতে যাতে সবার ভুল বোঝাবুঝি কেটে যায়।
আরও পড়ুনঃ জন্মদিন পালন করতে স্বতন্ত্রর ফ্ল্যাটে হাজির অনন্যারা! সবকিছুর মাঝেও স্বতন্ত্রের মনে পড়ছে বৌঠানকে! তবে কি কমলিনী তাঁর ঠাকুরপো’কে একেবারে ভুলে গেল? কবে মিটবে এই ভুল বোঝাবুঝি?
কিন্তু সেই সাংবাদিক বন্ধু জানিয়ে দেয় যে এই কাজ সে পারবে না। পারুল বুঝতে পারে এভাবে হাত গুটিয়ে বসে থাকলে কিছু হবে না তাই সে সিদ্ধান্ত নেয় নিজেই সংবাদ মাধ্যমের সাথে যোগাযোগ করবে। অন্যদিকে আইপিএস অফিসার একজন ‘হ্যাকার’ ডেকে পাঠান ওই অপহরণকারী ব্যাক্তির আসল পরিচয় জানার জন্য। পারুল রায়ানকে ফোন করে বলে তাড়াতাড়ি আসতে, কারণ সেই ব্যাক্তির খোঁজ মিলেছে এবং ঠিকানাও মিলেছে! এবার প্রশ্ন উঠছে পারুল কি ফিরিয়ে আনতে পারবে কাকাবাবুর হারানো সম্মান? তূর্য কি এবার ধরা পরে যাবে?