জি বাংলার (Zee Bangla) ‘ফুলকি’ (Phulki) ধারাবাহিকে চলছে এখন অবাক করা কান্ড। রোহিতের জেঠু এবং তার দিদি ভাইকে খুনের অপরাধে ধরে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। আজকের গল্পের শুরুতে দেখা যাবে, অফিসার দাদা সারা রায়চৌধুরী বাড়িতে তন্ন তন্ন করে খুঁজতে থাকে মাস্টার মশাইকে। এমন সময় বড় যেত খাওয়া দাওয়ার পর একটা ঘরে যায় বিশ্রাম নিতে এবং অফিসার অংশুমানকে জিজ্ঞাসা করে ‘এটা কার রুম?’ তখন অংশুমান বলে এটা মাস্টার মশাইয়ের ঘর।
এরপর সন্দেহবশত বড়বাবু ওই ঘরে তন্ন তন্ন করে প্রমাণ খুঁজতে থাকে সঙ্গে ডেকে নেয় দুই কনস্টেবলকে। খোঁজার কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটে যায় সেই অবাক করা কান্ড। বড় বাবুকে ডেকে কনস্টেবল রা দেখায় আলমারিতে প্লাস্টিক মুড়ে রাখা রয়েছে সজল বাবুর মৃতদেহ। এই দেখে বাড়ির সবাই অবাক হয়ে যায়। এই সময় অংশুমান বলে “এটা কি করে সম্ভব? এটা হতেই পারে না”। এরপর বড়বাবু বলে ওঠে “সবকিছু নিজের চোখেই দেখতে পাচ্ছ, যাও গিয়ে রায় চৌধুরী বাড়ির সবাইকে ডেকে আনো।

এদিকে বাড়ির সবাই টেনশন করতে থাকে এবং লাবু সজল বাবুর মৃতদেহ দেখে বলে, “এটা কি করে সম্ভব? অংশু তুমি তো জানো,আমি এসব কিছুই জানিনা”। এই শুনে থানার বড়বাবু বলে ‘সবকিছুই রয়েছে আপনাদের চোখের সামনে’। এরপর ফিঙ্গারপ্রিন্ট মেলানোর জন্য ফরেনসিক ডিপার্টমেন্টের লোকেদেরকে আনা হয় রায়চৌধুরী বাড়িতে। তারা এসেই সবকিছু পরীক্ষা করতে থাকে। এদিকে রায়চৌধুরী বাড়িতে সবার সঙ্গে অংশুমান অপেক্ষা করতে থাকে যে কারোর সঙ্গে আঙুলের ছাপ মিলেছে কিনা জানার জন্য। অবশেষে জানতে পারে ফলাফল। পুলিশ অফিসার জানায়, মাত্র একজনের সঙ্গে আঙ্গুলের ছাপ মিলেছে। লাবুর নাম শুনেই চমকি যায় অংশুমান। এরপরে কড়াকড়িভাবে বড়বাবু বলে “এরপর কী করতে হবে নিশ্চয়ই তুমি তা জানো অংশুমান?”
এরপর সকলের সামনে রোহিত বলে নিশ্চয়ই কারো সঙ্গে আঙুলের ছাপ মেলেনি। অংশুমান সহমত না হয়ে বলে লাবণ্যর সঙ্গে আঙ্গুলের ছাপ মিলে গেছে। এইসব শুনে বড়বাবু ডাক পাঠায় মাস্টার মশাইকে। খুব স্বাভাবিকভাবেই লাভ ও জিজ্ঞাসা করে ‘তার বাবাকে ডেকে কি হবে?’। পুলিশ অফিসার বলে মাস্টার মশাই কি ধরে নিয়ে যাওয়ার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। বলে, তাঁর ঘরে বডি পাওয়া গেছে বলে তাঁকেও অ্যারেস্ট করা হবে।
আরও পড়ুনঃ জট পাকানো গল্প! শ্যামলীকে জব্দ করল অনন্যা! অনিকেতের ওপর অধিকার ফলালো তাঁর বর্তমান স্ত্রী! হচ্ছেটা কি কোন গোপনেতে?
এই সময় মাস্টারমশাই বাড়িতে এসে বলে কি হয়েছে? তখনই বড়বাবু বলে ওঠে “আপনার বাড়িতে খুন হয়েছে। আপনি এবং আপনার মেয়ে ষড়যন্ত্র করে সজল বাবুকে খুন করেছেন”। এই সময় রুদ্র পরিস্থিতির উস্কানি দিয়ে বলে তাঁর দলের সবাইকে একে একে সরিয়ে দিতে চাই রায়চৌধুরী পরিবারের সবাই। অবশেষে দেখা যায় পুজো দিয়ে এসে ফুলকি তাঁর অফিসার দাদাকে জিজ্ঞাসা করে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে তাঁর জেঠু ও দিদিভাইকে। এমনটা সে কখনোই হতে দেবে না।